Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শম্ভুগঞ্জে ৩০০ মিটারের কাজ এখনো শেষ হয়নি, দুর্ভোগ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদামের আন্তনগর বাস টার্মিনাল থেকে শম্ভুগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ছিল। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে এর সংস্কারকাজ শুরু হয়। কিন্তু শম্ভুগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি এলাকার ৩০০ মিটারের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ছয় মাস ধরে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। ময়মনসিংহ-শম্ভুগঞ্জ মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে।

এলাকাবাসী বলেন, মহাসড়কের এ অংশে মানুষের ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। তবে ঈদ সামনে রেখে ওই এলাকায় যানজট হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই দ্রুত বাকি কাজ শেষ করার দাবি জানান তাঁরা। সওজের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী জুনে এ কাজের মেয়াদ শেষ হবে। তাঁরা ঠিকাদারকে বলে ঈদযাত্রার আগেই বাকি কাজটুকু করিয়ে নেবেন।

ময়মনসিংহ জেলার ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদে যানবাহনের চাপ অনেক বাড়বে। সেটি মাথায় রেখে আরও ১৫ দিন আগে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিতভাবে মহাসড়কের এ অংশ সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। যদি সংস্কার না করা হয়, তাহলে ঈদে যানজটে ভোগান্তি হবে মানুষের।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই ৩০০ মিটার এলাকায় বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পিচঢালাই নেই। হেলেদুলে চলছে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল। শম্ভুগঞ্জ মোড়ে দেখা যায়, ধুলায় ছেয়ে গেছে চারপাশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টি হলেও কাদায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে মহাসড়কের ওই অংশ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের চালকেরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। অনেক সময় অনেকে স্লিপ কেটে পড়ে যান।

মঞ্জুরুল হক নামের একজন ইজিবাইকচালক বলেন, ছয় মাস ধরে মহাসড়কের এ অংশের এমন বেহাল দশা। মাঝেমধ্যে ইজিবাইক উল্টে যায়। বৃষ্টি হলে এই সামান্য দূরত্ব পাড়ি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

শম্ভুগঞ্জ বাজারে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। চাকা গর্তে পড়লে পানি ছিটকে আসে। চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েন। এ মহাসড়ক দিয়ে বালুবোঝাই ট্রাক চলাচল করে। অনেক সময় ট্রাক আটকে যায়। তখন সড়কে যানজট লেগে যায়।

সওজ সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম বাস টার্মিনাল থেকে শম্ভুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার। শম্ভুগঞ্জ হয়ে কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় চলাচল করেন মানুষ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের বাস শম্ভুগঞ্জ দিয়ে যাতায়াত করে। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংস্কারকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। এতে ব্যয় ধরা হয় ৮৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হয়েছে। আর মাত্র ৩০০ মিটারের কাজ বাকি। কাজটি করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই)। তবে প্রতিষ্ঠানটির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

সওজের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঠিকাদার ঠিকমতোই কাজ করছেন। ঈদ সামনে রেখে দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করা হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

শম্ভুগঞ্জে ৩০০ মিটারের কাজ এখনো শেষ হয়নি, দুর্ভোগ মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪১:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদামের আন্তনগর বাস টার্মিনাল থেকে শম্ভুগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ছিল। স্থানীয় ব্যক্তিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে এর সংস্কারকাজ শুরু হয়। কিন্তু শম্ভুগঞ্জ বাজারের কাছাকাছি এলাকার ৩০০ মিটারের কাজ এখনো শেষ হয়নি। ছয় মাস ধরে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। ময়মনসিংহ-শম্ভুগঞ্জ মহাসড়কটি সড়ক ও জনপথের (সওজ) অধীনে।

এলাকাবাসী বলেন, মহাসড়কের এ অংশে মানুষের ভোগান্তি নিত্যদিনের ঘটনা। তবে ঈদ সামনে রেখে ওই এলাকায় যানজট হলে ভোগান্তি আরও বাড়বে। তাই দ্রুত বাকি কাজ শেষ করার দাবি জানান তাঁরা। সওজের কর্মকর্তারা বলেন, আগামী জুনে এ কাজের মেয়াদ শেষ হবে। তাঁরা ঠিকাদারকে বলে ঈদযাত্রার আগেই বাকি কাজটুকু করিয়ে নেবেন।

ময়মনসিংহ জেলার ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদে যানবাহনের চাপ অনেক বাড়বে। সেটি মাথায় রেখে আরও ১৫ দিন আগে ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে লিখিতভাবে মহাসড়কের এ অংশ সংস্কার করার জন্য বলা হয়েছে। যদি সংস্কার না করা হয়, তাহলে ঈদে যানজটে ভোগান্তি হবে মানুষের।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে গিয়ে দেখা যায়, ওই ৩০০ মিটার এলাকায় বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পিচঢালাই নেই। হেলেদুলে চলছে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল। শম্ভুগঞ্জ মোড়ে দেখা যায়, ধুলায় ছেয়ে গেছে চারপাশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বৃষ্টি হলেও কাদায় পিচ্ছিল হয়ে পড়ে মহাসড়কের ওই অংশ। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষ করে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের চালকেরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। অনেক সময় অনেকে স্লিপ কেটে পড়ে যান।

মঞ্জুরুল হক নামের একজন ইজিবাইকচালক বলেন, ছয় মাস ধরে মহাসড়কের এ অংশের এমন বেহাল দশা। মাঝেমধ্যে ইজিবাইক উল্টে যায়। বৃষ্টি হলে এই সামান্য দূরত্ব পাড়ি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

শম্ভুগঞ্জ বাজারে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য বলেন, বৃষ্টি হলে গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। চাকা গর্তে পড়লে পানি ছিটকে আসে। চালকেরা ভোগান্তিতে পড়েন। এ মহাসড়ক দিয়ে বালুবোঝাই ট্রাক চলাচল করে। অনেক সময় ট্রাক আটকে যায়। তখন সড়কে যানজট লেগে যায়।

সওজ সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম বাস টার্মিনাল থেকে শম্ভুগঞ্জ মোড় পর্যন্ত মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার। শম্ভুগঞ্জ হয়ে কিশোরগঞ্জ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলায় চলাচল করেন মানুষ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোনা জেলা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের বাস শম্ভুগঞ্জ দিয়ে যাতায়াত করে। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল সংস্কারকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। এতে ব্যয় ধরা হয় ৮৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে ৩ দশমিক ২ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ হয়েছে। আর মাত্র ৩০০ মিটারের কাজ বাকি। কাজটি করছে ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (এনডিই)। তবে প্রতিষ্ঠানটির কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

সওজের ময়মনসিংহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঠিকাদার ঠিকমতোই কাজ করছেন। ঈদ সামনে রেখে দ্রুত সংস্কারকাজ শেষ করা হবে।