Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লুটেরাদের রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক নিষিদ্ধ : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ব্যাংক লুটেরাদের রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাংক ডাকাত, ভূমিদস্যু, নদীদখলকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মানুষ হত্যা ও লুটপাটের ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যলয়ের সামনে সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কেন? ব্যাংকে কত টাকা লুট হয়েছে, এই লুটকারীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী নাহলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন। এই লুট ও দুর্নীতি তথ্য যাতে সাংবাদিকরা না পায়, এই কারণে ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। কারণ যারা অপরাধী, তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তাদের দুর্নীতি-লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির লোকজন, যারা সত্যের পথে কথা বলে তারা আজ কারাগারে। যারা ব্যাংক ডাকাতি করছে, লুটপাট করছে, নদী-নালা খাল বিল দখল করছে, অন্যায় অবিচার দুর্নীতি করছে, তারা আজ দুর্দান্ত প্রত্যাপে সারা দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এটা প্রমাণিত।

তিনি বলেন, এই খরতাবা রোদ্রে আগুনের মতো পরিবেশে আপনারা আপনাদের কণ্ঠকে উচ্চারিত করেছেন, এ রকম যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার আগ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে চিরদিনের জন্য বাকশাল কায়েম করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়ব।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল বলেন, দুর্নীতির সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের ঘরবাড়ি ও বিক্রি করে দেবে। এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা কি আমাদের দেখতে হবে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই কণ্ঠকে আরো জোরালো করতে হবে। যাতে এই সরকারের হৃদকম্পন হয় সে আওয়াজ তুলতে হবে।

রিজভী বলেন, গতকাল আমি একটু বক্তব্য দিয়েছিলাম যে, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধ করে রেখেছে পার্শ্ববর্তী একটা দেশে। তো বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান একটি প্রশংসামূলক কথা বলেছে- এজন্য ওবায়দুল কাদের খুবই আনন্দিত। ওবায়দুল কাদের বলেছেন- পাকিস্তানও আমাদের প্রশংসা করে। আর তারা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির পিরিত। বিএনপি যা বলে, সত্য বলে স্পষ্ট বলে। আর ওরা (আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে। ওরা পিরিত করে তলে তলে। এটা ওবায়দুল কাদের ভাষা আমাদের ভাষা না। ওরা তলে তলে পিরিত করে কারণ ওরা অবৈধ। ওদের কোনো নীতি নাই, ওদের নীতি আছে লুটপাট-দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাঠানো।

ফরিদপুরে দুই সহোদর শ্রমিকের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, দু’জন শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর সরকারই বাধ্য হয়েছে গ্রেফতার করতে, কাকে? একজন চেয়ারম্যানকে। তিনি হলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্ত দুর্বৃত্তপনা, সন্ত্রাস, রক্তপাত করছে সরকারের লোকজন। এদের দিয়েই তো অন্যায় করা হয়েছে। এদের দিয়েই তো গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এরা ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে মানুষ হত্যার, টাকা লুটের।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সওগাত উল ইসলাম সগির, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, ইলিম মো. নাজমুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

লুটেরাদের রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক নিষিদ্ধ : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ব্যাংক লুটেরাদের রক্ষা করতেই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ব্যাংক ডাকাত, ভূমিদস্যু, নদীদখলকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মানুষ হত্যা ও লুটপাটের ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যলয়ের সামনে সাবেক ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতৃবৃন্দের আয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। কেন? ব্যাংকে কত টাকা লুট হয়েছে, এই লুটকারীরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী নাহলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজন। এই লুট ও দুর্নীতি তথ্য যাতে সাংবাদিকরা না পায়, এই কারণে ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ করেছে। কারণ যারা অপরাধী, তারা পাপকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তাদের দুর্নীতি-লুটপাট লুকিয়ে রাখার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তির লোকজন, যারা সত্যের পথে কথা বলে তারা আজ কারাগারে। যারা ব্যাংক ডাকাতি করছে, লুটপাট করছে, নদী-নালা খাল বিল দখল করছে, অন্যায় অবিচার দুর্নীতি করছে, তারা আজ দুর্দান্ত প্রত্যাপে সারা দেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এটা প্রমাণিত।

তিনি বলেন, এই খরতাবা রোদ্রে আগুনের মতো পরিবেশে আপনারা আপনাদের কণ্ঠকে উচ্চারিত করেছেন, এ রকম যে কোনো প্রতিকূল পরিবেশে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করার আগ পর্যন্ত সংগ্রাম করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে চিরদিনের জন্য বাকশাল কায়েম করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছে। আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে ছাড়ব।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল বলেন, দুর্নীতির সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের জনগণের ঘরবাড়ি ও বিক্রি করে দেবে। এ রকম দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার ক্ষমতায় থাকবে এটা কি আমাদের দেখতে হবে। প্রতিদিন প্রতিনিয়ত যে যেখানে আছেন, সেখান থেকেই কণ্ঠকে আরো জোরালো করতে হবে। যাতে এই সরকারের হৃদকম্পন হয় সে আওয়াজ তুলতে হবে।

রিজভী বলেন, গতকাল আমি একটু বক্তব্য দিয়েছিলাম যে, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বন্ধ করে রেখেছে পার্শ্ববর্তী একটা দেশে। তো বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান একটি প্রশংসামূলক কথা বলেছে- এজন্য ওবায়দুল কাদের খুবই আনন্দিত। ওবায়দুল কাদের বলেছেন- পাকিস্তানও আমাদের প্রশংসা করে। আর তারা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির পিরিত। বিএনপি যা বলে, সত্য বলে স্পষ্ট বলে। আর ওরা (আওয়ামী লীগ) বলে তলে তলে। ওরা পিরিত করে তলে তলে। এটা ওবায়দুল কাদের ভাষা আমাদের ভাষা না। ওরা তলে তলে পিরিত করে কারণ ওরা অবৈধ। ওদের কোনো নীতি নাই, ওদের নীতি আছে লুটপাট-দুর্নীতি আর বিদেশে টাকা পাঠানো।

ফরিদপুরে দুই সহোদর শ্রমিকের হত্যার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, দু’জন শ্রমজীবী মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যা করার পর সরকারই বাধ্য হয়েছে গ্রেফতার করতে, কাকে? একজন চেয়ারম্যানকে। তিনি হলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান। প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্ত দুর্বৃত্তপনা, সন্ত্রাস, রক্তপাত করছে সরকারের লোকজন। এদের দিয়েই তো অন্যায় করা হয়েছে। এদের দিয়েই তো গণতন্ত্রকামী মানুষের মিছিলে হামলা করা হয়েছে। এরা ফ্রি লাইসেন্স পেয়ে গেছে মানুষ হত্যার, টাকা লুটের।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, যুবদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক সওগাত উল ইসলাম সগির, আশরাফ উদ্দিন রুবেল, ইলিম মো. নাজমুল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।