বিনোদন ডেস্ক : 

কঙ্গনা রানাউত চড় কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত ভারত। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন খবর দিলেন টলিউড অভিনেতা এবং চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী। এক রেস্তোরা মালিককে চড় মেরেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, শুক্রবার (৭ জুন) রাতে নিউটাউনের একটি রেস্তোরাঁর সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। মারধরের বিষয়টি নিজে থেকেই স্বীকার করেছেন সোহম।

প্রতিদবেন থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন নিউটাউন সাপুরজি এলাকায় সোহমের শুটিং চলছিল। সেখানে একটি রেস্তোরাঁর বাইরে শুটিংয়ের অনেক গাড়ি রাখা ছিল। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক তার হোটেলের সামনে থেকে একটি গাড়ি সরিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা উত্তর দেন, বিধায়কের শ্যুটিং চলছে, তাই এখান থেকে কোনো গাড়ি সরবে না।

এমন উত্তরে তখন কড়া ভাষায় গাড়ি সরাতে বলেন ওই রেস্তোরাঁ মালিক। বলেন, বিধায়ক যেই হোক না কেন, গেট থেকে গাড়ি সরাতে হবে। আমার গেস্ট আসবে। আর এ কথা থেকেই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। হইচই শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সোহম। একপর্যায়ে হাতাহাতি, এরপর ঘটে চড় কাণ্ড। অভিযোগ উঠেছে, ওই রেস্তোরাঁর মালিককে চড়-ঘুষি-লাথি মেরেছেন অভিনেতা। দেয়া হয়েছে রেস্তোরাঁ বন্ধ করার হুমকিও।

বিষয়টি নিয়ে সোহম বলেছেন, হোটেলের মালিক দাম্ভিক আচরণ শুরু করেন। আমি শুনতে পাই যে, ‘কে এমএলএ আমার জানার দরকার নেই’। সব থেকে বড় কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাজে কথা বলেছেন। তখনই মাথাটা গরম হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ, মেরেছি।

এদিকে মালিকের দাবি, তিনি শুধু হোটেলের গেট থেকে গাড়ি সরিয়ে পার্কিংয়ে রাখতে বলেছিলেন। আর এ কারণেই তার উপর চড়াও হন সোহম ও তার নিরাপত্তারক্ষীরা। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ওই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই মালিক।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে ক্ষমা চেয়ে সোহম বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালিগালাজ করায় আমার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। আমাকে ও আমার দেহরক্ষীকেও কটূক্তি করা হয়। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।