Dhaka শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুন নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কতজন দগ্ধ হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর অল্প কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের সামনে ট্রেনে আগুন লাগে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, রাত ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে আগুন লাগার খবর আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। পরে আরও তিনটি ইউনিট বাড়ানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনটির ‌‘চ’ বগির একটি সিটে প্রথমে আগুন লাগে। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন যাত্রীরা। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় নিচে নেমে আসেন। তবে এ সময় অনেক যাত্রী ভেতর থেকে বের হতে পারেননি বলে শঙ্কা রয়েছে। বের হতে না পারাদের মধ্যে একজনকে বগিতে আগুনে দগ্ধ হতে দেখা যায়। তবে ভেতরে কত লোক আছে সেটা জানা যায়নি।

রাত ১১টা ৬ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকেই প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের এই ট্রেনটি বেনাপোল থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে কমলাপুরের দিকে যাচ্ছিল। গোপীবাগে এসে চলন্ত ট্রেনেই আগুন লাগে। পরে ট্রেনটি সেখানেই থামায় চালক।

তিনি বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি লাশ পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছে। ‌এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুর্বৃত্তদের কাজ হতে পারে। আবার শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে। তদন্ত করে আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৩টি বগিতে আগুন লাগে। পরে আরও একটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এ ঘটনায় সামান্য যারা দগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার পর ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মোহাম্মদপুরের সহকারী পুলিশ কমিশনারসহ ৩ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

রাজধানীর গোপীবাগে ট্রেনে আগুন নিহত ৪

প্রকাশের সময় : ১০:২৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের নিহতের খবর পাওয়া গিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে কতজন দগ্ধ হয়েছেন সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে ট্রেনটিতে আগুন লাগে। বেনাপোল থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ঢাকায় আসছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছানোর অল্প কিছুক্ষণ আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজারের সামনে ট্রেনে আগুন লাগে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইকবাল হোসেন বলেন, বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, রাত ৯টা ৫ মিনিটে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে আগুন লাগার খবর আসে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়। পরে আরও তিনটি ইউনিট বাড়ানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনটির ‌‘চ’ বগির একটি সিটে প্রথমে আগুন লাগে। প্রাথমিক পর্যায়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন যাত্রীরা। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় নিচে নেমে আসেন। তবে এ সময় অনেক যাত্রী ভেতর থেকে বের হতে পারেননি বলে শঙ্কা রয়েছে। বের হতে না পারাদের মধ্যে একজনকে বগিতে আগুনে দগ্ধ হতে দেখা যায়। তবে ভেতরে কত লোক আছে সেটা জানা যায়নি।

রাত ১১টা ৬ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকেই প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, বেনাপোল এক্সপ্রেসের এই ট্রেনটি বেনাপোল থেকে পদ্মা ব্রিজ হয়ে কমলাপুরের দিকে যাচ্ছিল। গোপীবাগে এসে চলন্ত ট্রেনেই আগুন লাগে। পরে ট্রেনটি সেখানেই থামায় চালক।

তিনি বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি লাশ পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছে। ‌এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুর্বৃত্তদের কাজ হতে পারে। আবার শট সার্কিট থেকেও আগুন লাগতে পারে। তদন্ত করে আগুন লাগার আসল কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ৩টি বগিতে আগুন লাগে। পরে আরও একটি বগিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এ ঘটনায় সামান্য যারা দগ্ধ হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে তারা চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে ফায়ার সার্ভিস আসার পর ৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।