আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ডের জন্য মূল্য দিতে হবে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের। শনিবার (১১ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গত মাসে গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার পর থেকেই ইসরাইলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। তখন থেকেই ইসরাইলের সীমান্তে সেনাচৌকি লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলি বাহিনীও পাল্টা বিমান হামলা চালাচ্ছে।
শনিবারও (১১ নভেম্বর) ইসরাইলের তিনটি সামরিক চৌকিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলি বাহিনীও পাল্টা বিমান হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে। হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি স্থাপনা ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল।
লেবানন যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে জানিয়ে এর জন্য হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত। শনিবার ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি বলেন, হিজবুল্লার কর্মকাণ্ডের জন্য মূল্য দিতে হবে লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের। তিনি আরও বলেন, গাজার মত লেবাননে কি করতে হবে তা ভালো করেই জানে ইসরাইল।
এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলায় হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা বুরকান নামে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীটি প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ৩০০ থেকে ৫০০ কেজির বিস্ফোরক পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া প্রথমবারের মতো সশস্ত্র ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
শনিবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরাইলে হামলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। চলতি মাসের শুরুতে লেবাননে তিন বালিকা ও তাদের দাদীকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কিরিয়াত শমোনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। লেবানন ফ্রন্ট থেকে এই হামলা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, হিজবুল্লাহর সংঘাত একটি ভিন্ন পর্যায়ে প্রবেশ করেছে; এগুলো আর শুধু উস্কানি নয় বরং এগুলো সম্পূর্ণ আগ্রাসনের কাজ। এর মূল্য শেষ পর্যন্ত লেবাননের জনগণইকেই দিতে হবে।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে প্রবেশ করে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল হিজবুল্লাহকে না করতে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী তার ক্ষমতার মাত্র ১০ শতাংশ ব্যবহার করছে। বিমানবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে উত্তর সীমান্ত ও লেবাননে লক্ষ্য বস্তুগুলোতে হামলা চালানোর। এতে লেবাননের পরিণিত গাজার মতো হবে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় হিজবুল্লাহ নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে শনিবার এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন গোষ্ঠীটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। এছাড়া প্রথমবারের মতো সশস্ত্র ড্রোনও ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। এরপরই মূলত ইসরায়েলি প্রতিমন্ত্রী হিজবুল্লাহকে পাল্টা এই হুঁশিয়ারি দিলেন।