Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর এই পরাজয়ে ২-০তে সিরিজ খোয়াল স্বাগতিকরা।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৩ ওভার ব্যাট করে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৯১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় সফরকারী দলটি।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

অভিষিক্ত জাকির হাসানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আরেক তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের কেউই কিউই পেসের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। অভিষিক্ত জাকির ৫ বল খেলে ১ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়েছেন। পরের ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

এরপর চারে নেমে বেশ ভালোই খেলছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৭ রান করে মিলনের বলে ফিরেছেন হৃদয়। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম টানছিলেন দলকে। লোকি ফার্গুসনের বলে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ফিরেছেন ২৫ বলে ১৮ রান করা মুশফিক।

ফার্গুসনের বল রক্ষণাত্মকভাবে খেলছিলেন মুশফিক। বল এক ড্রপ দিয়ে চলে যায় স্ট্যাম্পে। ফুটবলের মতো করে পা দিয়ে চেষ্টা করেও বল আটকাতে পারেননি মুশফিক। শুরু খেকে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ৮৮ রানের মাথায় হারিয়ে ফেলে চতুর্থ উইকেট।

এরপর ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আজ বেশ দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু অ্যাডাম মিলনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটা বড় হয়নি। ২৭ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন রিয়াদ। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একপ্রান্তে দুর্দান্তই খেলছিলেন।

ব্যক্তিগত ৭৬ রানের মাথায় শান্তর মাথায় কী ভূত চাপল কে জানে! রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন শান্ত। ফেরার আগে ৮৪ বল খেলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করেন তিনি। শান্ত ফেরার পর নিচের সারির ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেনি।

যাতে ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অ্যাডাম মিলনে ৩৪ রানে চার উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।

১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা বেগ পেটে হয়নি কিউইদের। উইল ইয়ংয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে নিউজিল্যান্ড। দেখে শুনেই এগিয়ে যেতে থাকেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়ং। ৪৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দশম ওভারে বল করতে এসে এ জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তার শর্ট বলে পুল করেছিলেন ফিন অ্যালেন। তবে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে টেনে খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৬ বলে ২৮ রান করেন অ্যালেন।

অসাধারণ ডেলিভারিতে পরের বলেই ডিন ফক্সক্রাফটকে তুলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। তার ফুললেন্থ বলে বোল্ড হয়ে যান এ ব্যাটার। তুলে নিতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। পরের বলটিও দুর্দান্ত করেছিলেন শরিফুল। হেনরি নিকোলসের আউটসাইড এজের আবেদন জোরালো আবেদন ছিল। তবে আম্পায়ার সাড়া দেননি। নিশ্চিত না হওয়ায় রিভিউ নেননি টাইগাররা।

এরপর বাংলাদেশের হতাশা বাড়াতে থাকেন ইয়ং ও নিকোলস। তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ইয়ংকে ফিরিয়ে এ জুটি ভেঙেছিলেন নাসুম। তার ভেতরে ঢোকা বলটি বাঁক খেয়ে অফ স্টাম্প ভাঙলে ব্যক্তিগত ৭০ রানে থামেন ইয়াং। ৮০ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।

এরপর বাকি কাজ টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে শেষ করেন নিকোলস। এক প্রান্তে আগলে ৮৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে উইকেটে নেমে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ১৬ বলে ২৩ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ব্লান্ডেল।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১০:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় বিশ্বকাপের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর এই পরাজয়ে ২-০তে সিরিজ খোয়াল স্বাগতিকরা।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৪.৩ ওভার ব্যাট করে ১৭১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৯১ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছায় সফরকারী দলটি।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

অভিষিক্ত জাকির হাসানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আরেক তরুণ তানজিদ হাসান তামিম। দুজনের কেউই কিউই পেসের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। অভিষিক্ত জাকির ৫ বল খেলে ১ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে বোল্ড হয়েছেন। পরের ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম।

এরপর চারে নেমে বেশ ভালোই খেলছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৮ বলে ১৭ রান করে মিলনের বলে ফিরেছেন হৃদয়। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম টানছিলেন দলকে। লোকি ফার্গুসনের বলে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ফিরেছেন ২৫ বলে ১৮ রান করা মুশফিক।

ফার্গুসনের বল রক্ষণাত্মকভাবে খেলছিলেন মুশফিক। বল এক ড্রপ দিয়ে চলে যায় স্ট্যাম্পে। ফুটবলের মতো করে পা দিয়ে চেষ্টা করেও বল আটকাতে পারেননি মুশফিক। শুরু খেকে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ৮৮ রানের মাথায় হারিয়ে ফেলে চতুর্থ উইকেট।

এরপর ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও আজ বেশ দারুণ খেলছিলেন। কিন্তু অ্যাডাম মিলনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহর ইনিংসটা বড় হয়নি। ২৭ বলে ২১ রান করে ফিরেছেন রিয়াদ। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একপ্রান্তে দুর্দান্তই খেলছিলেন।

ব্যক্তিগত ৭৬ রানের মাথায় শান্তর মাথায় কী ভূত চাপল কে জানে! রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন শান্ত। ফেরার আগে ৮৪ বল খেলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৬ রান করেন তিনি। শান্ত ফেরার পর নিচের সারির ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেনি।

যাতে ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অ্যাডাম মিলনে ৩৪ রানে চার উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন ট্রেন্ট বোল্ট।

১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় খুব একটা বেগ পেটে হয়নি কিউইদের। উইল ইয়ংয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ে সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে নিউজিল্যান্ড। দেখে শুনেই এগিয়ে যেতে থাকেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়ং। ৪৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দশম ওভারে বল করতে এসে এ জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তার শর্ট বলে পুল করেছিলেন ফিন অ্যালেন। তবে অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে টেনে খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৬ বলে ২৮ রান করেন অ্যালেন।

অসাধারণ ডেলিভারিতে পরের বলেই ডিন ফক্সক্রাফটকে তুলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন শরিফুল। তার ফুললেন্থ বলে বোল্ড হয়ে যান এ ব্যাটার। তুলে নিতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। পরের বলটিও দুর্দান্ত করেছিলেন শরিফুল। হেনরি নিকোলসের আউটসাইড এজের আবেদন জোরালো আবেদন ছিল। তবে আম্পায়ার সাড়া দেননি। নিশ্চিত না হওয়ায় রিভিউ নেননি টাইগাররা।

এরপর বাংলাদেশের হতাশা বাড়াতে থাকেন ইয়ং ও নিকোলস। তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ইয়ংকে ফিরিয়ে এ জুটি ভেঙেছিলেন নাসুম। তার ভেতরে ঢোকা বলটি বাঁক খেয়ে অফ স্টাম্প ভাঙলে ব্যক্তিগত ৭০ রানে থামেন ইয়াং। ৮০ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান তার ইনিংস।

এরপর বাকি কাজ টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে শেষ করেন নিকোলস। এক প্রান্তে আগলে ৮৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে উইকেটে নেমে কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ১৬ বলে ২৩ রান তুলে দলের জয় নিশ্চিত করেন ব্লান্ডেল।