Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে : মামুনুল হক

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে। তিনি বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে, বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেন। কারণ, তিনি এই দেশের উন্নতি চাননি। এই বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে নিজের বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। এ কারণেই শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে কীভাবে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া যায় তার চিন্তা করছিল। প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে পালিয়েছেন ভারতে।

তিনি বলেন, এতো তারাতারি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবলে চলবে না। শেখ হাসিনার সীমান্তের অপর প্রান্তে ঘুর ঘুর করছে। শুধু সে না সীমান্তের এই পারেও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে। আওয়ামী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়, তার আসল রূপ হল শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনীর মতো ছোবল মারতো আর দিনের বেলা সান্তনা দিত। এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। আর এই নাটকের কলাকুশলীরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তাহলে এদেশে আর কোনোদিন সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এবং এ বিষয়টিকে তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করত।

মামুনুল হক বলেন, ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চাই যে সমাজে থাকবে না কোনো বৈষম্য, যে সমাজে থাকবে না কোনো অনাহারের আর্তনাদ, যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে মামুনুল হক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, নজির বিহীনভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। সে সকল শহীদানদের কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। সে সাথে খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এটাও আমরা দেখব ইনশাল্লাহ। দেড় মাস যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা এখন রক্ষা করা অনেক কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে হাজারো ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে। হাজারো মায়ের অশ্রু বৃথা যাবে, তাই সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মালানা সাইদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসাসহ মজলিসের নেতাকর্মী সমর্থকবৃন্দ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে : মামুনুল হক

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা গত ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে। তিনি বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে, বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেন। কারণ, তিনি এই দেশের উন্নতি চাননি। এই বাংলাদেশকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিল শেখ হাসিনার রাজনীতি।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে পাবলিক ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে তিনি একথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে নিজের বাবার মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। এ কারণেই শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে কীভাবে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া যায় তার চিন্তা করছিল। প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে পালিয়েছেন ভারতে।

তিনি বলেন, এতো তারাতারি শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের কাছ থেকে নিজেদের নিরাপদ ভাবলে চলবে না। শেখ হাসিনার সীমান্তের অপর প্রান্তে ঘুর ঘুর করছে। শুধু সে না সীমান্তের এই পারেও তার দোসররা বিভিন্ন জায়গায় বসে আছে। সময় সুযোগ পেলেই তারা আবার ছোবল মারবে। আওয়ামী সরকারের আমলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়, তার আসল রূপ হল শেখ হাসিনা ও তার সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনীর মতো ছোবল মারতো আর দিনের বেলা সান্তনা দিত। এটা তাদের সাজানো নাটক ছিল। আর এই নাটকের কলাকুশলীরা যদি ঘুরে দাঁড়াতে না পারে তাহলে এদেশে আর কোনোদিন সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটবে না। সংখ্যালঘুদের তারা নিজ স্বার্থে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে এবং এ বিষয়টিকে তারা ট্রাম্পকার্ড হিসেবে মনে করত।

মামুনুল হক বলেন, ইনসাফপূর্ণ একটি সমাজ কায়েম করার লক্ষ্যে আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করতে চাই যে সমাজে থাকবে না কোনো বৈষম্য, যে সমাজে থাকবে না কোনো অনাহারের আর্তনাদ, যেখানে থাকবে না কোনো ভেদাভেদ।

শেখ হাসিনার বিচারের দাবি করে মামুনুল হক বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, নজির বিহীনভাবে শত শত ছাত্র-জনতাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে হাসিনা। সে সকল শহীদানদের কবুলের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করছি। সে সাথে খুনি হাসিনাকে দেশের মাটিতে এনে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে এটাও আমরা দেখব ইনশাল্লাহ। দেড় মাস যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা এখন রক্ষা করা অনেক কঠিন। স্বাধীনতা রক্ষা করতে যদি আমরা ব্যর্থ হই তবে হাজারো ভাইয়ের রক্ত বৃথা যাবে। হাজারো মায়ের অশ্রু বৃথা যাবে, তাই সকলকে ধৈর্যধারণ করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মালানা সাইদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মুসাসহ মজলিসের নেতাকর্মী সমর্থকবৃন্দ।