Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার পাকিস্তানের

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ২১২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাবর আজম অধ্যায় থেকে বেরিয়ে নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় শান মাসুদের নেতৃত্বে তিন টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও তাদের শুরুটা ভালো হলো না। শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম কুড়ি ওভারের সিরিজ খেলতে নেমে পরাজয় সঙ্গী হলো।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে রানের ফোয়ারা ছুটবে— সেটি আগেই জানা ছিল। এমন পূর্বাভাস নিয়ে খেলতে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাণ্ডব চালায় নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেল ও কেইন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ফিফটিতে কিউইরা ২২৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। যা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। লক্ষ্য তাড়ায় সাবেক পাক অধিনায়ক বাবর আজমের দ্রুতগতির ফিফটিও কাজে লাগেনি। টিম সাউদির আগুনে বোলিংয়ে কিউইরা জিতেছে ৪৬ রানে।

টস জিতে কিউইদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনি। শুরুতে সফরকারীরা ব্রেকথ্রুও পেয়ে যায়। শাহিন আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে। তার ক্যাচ নেওয়া সাইম আইয়ুব এদিন একইকাজ চারবার করেছেন। যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।

শুরুতে উইকেট হারানোর পরই কিউইরা তাদের তাণ্ডব শুরু করে। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে পাক বোলারদের ওপর নাভিশ্বাস তোলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। ২৭ বলে দুজন ৪৯ রানের জুটি গড়েন। আব্বাস আফ্রিদির বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে অ্যালেন ১৫ বলে ৩টি চার-ছক্কায় করেন ৩৪ রান। এরপর আরও বড় ঝড় সামলাতে হয় পাকিস্তানকে। উইলিয়ামসন ও মিচেল গড়েন ৭৮ রানের জুটি। তরুণ পেসার আব্বাসের বলে ফেরেন কিউই অধিনায়কও। ৪২ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চারের বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করেন।

কিউইদের হয়ে এরপর যিনিই ক্রিজে এসেছেন, ছড়ি ঘুরিয়েছেন সফরকারীদের বোলারদের ওপর। মিচেলের তাণ্ডব থামে শাহিনের বলে ক্যাচ দিয়ে, এর আগে প্রায় ২২৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে মিচেল ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬১ রান করেন। এছাড়া স্বাগতিকদের হয়ে গ্লেন ফিলিপস ১৯ (১১ বল) এবং মার্ক চাপম্যান করেন ২৬ রান (১১ বল)।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন ও আব্বাস। তবে আব্বাসের ইকোনমি ছিল যৌথভাবে সবচেয়ে ভালো। এছাড়া দুই উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ।

কিউইদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন সাইম আইয়ুব। মাত্র ৮ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রান করেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান আউটে কাটা পড়ায় ইনিংস বড় করা হয়নি তার। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ বলে ২৫ রান করে সাউদির শিকার হন।

মাঝে বাবরের সঙ্গে ফখর জামান দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ইফতিখার আহমেদ ও আজমকে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হন বাবর। ১৭ বলে ২৪ রান করে ইফতিখার আর ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন আজম। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। কিন্তু ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন মিলনে। প্রথম বলে আজমকে ফেরানোর পর তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরান শাহিন।

পরের ওভারে বাবরও আউট হলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে ২৫ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সাউদি। এছাড়া অ্যাডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটি করে শিকার ধরেন, ইশ সোধি এক উইকেট নেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হার পাকিস্তানের

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাবর আজম অধ্যায় থেকে বেরিয়ে নতুন অধ্যায়ে পা রেখেছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ায় শান মাসুদের নেতৃত্বে তিন টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতেও তাদের শুরুটা ভালো হলো না। শাহীন আফ্রিদির নেতৃত্বে প্রথম কুড়ি ওভারের সিরিজ খেলতে নেমে পরাজয় সঙ্গী হলো।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে রানের ফোয়ারা ছুটবে— সেটি আগেই জানা ছিল। এমন পূর্বাভাস নিয়ে খেলতে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে তাণ্ডব চালায় নিউজিল্যান্ড। ড্যারিল মিচেল ও কেইন উইলিয়ামসনের ঝোড়ো ফিফটিতে কিউইরা ২২৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। যা সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। লক্ষ্য তাড়ায় সাবেক পাক অধিনায়ক বাবর আজমের দ্রুতগতির ফিফটিও কাজে লাগেনি। টিম সাউদির আগুনে বোলিংয়ে কিউইরা জিতেছে ৪৬ রানে।

টস জিতে কিউইদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠান তিনি। শুরুতে সফরকারীরা ব্রেকথ্রুও পেয়ে যায়। শাহিন আফ্রিদির করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফেরেন কিউই ওপেনার ডেভন কনওয়ে। তার ক্যাচ নেওয়া সাইম আইয়ুব এদিন একইকাজ চারবার করেছেন। যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।

শুরুতে উইকেট হারানোর পরই কিউইরা তাদের তাণ্ডব শুরু করে। অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে সঙ্গে নিয়ে পাক বোলারদের ওপর নাভিশ্বাস তোলেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। ২৭ বলে দুজন ৪৯ রানের জুটি গড়েন। আব্বাস আফ্রিদির বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে অ্যালেন ১৫ বলে ৩টি চার-ছক্কায় করেন ৩৪ রান। এরপর আরও বড় ঝড় সামলাতে হয় পাকিস্তানকে। উইলিয়ামসন ও মিচেল গড়েন ৭৮ রানের জুটি। তরুণ পেসার আব্বাসের বলে ফেরেন কিউই অধিনায়কও। ৪২ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চারের বাউন্ডারিতে ৫৭ রান করেন।

কিউইদের হয়ে এরপর যিনিই ক্রিজে এসেছেন, ছড়ি ঘুরিয়েছেন সফরকারীদের বোলারদের ওপর। মিচেলের তাণ্ডব থামে শাহিনের বলে ক্যাচ দিয়ে, এর আগে প্রায় ২২৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ২৭ বলে মিচেল ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬১ রান করেন। এছাড়া স্বাগতিকদের হয়ে গ্লেন ফিলিপস ১৯ (১১ বল) এবং মার্ক চাপম্যান করেন ২৬ রান (১১ বল)।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন শাহিন ও আব্বাস। তবে আব্বাসের ইকোনমি ছিল যৌথভাবে সবচেয়ে ভালো। এছাড়া দুই উইকেট শিকার করেছেন হারিস রউফ।

কিউইদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন সাইম আইয়ুব। মাত্র ৮ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ২৭ রান করেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রান আউটে কাটা পড়ায় ইনিংস বড় করা হয়নি তার। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ১৪ বলে ২৫ রান করে সাউদির শিকার হন।

মাঝে বাবরের সঙ্গে ফখর জামান দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর ইফতিখার আহমেদ ও আজমকে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েও ব্যর্থ হন বাবর। ১৭ বলে ২৪ রান করে ইফতিখার আর ৯ বলে ১০ রান করে আউট হন আজম। জয়ের জন্য শেষ ৩০ বলে প্রয়োজন ছিল ৬৮ রান। কিন্তু ১৬তম ওভারে আক্রমণে এসে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন মিলনে। প্রথম বলে আজমকে ফেরানোর পর তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরান শাহিন।

পরের ওভারে বাবরও আউট হলে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ১৮ ওভারে ১৮০ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে ২৫ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন সাউদি। এছাড়া অ্যাডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটি করে শিকার ধরেন, ইশ সোধি এক উইকেট নেন।