Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ডের দিনে আফ্রিকার বড় জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ২৪৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকার রানপাহাড়ে চাপা পড়লেও উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য ৪২৯ রানের। বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে একেবারে ভেঙে পড়েনি লঙ্কানরা। বিশ্বকাপের রেকর্ড সংগ্রহকে টপকে যেতে না পারলেও পরবর্তী ম্যাচগুলোতে লড়াই করার রসদ যোগাড় করতে পেরেছে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাদেরকে ১০২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দাপুটে শুরু হলো দক্ষিণ আফ্রিকার।

এদিন খেলতে নেমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড বই তোলপাড় করে প্রোট্রিয়া ব্যাটাররা। তিন সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রানের বিশ্বরেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৪.৫ বলে ৩২৬ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

৪২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লঙ্কানদের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। দলীয় এক রানেই সাজঘরে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। তিনে নামা কুশাল মেন্ডিস যেন হাল ছাড়তে নারাজ। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন শুরুতেই। এরপরই খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। একপর্যায়ে স্কোর ছিল এমন, দলীয় রান ৫৪, কুশাল মেন্ডিস ৫১। অপর ব্যাটার কুশাল পেরেরা তখনও রানের খাতাই খোলেননি।

কুশাল পেরেরা আর বড় কিছু করতেও পারেননি। ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরেছেন তিনি। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শুরু হয় মেন্ডিসের সংগ্রাম। এই জুটি যোগ করে ৪২ রান। দারুণ খেলতে থাকা মেন্ডিস ফেরেন ৪২ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

দুই রান পরেই আবার উইকেটের পতন। কোয়েটজের বলে আউট সামারাবিক্রমা। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। তবে হাল ছাড়তে রাজি ছিল না ৯৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাট হাতে এবার নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ৮ চার এবং ৪ ছয়ে খেলেছেন ৬৫ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। তবে দলীয় ২৩২ রানে আসালাঙ্কা ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এর এক রান পরেই আউট দুনিথ ভেল্লালাগে।

কাসুন রাজিথাকে নিয়ে এরপর লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। অধিনায়ক হয়ে খেলেছেন অধিনায়কের মতোই ইনিংস। তার ৬৮ রানের ইনিংস কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল লঙ্কানদের। তবে কেশব মহারাজের বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার স্বপ্নটাও শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানে।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সিদ্ধান্তটি নিয়ে হয়তো অনুশোচনা বোধ করছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাট করতে নেমে রেকর্ডবুক তোলপাড় করে দেওয়া এক ইনিংস উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম আগে থেকেই ব্যাটিংবান্ধব হিসেবে পরিচিত। এবার তাতে যেন রানের বন্যা বসিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।

অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ছাড়া বাকি ব্যাটারা চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটায় পাথিরানা-মাধুশাঙ্কাদের ওপর। কুইন্টন ডি কক, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও অ্যাইডেন মার্করাম তিন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।

যদিও দলীয় ১০ রানে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় তারা। মাত্র ৮ রানে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এরপর দ্বিতীয় জুটিতে ২০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ডুসেন-ডি কক। পাথিরানাকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। শতরানের পরের বলেই বেবি মালিঙ্গাকে স্টেডিয়াম ছাড়া করতে গিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে তালুবদ্ধ হন প্রেটিয়া ওপেনার।

ডি কক আউট হওয়ার পর মারকামকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ডুসেন। ১০৩ বলে তিনিও তুলে নেন সেঞ্চুরি। শতকের পর রানের চাকা আরও বাড়াতে গিয়ে ওয়েল্লাগেকে উইকেট বিলিয়ে আসেন ডুসেন। ক্রিজে নেমে তাণ্ডব চালান মার্করাম ও ক্লাসেন। ৩৬ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ রানে আউট হন ক্লাসেন।

শেষ ১০ ওভারে লঙ্কান বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান মার্করাম ও মিলার। এমন বড় স্কোরের দিনে বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন মার্করাম। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৪৯ বলে পৌঁছে গিয়েছেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করা হয়নি মার্করামের। ৫৩ বলে ১০৬ রান করে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে আউট হয়েছেন তিনি। এছাড়া মাত্র ২১ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। শেষ ১০ ওভারে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা ৮৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

রেকর্ডের দিনে আফ্রিকার বড় জয়

প্রকাশের সময় : ১১:১৩:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকার রানপাহাড়ে চাপা পড়লেও উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য ৪২৯ রানের। বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে একেবারে ভেঙে পড়েনি লঙ্কানরা। বিশ্বকাপের রেকর্ড সংগ্রহকে টপকে যেতে না পারলেও পরবর্তী ম্যাচগুলোতে লড়াই করার রসদ যোগাড় করতে পেরেছে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তাদেরকে ১০২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দাপুটে শুরু হলো দক্ষিণ আফ্রিকার।

