Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না: খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৬ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়েনি। আগামী নির্বাচনকে শেখ হাসিনা মুক্ত নির্বাচন হতে হবে। তার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। অতীতের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্দলীয় অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতে হতে পারে না। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকার বিদায়ের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তাকে সরকার থেকে হটিয়ে তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল। এই সরকারের পুলিশ বাহিনী, পেটুয়া বাহিনী সেখানে বাধা সৃষ্টি করেছে। সব বাধা উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচিকে জনগণ সফল করেছে। এই সরকারকে যত তাড়াতাড়ি বিদায় করা যায়, এ দেশের এবং জনগণের তত মঙ্গল।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বেপরোয়া হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করছে। আর সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন এই নেতা। বলেন, তার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।

মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়া আর গণতন্ত্র একে অপরের সম্পূরক। গণতন্ত্রের অর্থই হচ্ছে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্র। আজ আমাদের নেত্রী কারগারে। শুধু গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করার কারণে আজ মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায় দিয়ে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও একটি বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, আজ যারা ক্ষমতায়, তারা স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় এসে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে এদেশে সারাজীবনের জন্য রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অর্থনীতি লুটপাট করে এদেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন।

মোশাররফ বলেন, জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে লুটপাট, দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি করে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২-৭৫ এ তারা এভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন আবার তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, পদদলিত করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজ মধ্যবিত্ত মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছে, গরিব আরও গরিব হয়ে গেছে। তারা পেট চালাতে পারে না। সেই অবস্থায় আজ দেশকে এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম (বীরপ্রতীক), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৬ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার আপসে ক্ষমতা ছাড়েনি। আগামী নির্বাচনকে শেখ হাসিনা মুক্ত নির্বাচন হতে হবে। তার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। অতীতের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্দলীয় অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতে হতে পারে না। গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে এই সরকার বিদায়ের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তাকে সরকার থেকে হটিয়ে তারপর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছিল। এই সরকারের পুলিশ বাহিনী, পেটুয়া বাহিনী সেখানে বাধা সৃষ্টি করেছে। সব বাধা উপেক্ষা করে প্রতিটি কর্মসূচিকে জনগণ সফল করেছে। এই সরকারকে যত তাড়াতাড়ি বিদায় করা যায়, এ দেশের এবং জনগণের তত মঙ্গল।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে বেপরোয়া হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন খন্দকার মোশাররফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করছে। আর সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলে ফের অভিযোগ করেন এই নেতা। বলেন, তার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।

মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়া আর গণতন্ত্র একে অপরের সম্পূরক। গণতন্ত্রের অর্থই হচ্ছে খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার অর্থই হচ্ছে গণতন্ত্র। আজ আমাদের নেত্রী কারগারে। শুধু গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করার কারণে আজ মিথ্যা-বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায় দিয়ে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তেমনিভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও একটি বানোয়াট মামলায় ফরমায়েসি রায়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করছে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, আজ যারা ক্ষমতায়, তারা স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় এসে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে এদেশে সারাজীবনের জন্য রাজত্ব কায়েম করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে অর্থনীতি লুটপাট করে এদেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছেন।

মোশাররফ বলেন, জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলে লুটপাট, দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্টে মেগা দুর্নীতি করে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১৯৭২-৭৫ এ তারা এভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। এখন আবার তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, পদদলিত করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। আজ মধ্যবিত্ত মানুষ গরিব হয়ে যাচ্ছে, গরিব আরও গরিব হয়ে গেছে। তারা পেট চালাতে পারে না। সেই অবস্থায় আজ দেশকে এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম (বীরপ্রতীক), বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর প্রমুখ।