নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাদকের পাইকারি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অস্ত্রের ব্যবহার করতেন তারা ডিবি সদস্যদের সঙ্গে গ্রেফতারে তিন ব্যক্তি
রাজধানীর পুরান ঢাকার কদমতলী থানার শ্যামপুর রেললাইনের পশ্চিম পাশে ভাঙারি বাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনটি বিদেশি পিস্তল, বিপুল পরিমাণ গুলি ও মাদকদ্রব্যসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি বলছে, মাদকের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখতে অস্ত্রের ব্যবহার করতেন কারবারিরা। এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতো না।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর আলম টিটু (৩৬), মো. আব্দুর রাজ্জাক শানু (৩৮) ও মো. মামুন (৩৭)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন, ৬০ রাউন্ড গুলি, ৮০০ পিস ইয়াবা এবং সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আমীর খসরু।
তিনি বলেন, গ্রেফতার তিনজনই এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। তারা মাদক স্পট নিয়ন্ত্রণ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এসব অস্ত্র ব্যবহার করতো।
ডিসি আমীর খসরু আরও জানান, তারা মাদকের স্পটকে আড়ৎ হিসেবে বলতো। তাদের আস্তানা থেকে ৮০০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। তারা পাইকারী হারে মাদক বিক্রি করতো।
রমনা বিভাগের ডিসি আরও বলেন, শুধু মাদকের কারবারের বাইরেও এসব অস্ত্র কী কী ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো সে বিষয় তদন্ত করে সব বিষয় বের করা হবে।
অস্ত্র ও মাদকের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে চাইলে ডিসি আমীর খসরু বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট হয়েছে। আমরা মিলিয়ে দেখবো এইগুলো পুলিশের অস্ত্র কি না।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের সঙ্গে কেউ ব্যবসা থেকে সরে যেতে চাইলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতা। এই ব্যবসা পরিচালনের ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতা না করায় নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগীও আমরা পেয়েছি। আগে তাদের ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তাদের থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
আন্ডারওয়াল্ডে অস্থিরতা বাড়ছে। এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্প্রতি যে কিলিংগুলো হয়েছে সেই সবগুলো ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সফলভাবে প্রত্যেকটা উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার করেছে। সর্বশেষ পুরান ঢাকায় যে মার্ডারটা হয়েছে সেখানেও গোয়েন্দা পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে এবং আসামিদের গ্রেফতার করেছে। এর আগে ২৬ টুকরো লাশ উদ্ধারের ঘটনাও উদঘাটন করেছি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে দুটি করে অস্ত্র ও মাদক মামলা আছে। এছাড়া এই ঘটনায় কদমতলী থানায় পৃথক আইনে দুইটি মামলা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























