Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, জীবন দিয়েও দানবকে সরানো যাচ্ছে না : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, জীবন দিয়েও দানবকে সরানো যাচ্ছে না। তাই প্রয়োজন এখন সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যারা ন্যায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করতে চান, তাদের প্রত্যেককে এক হয়ে শুধু রাজপথে নেমে নয়, সোচ্চার কণ্ঠে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকি দিতে হবে। তাহলে আমরা ডা. জাফরুল্লাহ স্বপ্নকে কিছুটা বাস্তব করতে পারব।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, রাজনীতি-অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহভাবে আমাদের আক্রমণ করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হাত-পা ছুড়ছি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জীবন দিচ্ছে, তারপরও এই দানবকে (সরকারকে ইঙ্গিত করে) সরানো যাচ্ছে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখন প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যারা দেশকে ভালোবাসেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করার আর অবশিষ্ট কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর নামমাত্র নেই। ভয়াবহ শাসনের মধ্যে পড়েছে দেশ। অবলীলায় হত্যা ও গুম করা হয় এখানে। লুটপাট করে দেশের সংবিধান, নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে।

দেশ ভয়াবহ শাসনের মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অবলীলায় এখানে হত্যা, খুন করা হয়। এখানে বসে আছে সানজিদা, তার ভাইকে গুম করেছে ১২ বছর হয়ে গেছে। এ রকম অনেকের বাবা-ভাই, স্বামী গুম হয়ে গেছে। আর তারা (সরকারকে ইঙ্গিত করে) বলে, এরা পালিয়ে গেছে।

নাগরিক এই শোক সভায় কেউ সভাপতিত্ব করেননি। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ডক্টর হোসেন জিল্লুর, সুজন চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার , গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, বেলার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আহমেদ তিতুমীর, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণ অধিকার পরিষদের অন্য অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, আব্দুল হক ও মায়ের ডাক-এর সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অসুস্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, জীবন দিয়েও দানবকে সরানো যাচ্ছে না : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৪:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শত নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে, জীবন দিয়েও দানবকে সরানো যাচ্ছে না। তাই প্রয়োজন এখন সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। যারা ন্যায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চান, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করতে চান, তাদের প্রত্যেককে এক হয়ে শুধু রাজপথে নেমে নয়, সোচ্চার কণ্ঠে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝাঁকি দিতে হবে। তাহলে আমরা ডা. জাফরুল্লাহ স্বপ্নকে কিছুটা বাস্তব করতে পারব।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, রাজনীতি-অর্থনৈতিক সংকট ভয়াবহভাবে আমাদের আক্রমণ করছে। এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য হাত-পা ছুড়ছি। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জীবন দিচ্ছে, তারপরও এই দানবকে (সরকারকে ইঙ্গিত করে) সরানো যাচ্ছে না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখন প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া, যারা দেশকে ভালোবাসেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিচারব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গেছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। ধ্বংস করার আর অবশিষ্ট কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর নামমাত্র নেই। ভয়াবহ শাসনের মধ্যে পড়েছে দেশ। অবলীলায় হত্যা ও গুম করা হয় এখানে। লুটপাট করে দেশের সংবিধান, নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে।

দেশ ভয়াবহ শাসনের মধ্যে পড়েছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অবলীলায় এখানে হত্যা, খুন করা হয়। এখানে বসে আছে সানজিদা, তার ভাইকে গুম করেছে ১২ বছর হয়ে গেছে। এ রকম অনেকের বাবা-ভাই, স্বামী গুম হয়ে গেছে। আর তারা (সরকারকে ইঙ্গিত করে) বলে, এরা পালিয়ে গেছে।

নাগরিক এই শোক সভায় কেউ সভাপতিত্ব করেননি। এতে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ডক্টর হোসেন জিল্লুর, সুজন চেয়ারম্যান বদিউল আলম মজুমদার , গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত রায় চৌধুরী, বেলার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ডক্টর আসিফ নজরুল, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ফটো সাংবাদিক শহীদুল আলম, ব্রতীর নির্বাহী পরিচালক শারমিন মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. রাশেদ আহমেদ তিতুমীর, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণ অধিকার পরিষদের অন্য অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, আব্দুল হক ও মায়ের ডাক-এর সানজিদা ইসলাম প্রমুখ।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অসুস্থ হওয়ায় অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। তবে তারা সংহতি প্রকাশ করেছেন।