নিজস্ব প্রতিবেদক :
শুধু নেতা নয় নীতিরও পরিবর্তন চাই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ‘মদিনা সনদ ও মক্কা বিজয়ের চেতনা হোক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথনির্দেশ’ শীর্ষক সীরাত কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর নীতি ও গঠনতন্ত্রে ভাল ভাল লেখা আছে কিন্তু ব্যক্তি ভাল না থাকার কারণে সে সুফল আমরা পাইনা। আবার ব্যক্তি ভাল থাকলেও নীতির কারণে কোন সুফল আমরা পাইনা। তাই শুধু নেতা নয় নীতিরও পরিবর্তন চাই।
জালেমের বিচার ইসলাম নিশ্চিত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাকে হত্যা করা হয়েছে তারও নিয়মনীতি আছে ইসলামে। জুলুমের হত্যার মাফ করারও নিয়ম আছে। সেটা একমাত্র তার পরিবার করতে পারে। যারা জুলুম করছে তাদের যদি আমরা ছাড় দেই তাহলে দেশের পরিস্থিতি ঠিক করার মতো কোন পরিবেশ থাকবে না। আমরা দুনিয়াতে শান্তি চাই, পরকালে মুক্তি চাই বলেও মন্তব্য করেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের আমির।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। কেবলমাত্র ইসলামী সরকার ক্ষমতায় গেলেই দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদ মুক্ত হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দেশের নাগরিকদের ব্যক্তি সংস্কার প্রয়োজন। আর রাসূল (সা.) এর আদর্শ ছাড়া ব্যক্তি সংস্কার সম্ভব নয়।
চরমোনাই পীর বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির বিকল্প নাই। আর এমন নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, অনেকেই এমন অপপ্রচার করে বেড়ায়। তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে পারি, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদ মুক্ত হবে। দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা সহকারে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারবে। মানুষ কুরআনের পথে ফিরে আসলে বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন ও বসবাসযোগ্য নিরাপদ রাষ্ট্র।
আলোচনায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, আইএফএ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়তুল্লাহ বক্তব্য দেন।