Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না : দুদু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচন করার এখন কেউ নেই। তার সময়কাল শেষ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ভোটের অধিকারের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারছে না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তারা দেখে, তাদের ভোট আগে দেওয়া হয়ে গেছে। যে জাতি ন্যূনতম একটি ভোট দিতে পারে না, সেখানে গণতন্ত্র নেই, কোনও স্বাধীনতা নেই, অধিকার নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করে বলেন, আমি বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কমিশন যেসব চিঠি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে দিচ্ছে, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কোনও ভোটের অধিকার নেই, ভাতের অধিকারও নেই। এ সরকার বলেছিল, চালের দাম ১০ টাকা হবে। কিন্তু এখন বাজারে গেলে দেখা যায়, চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরকার যতগুলো ওয়াদা দিয়েছিল, প্রত্যেকটির বরখেলাপ করেছে। এ কারণে সরকার এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে একমাত্র পথ পদত্যাগ করা।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন এবং তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দেন। এখন আমরা দাবি করছি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। হয়তো এমন সময় আসতে পারে একদিনের ভেতর যে জনস্রোত আসবে সে জনস্রোতে আপনারা পিষে যাবেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে দুদু বলেন, আপনি কিসের জন্য আমেরিকা গিয়েছেন? আপনার রক্ষাকবজ বাংলাদেশে! আপনি ভবিষ্যতে যদি নিরাপদে বাংলাদেশে থাকতে চান তাহলে সেটার গ্যারান্টি হলো খালেদা জিয়া। এই ন্যূনতম বিষয়টি আপনি অনুধাবন করতে পারছেন না?

দুদু বলেন, যারা আমাদের দেশের অতিথি, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আছেন তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অন্যতম। পিটার হাস গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। আপনি এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, আজ তার নিরাপত্তা নেই। তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবে, বাংলার জনতা তাদের পাশে দাঁড়াবে, তাদের রক্ষা করবে। এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। কে কী বললো এতে আমাদের কিছুই যায় আসে না।

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষে। সারা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল। তারাও এখন একটি ভালো নির্বাচনের কথা বলছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অবস্থান করসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন– জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া আনোয়ার, মো. ফারুক রহমান, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না : দুদু

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৯:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে। শেখ হাসিনার পক্ষে নির্বাচন করার এখন কেউ নেই। তার সময়কাল শেষ হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে ভোটের অধিকারের দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারছে না। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তারা দেখে, তাদের ভোট আগে দেওয়া হয়ে গেছে। যে জাতি ন্যূনতম একটি ভোট দিতে পারে না, সেখানে গণতন্ত্র নেই, কোনও স্বাধীনতা নেই, অধিকার নেই। এরপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাবি করে বলেন, আমি বাংলাদেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন কমিশন যেসব চিঠি ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে দিচ্ছে, এগুলো করে কোনো লাভ হবে না। ভালো নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে কোনও ভোটের অধিকার নেই, ভাতের অধিকারও নেই। এ সরকার বলেছিল, চালের দাম ১০ টাকা হবে। কিন্তু এখন বাজারে গেলে দেখা যায়, চালের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সরকার যতগুলো ওয়াদা দিয়েছিল, প্রত্যেকটির বরখেলাপ করেছে। এ কারণে সরকার এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে একমাত্র পথ পদত্যাগ করা।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন এবং তারেক রহমানকে দেশে আসার সুযোগ দেন। এখন আমরা দাবি করছি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য। হয়তো এমন সময় আসতে পারে একদিনের ভেতর যে জনস্রোত আসবে সে জনস্রোতে আপনারা পিষে যাবেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে দুদু বলেন, আপনি কিসের জন্য আমেরিকা গিয়েছেন? আপনার রক্ষাকবজ বাংলাদেশে! আপনি ভবিষ্যতে যদি নিরাপদে বাংলাদেশে থাকতে চান তাহলে সেটার গ্যারান্টি হলো খালেদা জিয়া। এই ন্যূনতম বিষয়টি আপনি অনুধাবন করতে পারছেন না?

দুদু বলেন, যারা আমাদের দেশের অতিথি, যারা বিভিন্ন দেশ থেকে আমাদের দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে আছেন তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অন্যতম। পিটার হাস গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলেছেন, অধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন, মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলেছেন। আপনি এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন, আজ তার নিরাপত্তা নেই। তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি বুঝতে পেরেছেন। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলবে, স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলবে, বাংলার জনতা তাদের পাশে দাঁড়াবে, তাদের রক্ষা করবে। এটা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। কে কী বললো এতে আমাদের কিছুই যায় আসে না।

কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষে। সারা বিশ্ব এখন গণতন্ত্রের পক্ষ নিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কিছুদিন আগেও আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার পক্ষে ছিল। তারাও এখন একটি ভালো নির্বাচনের কথা বলছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অধীনে আগামী নির্বাচন কোনোভাবে অনুষ্ঠিত হবে না। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অবস্থান করসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন– জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া আনোয়ার, মো. ফারুক রহমান, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দ প্রমুখ।