নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ১৬ এপ্রিল দুর্ঘটনায় পড়েছিল চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। যে কারণে পরের দিন ১৭ এপ্রিল ঢাকা স্টেশন থেকে ট্রেনটির শিডিউল যাত্রা বাতিল করা হয়। তবে সেদিনের যাত্রীরা বুধবার (১৯ এপ্রিল) ‘সোনার বাংলা স্পেশাল’ ট্রেনে চেপে ঢাকা স্টেশন ছেড়েছেন।
এদিন ৩০ মিনিট বিলম্বে সকাল সাড়ে ৮টায় এই স্পেশাল ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনের ২ নাম্বার প্লাটফর্ম থেকে ছেড়ে যায়।
নির্দিষ্ট সময়ের দুই দিন পর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। ট্রেনটির চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ১৭ এপ্রিল সকাল ৭টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সে সময় বিক্রি হয়েছিল ৫৮৪ টিকিট। তবে শিডিউল বাতিল করায় এর মধ্যে ২৬৭টি টিকিট রি-ফান্ড করা হয়। আর বাকি ৩১৭ জন যাত্রীসহ ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
৩০২০ নাম্বার মিটারগেজ লোকমোটিভের সঙ্গে ১৪ কোচের বিশেষ এই ট্রেনে যাত্রী আছেন ৩১৭ জন। আজ লোকমোটিভ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন লোকমাস্টার নজরুল ইসলাম এবং সহকারী লোকমাস্টার মো. মজিবুর রহমান। ট্রেনের গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাইমুল শিকদার।
ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা ১৭ এপ্রিলের এই ট্রেনের মোট ৫৮৪টি আসন বিক্রয় করেছিলাম। এর মধ্যে দুর্ঘটনার পর ২৬৭টি আসন রিফান্ড করেন যাত্রীরা। অবশিষ্ট ৩১৭ জন যাত্রী এই ট্রেনে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, লাভ-লোকসান বড় কথা নয়। যাত্রীদের আস্থা ধরে রাখা ও তাদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
ওই ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদ যাত্রায় তারা ১৭ তারিখের টিকিট কিনেছিলেন। তবে দুদিন পর ১৯ এপ্রিল তাদের ঢাকা ছেড়ে যাওয়ায় কোনো ধরনের লস হয়নি। বরং তাদের জন্য আরও ভালো হয়েছে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের যাত্রী মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় যুদ্ধ করে টিকিট সংগ্রহের পর যদি সেই টিকিট ফেরত দিতে হতো তাহলে আমাদের জন্য সেটি হতো ঈদযাত্রায় বড় বিড়ম্বনা। কারণ আমার পরিবারের অন্য সদস্যরা বাস জার্নি করতে পারেন না। সুতরাং দুই দিন পরে হলেও নির্বিঘ্নভাবে যেতে পারছি, এটাই বড় কথা।
উল্লেখ্য, গত রোববার সন্ধ্যায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর স্টেশনে মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায় সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিনসহ কয়েকটি বগি। পরে এ ঘটনায় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (লোকোমাস্টার) মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী লোকোমাস্টার মো. মহসীন ও গার্ড আবদুল কাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।