Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা এমনটা জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ ও উপাত্ত রয়েছে। কখনো সরাসরি, কখনো টেলিফোনেসহ নানা মাধ্যমে গুলির নির্দেশ দিয়ে তা আবার নিশ্চিতও করেন শেখ হাসিনা। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার স্পষ্ট নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। আইনের ভাষায় এ গণহত্যার সুপেরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, খসড়া প্রতিবেদনটি এখন প্রসিকিউশনের হাতে রয়েছে। প্রতিবেদনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণহত্যার চালানোর অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে।

গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরদ্ধে তদন্তকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণ ও হামলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি এবং শীর্ষ সারির নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই-গণহত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর পরিবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে, যেগুলোর তদন্ত করছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার খসড়া তদন্ত প্রতিবেদন জমা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনে জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা এমনটা জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বহু প্রমাণ ও উপাত্ত রয়েছে। কখনো সরাসরি, কখনো টেলিফোনেসহ নানা মাধ্যমে গুলির নির্দেশ দিয়ে তা আবার নিশ্চিতও করেন শেখ হাসিনা। হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার স্পষ্ট নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। আইনের ভাষায় এ গণহত্যার সুপেরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি শেখ হাসিনার।

চিফ প্রসিকিউটর জানান, খসড়া প্রতিবেদনটি এখন প্রসিকিউশনের হাতে রয়েছে। প্রতিবেদনে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে গণহত্যার চালানোর অজস্র প্রমাণ উঠে এসেছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হবে।

গত ১৭ অক্টোবর গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেখ হাসিনার বিরদ্ধে তদন্তকাজ শেষ করার নির্দেশ দেন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণ ও হামলায় প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারান। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি এবং শীর্ষ সারির নেতাদের বিরুদ্ধে জুলাই-গণহত্যার অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে। বিভিন্ন ভুক্তভোগীর পরিবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে, যেগুলোর তদন্ত করছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।