আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ দোনেৎস্কের ইউক্রেন নিয়ন্ত্রিত পোকরোভস্ক ও রিভাইন শহরে রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ শিশু সহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও আটজন।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দোনেৎস্কের আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, ইউক্রেন-শাসিত পোসরোভস্ক শহরে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৫ শিশুসহ মোট ১১ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। নিহত এবং আহতদের সবাই বেসামরিক নাগরিক।
গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেন, শত্রুরা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। তারা যতটা পাড়ছে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালিয়ে দুর্দশা বাড়াতে চাইছে।
শুক্রবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে পোকরোভোস্ক এবং রিভাইন শহরের বিভিন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে ইউক্রেনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস অব ইউক্রেন (এসইএস)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই উদ্ধার অভিযানের বিভিন্ন ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনী বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, রাশিয়ার সবসময়ই এ ধরনের হামলার পরিণতির কথা চিন্তা করা উচিত।
তবে ওই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। দোনেৎস্ক শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার (৪৩ মাইল) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পোকরোভস্ক শহরটি অবস্থিত। ওই শহরটি এখন রুশ বাহিনীর দখলে রয়েছে।
ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ হাজার। যুদ্ধের কারণে অনেকেই শহর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে কর্মকর্তারা বিপজ্জনক পরিস্থিতির বিষয়ে সতর্ক করার পরেও অনেক বাসিন্দাই আবার শহরে ফিরতে শুরু করেছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইউক্রেনে সবচেয়ে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। এরপরেই রুশ সীমান্তে ৭০টির বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী।