নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন সোমবার (১১ মার্চ) আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, আগামীকাল শুনানির পর এ বিষয়ে বলা যাবে।
রিটকারী পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তিনি জানান, এ আদেশের ফলে মঙ্গলবারও স্কুল বন্ধ থাকবে। যেহেতু রাষ্ট্রপক্ষ একটা আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল, কিন্তু ওনারা স্টে অর্ডার পাননি। চেম্বার জজ আদালত আগামীকাল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, একজন অভিভাবকের রিটে হাইকোর্ট প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আমরা আপিল বিভাগে মামলা করলাম। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের ফুল বেঞ্চে আগামীকাল সাড়ে এগারোটায় শুনানি হবে।
রোববার (১০ মার্চ) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পবিত্র রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম ১৫ দিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আজ আবেদনটি করে। রমজানে স্কুল খোলা রাখায় যানজটসহ কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে রিট করেন শফিউর রহমান চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন—আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ও মাহমুদা খানম।
উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ১১ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১৫ দিন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল শিক্ষা বিভাগ। আর রমজানের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।