Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজধানীতে সিটি সার্ভিসের অবস্থা

রাজধানীতে সিটি সার্ভিসের অবস্থা

ইকবাল এসি বাস

মতিঝিল-আবদুল্লাহপুর রুটে গ্রিন ঢাকা, মিরপুর ডিওএইচএস-কারওয়ানবাজার রুটে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, গুলশান এলাকায় ঢাকা চাকা ও গুলশান চাকা, সাইনবোর্ড থেকে উত্তরা আব্দুলাহপুর রুটে ইকবাল এসি বাস সার্ভিস এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে শীতল পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলে। তবে এসব বাসের সংখা কত তা জানা যায়নি। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হিসাব করে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম ভাড়া বিআরটিসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে। সবচেয়ে বেশি ভাড়া গুলশান চাকা ও গ্রিন ঢাকা পরিবহনের।

ইকবাল এসি বাসে দেখা গেছে, সাইনবোর্ড থেকে উত্তরা আব্দুলাহপুর পর্যন্ত এই রুটে ২০ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। আবার বাসে চড়ে নিকট দূরত্বে যেখানেই যাত্রী নামুক না কেন, ৬০ টাকা নির্ধারিত ভাড়া দিতে হচ্ছে। এই বাসে মোট সিট রয়েছে ৪০টি।

মতিঝিল থেকে আব্দুলাহপুর রুটে চলাচলকারী গ্রিন ঢাকা এসি বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া এখন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫০ টাকা। আগে এই বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। জ্বালানির দাম বাড়ার পর এই বাস সার্ভিসে স্টপেজপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে।

কাকলী থেকে নতুন বাজার এবং গুলশান শ্যুটিং ক্লাব থেকে গুলশান ২ নম্বর পর্যন্ত চলাচলকারী ঢাকা চাকা পরিবহনের বাস ভাড়া ৩০ টাকা। আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের এ পথে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দিতে হয় ১২ টাকা।

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রিন ঢাকা পরিবহনের পরিচালক মমিনুল্লাহ মামুন অবশ্য ভালো সেবা দিচ্ছেন দাবি করে বলেন, ভালো সেবা পেতে হলে ভাড়া বেশি দিতেই হবে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই বেশি কাউন্টার এবং ভাড়ার বেশি ধাপ রাখা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

মমিনুল্লাহ মামুন বলেন, আমরা প্রথমে ভাড়ার কয়েকটি স্ল্যাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের এই গাড়ির বেশিরভাগ যাত্রীই উত্তরা এলাকার এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন এমন। তারা চায় না অনেকগুলো স্টপেজ থাকুক।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া নিয়ে নীতিমালা থাকা দরকার বলে মনে করেন শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে অনেক ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলে। এজন্য কাজটা একটু কঠিনও। আমাদের এখানে ২৭, ৩১, ৩৬ ও ৪০ সিটের গাড়ি আছে। আবার ভলভো, ম্যান, স্ক্যানিয়া, হিনো, হুন্দাই, মিৎসুবিশি, ইসুজু, টাটা, অশোক লিল্যান্ডসহ নানা কোম্পানির নানা দামের গাড়িও চলে। এখনও এগুলোর গ্রেডিং করতে পারিনি। যে যে রকম সার্ভিস দিচ্ছে সে হিসেবে ভাড়া আদায় করছে। এতে যাত্রীরা যে খুব অসুবিধায় পড়ছে এমন না। আবার মালিকরাও কোনো সমস্যায় পড়ছে না।

রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা গ্রেড-১, গ্রেড-২, গ্রেড-৩ এ ধরনের শ্রেণিতে ভাগ করার চিন্তা করছি। তখন ভাড়ার বিষয়টি ঠিক হতে পারে।

সরকারের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বলছে, আইনে না থাকায় এসব বাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক দেশে এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণে আইনগত জটিলতার কারণে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিআরটিএ পুরনো আইনের সংশোধন বা সংযোজনের কাজ করছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলে এসব বাসের ভাড়া নিয়ে আর যাত্রীদের অভিযোগ থাকবে না এবং সড়কে লাক্সারি বাস সার্ভিসে একটা শৃঙ্খলা আসবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

রাজধানীতে সিটি সার্ভিসের অবস্থা

রাজধানীতে সিটি সার্ভিসের অবস্থা

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

মতিঝিল-আবদুল্লাহপুর রুটে গ্রিন ঢাকা, মিরপুর ডিওএইচএস-কারওয়ানবাজার রুটে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস, গুলশান এলাকায় ঢাকা চাকা ও গুলশান চাকা, সাইনবোর্ড থেকে উত্তরা আব্দুলাহপুর রুটে ইকবাল এসি বাস সার্ভিস এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে শীতল পরিবহনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলে। তবে এসব বাসের সংখা কত তা জানা যায়নি। কিলোমিটার প্রতি ভাড়া হিসাব করে দেখা গেছে, সবচেয়ে কম ভাড়া বিআরটিসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে। সবচেয়ে বেশি ভাড়া গুলশান চাকা ও গ্রিন ঢাকা পরিবহনের।

ইকবাল এসি বাসে দেখা গেছে, সাইনবোর্ড থেকে উত্তরা আব্দুলাহপুর পর্যন্ত এই রুটে ২০ কিলোমিটার দূরত্বের ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। আবার বাসে চড়ে নিকট দূরত্বে যেখানেই যাত্রী নামুক না কেন, ৬০ টাকা নির্ধারিত ভাড়া দিতে হচ্ছে। এই বাসে মোট সিট রয়েছে ৪০টি।

মতিঝিল থেকে আব্দুলাহপুর রুটে চলাচলকারী গ্রিন ঢাকা এসি বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া এখন ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ভাড়া ১৫০ টাকা। আগে এই বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ৬০ টাকা, সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। জ্বালানির দাম বাড়ার পর এই বাস সার্ভিসে স্টপেজপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ভাড়া বাড়িয়েছে।

কাকলী থেকে নতুন বাজার এবং গুলশান শ্যুটিং ক্লাব থেকে গুলশান ২ নম্বর পর্যন্ত চলাচলকারী ঢাকা চাকা পরিবহনের বাস ভাড়া ৩০ টাকা। আড়াই কিলোমিটার দূরত্বের এ পথে কিলোমিটার প্রতি ভাড়া দিতে হয় ১২ টাকা।

ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রিন ঢাকা পরিবহনের পরিচালক মমিনুল্লাহ মামুন অবশ্য ভালো সেবা দিচ্ছেন দাবি করে বলেন, ভালো সেবা পেতে হলে ভাড়া বেশি দিতেই হবে। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই বেশি কাউন্টার এবং ভাড়ার বেশি ধাপ রাখা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।

মমিনুল্লাহ মামুন বলেন, আমরা প্রথমে ভাড়ার কয়েকটি স্ল্যাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের এই গাড়ির বেশিরভাগ যাত্রীই উত্তরা এলাকার এবং ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করেন এমন। তারা চায় না অনেকগুলো স্টপেজ থাকুক।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের ভাড়া নিয়ে নীতিমালা থাকা দরকার বলে মনে করেন শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ। তিনি বলেন, দেশে অনেক ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস চলে। এজন্য কাজটা একটু কঠিনও। আমাদের এখানে ২৭, ৩১, ৩৬ ও ৪০ সিটের গাড়ি আছে। আবার ভলভো, ম্যান, স্ক্যানিয়া, হিনো, হুন্দাই, মিৎসুবিশি, ইসুজু, টাটা, অশোক লিল্যান্ডসহ নানা কোম্পানির নানা দামের গাড়িও চলে। এখনও এগুলোর গ্রেডিং করতে পারিনি। যে যে রকম সার্ভিস দিচ্ছে সে হিসেবে ভাড়া আদায় করছে। এতে যাত্রীরা যে খুব অসুবিধায় পড়ছে এমন না। আবার মালিকরাও কোনো সমস্যায় পড়ছে না।

রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমরা গ্রেড-১, গ্রেড-২, গ্রেড-৩ এ ধরনের শ্রেণিতে ভাগ করার চিন্তা করছি। তখন ভাড়ার বিষয়টি ঠিক হতে পারে।

সরকারের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বলছে, আইনে না থাকায় এসব বাসের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক দেশে এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণে আইনগত জটিলতার কারণে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিআরটিএ পুরনো আইনের সংশোধন বা সংযোজনের কাজ করছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এলে এসব বাসের ভাড়া নিয়ে আর যাত্রীদের অভিযোগ থাকবে না এবং সড়কে লাক্সারি বাস সার্ভিসে একটা শৃঙ্খলা আসবে।