Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা মামলা তোলার যতই আল্টিমেটাম দিক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। মেরিট দেখেই মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তদন্তের আগে বোঝা যাবে না তাদেরকে কে উসকানি দিচ্ছে। আন্দোলনে উসকানিদাতা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা করছে তা না বুঝেই করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। মামলা তোলার যতই আল্টিমেটাম দিক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। মেরিট দেখেই মামলা করা হয়েছে। তদন্তের পর তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এই সময় তিনি আরো বলেন, জেলখানায় থাকা আসামিদের একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত। যারা বিভিন্ন অপকর্ম করে জেল খাটছেন। বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান মাদকাসক্ত নিরাময়ে কাজ করছে। আমাদের সন্তানেরা কী করে তা আমাদের অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত।

মন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি সারা বিশ্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে এর প্রভাব আমরা ফেস করে আসছি। মাদকাসক্তি নিয়ে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে এর ব্যাপ্তি আরও ছড়াবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের থাবা থেকে আসক্তদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু নিরাময়কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা চাই আসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। মাদক সরবরাহ রোধে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা জোরদার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশের যে দেশগুলো থেকে মাদক আসছে, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তারাও কাজ করছে। ভারত আমাদের আশ্বস্ত করেছে। মিয়ানমারকে বহুবার অনুরোধ করা হলেও তারা সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না তাদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে। আমরা আশা করি, তারাও আমাদের সহায়তা করবে। নিয়মিত বৈঠক চলছে।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মাদকের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শিক্ষার্থীরা না বুঝেই কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা মামলা তোলার যতই আল্টিমেটাম দিক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। মেরিট দেখেই মামলা করা হয়েছে।

রোববার (১৪ জুলাই) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তদন্তের আগে বোঝা যাবে না তাদেরকে কে উসকানি দিচ্ছে। আন্দোলনে উসকানিদাতা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যা করছে তা না বুঝেই করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে। মামলা তোলার যতই আল্টিমেটাম দিক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে। মেরিট দেখেই মামলা করা হয়েছে। তদন্তের পর তার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এই সময় তিনি আরো বলেন, জেলখানায় থাকা আসামিদের একটি বিরাট অংশ মাদকাসক্ত। যারা বিভিন্ন অপকর্ম করে জেল খাটছেন। বিভিন্ন সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান মাদকাসক্ত নিরাময়ে কাজ করছে। আমাদের সন্তানেরা কী করে তা আমাদের অভিভাবকদের খেয়াল রাখা উচিত।

মন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি সারা বিশ্বে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। আমরা মাদক উৎপাদন করি না। কিন্তু ভৌগোলিক কারণে এর প্রভাব আমরা ফেস করে আসছি। মাদকাসক্তি নিয়ে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে এর ব্যাপ্তি আরও ছড়াবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। মাদকের থাবা থেকে আসক্তদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে বেশকিছু নিরাময়কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা চাই আসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে। মাদক সরবরাহ রোধে বিজিবি, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা জোরদার করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাশের যে দেশগুলো থেকে মাদক আসছে, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আমাদের অভিযোগের বিরুদ্ধে তারাও কাজ করছে। ভারত আমাদের আশ্বস্ত করেছে। মিয়ানমারকে বহুবার অনুরোধ করা হলেও তারা সেটি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারছে না তাদের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ বিগ্রহের কারণে। আমরা আশা করি, তারাও আমাদের সহায়তা করবে। নিয়মিত বৈঠক চলছে।

তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে মাদকের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহমেদ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান।