স্পোর্টস ডেস্ক :
পারভেজ হোসেন ইমনের ঝড়ো ফিফটির পাশাপাশি আগ্রাসী ইনিংস খেললেন হায়দার আলী ও শামিম হোসেন পাটোয়ারী। এতে দুইশ ছাড়ানো বড় পুঁজি মিলল চিটাগং কিংসের। এরপর ডাভিড মালান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চেষ্টা করলেও লক্ষ্য থেকে দূরে থামতে হলো ফরচুন বরিশালকে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগং জিতেছে ২৪ রানে। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে তারা। জবাবে ৭ উইকেটে ১৮২ রানে থামে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।
এই জয়ে রংপুর রাইডার্সকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে গেছে চিটাগং। ১২ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্ট সমান ১৬ হলেও নেট রান রেটের ব্যবধানে রংপুরের (+০.৫৯৬) চেয়ে এগিয়ে আছে চিটাগং (+১.৩৯৫)। ফলে প্লে-অফ পর্বের প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে চিটাগং। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা বরিশালই। আগামী সোমবার একই ভেন্যুতে ফের মুখোমুখি হবে দুই দল। জয়ী দল সরাসরি চলে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল আরেকটি সুযোগ পাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে ওঠার।
রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বরিশাল। বিনুরা ফার্নান্দোর করা সেই ওভারের প্রথম বল থেকেই ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। সুইং-মুভমেন্টের সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে রানের খাতা খোলার আগেই শেষ বলে কভারে খাওয়াজা নাফের হাতে ক্যাচ দেন বরিশাল অধিনায়ক। দলীয় ১৩ রানে ফিরে যান মেইকশিফট ওপেনার তাওহিদ হৃদয়ও।
তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটিতে সে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন ডাভিড মালান-মুশফিকুর রহিম মিলে। ২২ বলে ২৪ রান করে স্পিনার আলিসের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মুশফিক ফিরলেও অন্য প্রান্তে ঠিকই ঝড় তোলেন মালান। তুলে নেন আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি। ছয়টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের মারে ৩৪ বলে ৬৭ রানে থামার আগে মাহমুদউল্লাহর সাথেও গড়েন ৬৬ রানের জুটি। অবশ্য এই দুই জুটিতে জয় না এলেও কমেছে পরাজয়ের ব্যবধান, দেখা গেছে লড়াইয়ের চেষ্টা। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ২৪ বলে ৪১ রানে। দুটি করে উইকেট নেন বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস আল ইসলাম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু পায় চিটাগং কিংস। ঝড়ো এপ্রোচের ব্যাটিংয়ে খাওয়াজা নাফে আর পারভেজ ইমন মিলে তোলেন ৫৮ রান। নবীর বলে নাফে ফিরলেও দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন ইমন-ক্লার্ক জুটি। মাত্র ৩৬ বলে তড়িৎগতিতে তোলেন ৭০ রান। এই জুটিতেই ৪১ বলে ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ইমন। আট ছক্কা ও একটি চারে সাজানো এই ইনিংস থামে এবাদত হোসেনের বলে। আট ছক্কার তিনটিই অবশ্য ইমন মেরেছেন তাইজুলকে। মাত্র এক উইকেট পেলেও বরিশালের সেরা বোলার আজ তিনি। মাত্র ১৯ রান দিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।
ইমনের বিদায়ের পর তিনটি করে ছক্কা ও চারে ঝড় তোলেন পাকিস্তানি হায়দার আলী। পরে অবশ্য হায়দারকে দর্শক বানিয়ে তাণ্ডব দেখিয়েছেন শামীম। তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে মাত্র ১২ বলে খেলেন ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস। এক কথায় বললে দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝের দুটো কার্যকরী জুটির পর চিটাগংয়ের শেষটা রাঙিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এবাদতের সাথে এক উইকেট নেন নবী। দুই উইকেট পেলেও আজ খরুচে ছিলেন তাইজুল। চার ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।