রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :
রাজশাহীতে রানী (৪৫) নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলকে লাথি-ঘুষির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন গনক পাড়াস্থ হোটেল রহমানিয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, ওই নারীর বাড়ি নাটোরে। সংসার জীবনে স্বামী না থাকলেও ১০ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর ওই নারীর পরিবারকে জানানো হয়েছে। তারা এলে বিস্তারিত জানা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি মানসিক রোগী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে ডিউটরত ছিলেন ট্রাফিক সদস্য কনস্টেবল মো. বজলু। নগরীর গণকপাড়ায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করছিল। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় চড়ে যাচ্ছিলেন রানী। দায়িত্ব পালনকালীন সময় তিনি পুলিশের বেস্টনি অতিক্রম করে যানবাহন ভেতরে প্রবেশে বাধা দিচ্ছিলেন। এসময় রিকশা যোগে রানী নামের ওই নারী বেস্টনি ভেঙে যেতে চাইলে কনস্টেবল বজলু তাকে বাধা দেন। এতে বজলুর সঙ্গে ওই নারী তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ট্রাফিকের ওই নারী কনস্টেবল এগিয়ে আসলে তাকে লাথিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক সার্জেন্ট ফিরোজ বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন। বোয়ালিয়া থানা পুলিশ রিকশার যাত্রী রানীকে হেফাজতে নেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ফিরোজ জানান, সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছিল। এ সময় রানী নামে এক নারী অটোরিকশা থেকে নেমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। ওই নারী সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের কোণগুলো লাথি দিয়ে ফেলে দেন। একপর্যায়ে তিনি কনস্টেবল বজলুর দিকে তেড়ে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেন। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, ওই নারী মানসিক রোগী বলে জানিয়েছেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসাপত্রের কাগজপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। রানীর পরিবারের লোকজন আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।