এদিন খেলতে নেমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে রেকর্ড বই তোলপাড় করে প্রোট্রিয়া ব্যাটাররা। তিন সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৪২৮ রানের বিশ্বরেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৪.৫ বলে ৩২৬ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।

৪২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে লঙ্কানদের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। দলীয় এক রানেই সাজঘরে ফিরে যান পাথুম নিশাঙ্কা। তিনে নামা কুশাল মেন্ডিস যেন হাল ছাড়তে নারাজ। রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন শুরুতেই। এরপরই খেললেন অসাধারণ এক ইনিংস। একপর্যায়ে স্কোর ছিল এমন, দলীয় রান ৫৪, কুশাল মেন্ডিস ৫১। অপর ব্যাটার কুশাল পেরেরা তখনও রানের খাতাই খোলেননি।

কুশাল পেরেরা আর বড় কিছু করতেও পারেননি। ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরেছেন তিনি। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে শুরু হয় মেন্ডিসের সংগ্রাম। এই জুটি যোগ করে ৪২ রান। দারুণ খেলতে থাকা মেন্ডিস ফেরেন ৪২ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।

দুই রান পরেই আবার উইকেটের পতন। কোয়েটজের বলে আউট সামারাবিক্রমা। ১১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় লঙ্কানরা। তবে হাল ছাড়তে রাজি ছিল না ৯৬ এর চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাট হাতে এবার নায়ক চারিথ আসালাঙ্কা। ৮ চার এবং ৪ ছয়ে খেলেছেন ৬৫ বলে ৭৯ রানের ইনিংস। তবে দলীয় ২৩২ রানে আসালাঙ্কা ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এর এক রান পরেই আউট দুনিথ ভেল্লালাগে।

কাসুন রাজিথাকে নিয়ে এরপর লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। অধিনায়ক হয়ে খেলেছেন অধিনায়কের মতোই ইনিংস। তার ৬৮ রানের ইনিংস কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল লঙ্কানদের। তবে কেশব মহারাজের বলে আউট হওয়ার পর শ্রীলঙ্কার স্বপ্নটাও শেষ হয়ে যায়। লঙ্কানদের ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমেছে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রানে।

দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রোটিয়াদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সিদ্ধান্তটি নিয়ে হয়তো অনুশোচনা বোধ করছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ব্যাট করতে নেমে রেকর্ডবুক তোলপাড় করে দেওয়া এক ইনিংস উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম আগে থেকেই ব্যাটিংবান্ধব হিসেবে পরিচিত। এবার তাতে যেন রানের বন্যা বসিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা।

অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ছাড়া বাকি ব্যাটারা চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটায় পাথিরানা-মাধুশাঙ্কাদের ওপর। কুইন্টন ডি কক, রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও অ্যাইডেন মার্করাম তিন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন।

যদিও দলীয় ১০ রানে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় তারা। মাত্র ৮ রানে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এরপর দ্বিতীয় জুটিতে ২০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ডুসেন-ডি কক। পাথিরানাকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেন ডি কক। শতরানের পরের বলেই বেবি মালিঙ্গাকে স্টেডিয়াম ছাড়া করতে গিয়ে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে তালুবদ্ধ হন প্রেটিয়া ওপেনার।

ডি কক আউট হওয়ার পর মারকামকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ডুসেন। ১০৩ বলে তিনিও তুলে নেন সেঞ্চুরি। শতকের পর রানের চাকা আরও বাড়াতে গিয়ে ওয়েল্লাগেকে উইকেট বিলিয়ে আসেন ডুসেন। ক্রিজে নেমে তাণ্ডব চালান মার্করাম ও ক্লাসেন। ৩৬ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ৩২ রানে আউট হন ক্লাসেন।

শেষ ১০ ওভারে লঙ্কান বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান মার্করাম ও মিলার। এমন বড় স্কোরের দিনে বিশ্বকাপের রেকর্ডবুকে নিজের নাম তুলেছেন মার্করাম। বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৪৯ বলে পৌঁছে গিয়েছেন সেঞ্চুরির মাইলফলকে। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস বড় করা হয়নি মার্করামের। ৫৩ বলে ১০৬ রান করে দিলশান মাদুশাঙ্কার বলে আউট হয়েছেন তিনি। এছাড়া মাত্র ২১ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন মিলার। শেষ ১০ ওভারে ১৩৭ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা ৮৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট শিকার করেন।