স্পোর্টস ডেস্ক :
জীবন কখনো কখনো সুযোগ করে দেয় নায়ক হতে। আর সেই সুযোগ কজনই বা পারেন কাজে লাগাতে। যারা পারেন তাদের একজন রিংকু সিং। রোববার (৯ এপ্রিল) আহমেদাবাদে নায়ক বনে যাওয়ার সুযোগ লুফে নিতে ভুললেন না কলকাতা নাইট রাইডার্সের এই ব্যাটার। শেষ ওভারে গুজরাটের বোলার ইয়াশ দয়ালের ৫ বলে ৫ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় উপহার দিয়েছেন। আর তাতে একটি লজ্জার রেকর্ড থেকে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশি পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা বাংলাদেশের এক মহাতারকার নাম। ক্রিকেট বিশ্বে তিনি একজন যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। নিজের জীবনের চেয়ে বড় করে দেখেছেন ক্রিকেটকে। পায়ে কাটাছেড়া নিয়ে দিব্যি খেলে গেছেন বছরের পর বছর। কিছুটা এদিক সেদিক হলেই আজীবনের জন্য পঙ্গু হতে পারেন, এমন শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও লাল-সবুজের জার্সিতে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিশ্ব মঞ্চে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই গ্রহচারীর নামের পাশে রয়েছে অজস্র অর্জন। পাশাপাশি তার নামের পাশে একটি লজ্জার রেকর্ডও আছে। প্রায় ১৪ বছর আগে অর্থাৎ ২০০৯ সালের আইপিএলে কলকাতা হয়ে মাশরাফির খেলা একটি ম্যাচের দৃশ্য আবারো সবার নজরে এসেছে। কেননা ডেকান চার্জাসের বিপক্ষে সেই ম্যাচে শেষ ওভারে মাশরাফি দিয়েছিলেন ২৬ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২১ রান দরকার ছিল ডেকানের, কিন্তু সেই ওভারে ম্যাশ দিয়েছিলেন ২৬ রান।
রোববার (৯ এপ্রিল) আইপিএলে এক অবিশ্বাস্য ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে গোটা ক্রিকেট দুনিয়া। ইনিংসের শেষ পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছেন কলকাতার ব্যাটার রিংকু সিং। গুজরাট পেসার যশ দয়ালের সেই ওভারে কলকাতার ব্যাটাররা তুলে নেন ৩১ রান, যা আইপিএলের ইতিহাসে রান তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে সর্বোচ্চ রান তুলে নেওয়ার রেকর্ড। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল টাইগার পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার। ২০০৯ সালে শেষ ৬ বলে ২১ রান তাড়া করতে গিয়ে মাশরাফির ওভার থেকে ২৬ রান তুলেছিল ডেকান চার্জাস। এবার ১৪ বছর পর তার সেই রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন যশ দয়াল।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ওই আসরে কলকাতার হয়ে ওই একটি ম্যাচই খেলেছিলেন মাশরাফী। আর সে এক ম্যাচেই শেষ মাশরাফীর আইপিএল ক্যারিয়ার। ৪ ওভার বল করে ৫৮ রান দিয়ে ম্যাচটিতে উইকেটশূন্য ছিলেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক।