Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল সামিটে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন বৈধপথে অনেক বেশি মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। রেমিট্যান্সটা যদি বাড়তো, তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

তিনি বলেন, বিদেশ যাচ্ছে তো বহু মানুষ। তারা সেভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে না। যেভাবে রেমিট্যান্স আগে আসতো, এখন তার চেয়েও বেশি আসার কথা। অথচ ধীরে ধীরে তা কমে যাচ্ছে। এটার চিন্তার বিষয়, খতিয়ে দেখার বিষয়। কেন এমনটা হচ্ছে, সেটাই এখন খুঁজছি আমরা।

তরুণ-যুবকরা দেশকে ভালোবাসেন, তারা বৈধপথেই রেমিট্যান্স পাঠাবেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি- তরুণরা অনেক সচেতন। অনেক তরুণ-যুবক স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। তাদের পরিবার দেশে। তাদের জন্য তো তারা অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। শ্রমিকরাও বৈধপথে বিদেশ যাচ্ছেন। রেমিট্যান্স আসার অনুপাত তো বিদেশে যাওয়া মানুষের যে হার, তার সঙ্গে মেলে না।

রেমিট্যান্স ঠিক তো, অর্থনীতিও ঠিক এমন মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হবে, খতিয়ে দেখতে হবে। বছরের শুরুর দিকে যেভাবে আসছিল, সেটা হঠাৎ কমতে শুরু করলো কেন? দ্রুত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সমাধানের পথ বের করতেই হবে।

রেমিট্যান্স কাঠামো সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞর কাছে আমরা চমৎকার কিছু উদ্ভাবনী পরামর্শ চাই। আপনারা রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখতে সংস্কারের প্রস্তাব দেন, আমাদের ভালো ভালো পরামর্শ দেন; আমরা তা গ্রহণ করবো এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

জিডিপি ধারা অব্যাহত রাখতেও সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি তো বেশ ভালো। করোনার মধ্যেও আমরা জিডিপি ধরে রাখতে পেরেছি। শুধু বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে, এটাকে (জিডিপি) কীভাবে আরও টেকসই করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং বিশ্বব্যাংকের গভর্ন্যান্স গ্লোবাল প্রাকটিসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্র্যাকটিস ম্যানেজার হিশাস ওয়েলি।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থপনা পুনর্গঠন বিষয়ে প্যানেল আলোচনা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্স বাড়াতে সরকার কাঠামোগত সংস্কারের পথ খুঁজছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে আয়োজিত দিনব্যাপী ‘পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল সামিটে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন বৈধপথে অনেক বেশি মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই অনুপাতে দেশে রেমিট্যান্স আসছে না। রেমিট্যান্সটা যদি বাড়তো, তাহলে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

তিনি বলেন, বিদেশ যাচ্ছে তো বহু মানুষ। তারা সেভাবে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে না। যেভাবে রেমিট্যান্স আগে আসতো, এখন তার চেয়েও বেশি আসার কথা। অথচ ধীরে ধীরে তা কমে যাচ্ছে। এটার চিন্তার বিষয়, খতিয়ে দেখার বিষয়। কেন এমনটা হচ্ছে, সেটাই এখন খুঁজছি আমরা।

তরুণ-যুবকরা দেশকে ভালোবাসেন, তারা বৈধপথেই রেমিট্যান্স পাঠাবেন জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি- তরুণরা অনেক সচেতন। অনেক তরুণ-যুবক স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে গিয়ে স্থায়ী হচ্ছেন। তাদের পরিবার দেশে। তাদের জন্য তো তারা অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। শ্রমিকরাও বৈধপথে বিদেশ যাচ্ছেন। রেমিট্যান্স আসার অনুপাত তো বিদেশে যাওয়া মানুষের যে হার, তার সঙ্গে মেলে না।

রেমিট্যান্স ঠিক তো, অর্থনীতিও ঠিক এমন মন্তব্য করে মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে হবে, খতিয়ে দেখতে হবে। বছরের শুরুর দিকে যেভাবে আসছিল, সেটা হঠাৎ কমতে শুরু করলো কেন? দ্রুত রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সমাধানের পথ বের করতেই হবে।

রেমিট্যান্স কাঠামো সংস্কার করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিবিদ, বিশেষজ্ঞর কাছে আমরা চমৎকার কিছু উদ্ভাবনী পরামর্শ চাই। আপনারা রেমিট্যান্স প্রবাহ ঠিক রাখতে সংস্কারের প্রস্তাব দেন, আমাদের ভালো ভালো পরামর্শ দেন; আমরা তা গ্রহণ করবো এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।

জিডিপি ধারা অব্যাহত রাখতেও সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি তো বেশ ভালো। করোনার মধ্যেও আমরা জিডিপি ধরে রাখতে পেরেছি। শুধু বাড়ানোর দিকে নজর না দিয়ে, এটাকে (জিডিপি) কীভাবে আরও টেকসই করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক এবং বিশ্বব্যাংকের গভর্ন্যান্স গ্লোবাল প্রাকটিসের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্র্যাকটিস ম্যানেজার হিশাস ওয়েলি।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থপনা পুনর্গঠন বিষয়ে প্যানেল আলোচনা হয়।