তিনি আরও জানান, ‘আমরা ওই হোস্টেলের কাজের বুয়া থেকে জানতে পেরেছি, রুমের দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। পরে ভেতরে ঢুকে দেখতে পায় সিলিং ফ্যানে সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এরপর হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ৯৯৯-এ খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।’
তিনি জানান, নিহত নারীর দুইবার বিয়ে হয়েছে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার একটি মেয়ে এবং দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে একটি ছেলে রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার নাজিরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার মো. জাকির হোসেন ও মা নুরজাহান বেগমের মেয়ে। বর্তমানে তিনি হাজারীবাগ জিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার ২৫/৭/১ রোডের জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেলের পঞ্চম তলায় থাকতেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের সাবেক স্বামী মো. বিপ্লব সরকার জানান, তার সঙ্গে জান্নাতারা রুমীর ডিভোর্স ৪-৫ মাস আগে হয়েছে। আগে তার আরেকজন স্বামী ছিলেন, সেখানে ও ডিভোর্স হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিয়ের পর আমরা নওগাঁর নাজিরপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতাম। প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার একটি আট বছরের মেয়ে (নাম: মুনতাহা) রয়েছে, আর আমার সঙ্গে সংসারে তার সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে (নাম: আয়মান) রয়েছে। একদিন সে আমাকে বলেছিল, ‘তুমি ঘর থেকে বের হয়ে যাও, তোমাকে আমার দরকার নেই।’ এরপর গত ৩-৫ মাস ধরে তার সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না।’
তিনি আরও জানান, রুমী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করতেন। ৫ আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন এবং পরবর্তীতে এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। পরে পুলিশ ফোন করে তার আত্মহত্যার খবর জানায়।
নিহতের খালাতো ভাই মোসোয়েইব হোসেন জানান, রুমী ঢাকায় ওই ছাত্রী হোস্টেলে একাই থাকতেন। তার দুটি সন্তান রয়েছে, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে, যারা নওগাঁয়ের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় এবং পরবর্তীতে এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 






















