বরগুনা জেলা প্রতিনিধি :
বরগুনার বেতাগী উপজেলার শরিষামুড়ি ইউনিয়নে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে মহাসিন কাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসির রায়ে দণ্ডিত আসামি মহাসিন কাজী বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে।
ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজুয়ারা সিপু বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা প্রবাসে থাকায় বাড়িতে মা, বোন এবং চাচি একসঙ্গে বসবাস করতেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহসিন কাজি তাদের প্রতিবেশী হওয়ায় ভুক্তভোগী শিশুটি প্রতিদিন মহসিন কাজির বাড়ির সামনে দিয়ে স্কুলে যেত। ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে মক্তবে যাওয়ার পথে মহসিন পেছন থেকে ওই শিশুটির গলায় ছুরি ধরে একটি খালের চরে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন মহসিন। পরে বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মহসিনকে অভিযুক্ত আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মহসিন কাজিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
ভিকটিমের বড়বোন নাবিলা বলেন, এরকম একটি অপকর্মের ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা খুশি হয়েছি। ভিকটিমের মা মাফুজা বেগমও রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
ধর্ষক মহসিন তার মাকে দেখে বলে ওঠে তোমার জন্য আমার ফাঁসি হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তার মা বিউটি বেগম বলেন, বাদী পক্ষের লোকজন মিমাংসা করাতে টাকা-পয়সা চেয়েছিল আমি শাকপাতা বিক্রি করি খাই। তাদের চাহিদা মতন টাকা দিতে পারিনি বলে আমার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। আমি গরীব মানুষ আপীল করবো সেই সমর্থও নেই।
নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা শিপু বলেন, মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একজন শিশুকে মক্তবে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত আসামি ধরে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা একটা গর্হিত অপরাধ। আদালতে আমি অপরাধীর এই অপকর্ম রাষ্ট্রে পক্ষে প্রমাণ করাতে পেরেছি।
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি 
























