Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌনপল্লীতে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন রুনা খান

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২২৯ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

রুনা খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ছবিটি এবারের ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরে ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ জায়গা পেয়েছে। এ সিনেমায় একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘নীলপদ্ম’ ছবিটির শ্যুটিং হয়েছে খোদ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতেই। সেখানে শ্যুটিংয়ের কাজে প্রথমবারের মতো সফর করেছেন তিনি। সেখানে যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। কাজের ফাঁকে তাদের সময় পেয়েছেন, মিশেছেন একটু কাছ থেকেই।

রুনা খানের কথায়, ‘আমার সিনেমার পরিচালক তৌফিক এলাহির প্রথম সিনেমা “নীলপদ্ম”। তিনি পিএইচডি করেছেন, বর্তমানে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। এই কাজটি নিয়ে দীর্ঘসময় তিনি যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ কাজের সুবাদে দৌলতদিয়ায় গিয়ে প্রথম শুটিং করেছি। পরিচালকের ব্রিফিং রপ্ত করে সেখানে গিয়েছিলাম। যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের খুব বেশি অনুকরণ করতে হয়নি। কারণ, আমার গায়ের রঙ খুবই সাধারণ আর চারটে মানুষের মতো। তাই গায়ের রঙ নিয়ে বাড়তি যত্ন করতে হয়নি। সেখানকার মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ নেয় না। তবে কস্টিউমের সেক্ষেত্রে ওদের হেল্প নিতে হয়েছে। কারণ, আমি সাদামাটা পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের পোশাক খুবই কালারফুল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই পাড়ার মেয়েদের শাড়ি পরিষ্কার করে পরে ব্যবহার করেছি। প্রথম ওখানে গিয়ে মানুষ হিসেবে ওদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। শুটিংয়ের অবসরে ওদের সঙ্গে গল্প করেছি। ওরা খুব সাদামাটা জীবনযাপন করে। ওরা আমার সিসিনপুর, ফ্যামিলি ক্রাইসিস নাটকের গল্প বলেছে। এমনও দেখেছি সেখানে তারা ইউটিউবে শাকিব খানের সিনেমা দেখছে। কাবিলা পলাশ ওদের কাছে খুব পরিচিত। আমি একজন অভিনয় শিল্পী এটা আমার পেশা। ওরা যৌনকর্মী, এটা ওদের পেশা। আসলে সবকিছুর উপরে সবাই মানুষ।’

যদি সুযোগ আসে দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীর জন্য কী করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রুনা খান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে ওদের সম্মান দেওয়ার ব্যবস্থা করব। ওরা আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল। উদাহরণ হিসেবে বলি, অনেক অভিনয়শিল্পী ১০ বছর পর পেশা বদলে ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। ঠিক তেমনি তারা যৌনকর্মী যদি ১০ বছর পর সিদ্ধান্ত নেয় অন্য পেশায় যাবে, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এই সুযোগটুকু যদি রাষ্ট্র বা আমাদের সমাজ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলেই হবে।’

উল্লেখ্য, ছিটকিনি, হালদা, গহীন বালুচর-এর মতো সিনেমা কিংবা কষ্টনীড়, অসময়-এর মতো ওটিটির কাজ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন রুনা খান। তবে কাজের বাইরে নানাবিধ কর্মকাণ্ডে আলোচনায় চলে আসেন অভিনেত্রী। বিশেষ করে তিনি সামাজিক মাধ্যমে নানান ধরণের পোশাক-আশাকের কারণে বিতর্কিত হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

যৌনপল্লীতে কাজের অভিজ্ঞতা জানালেন রুনা খান

প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক : 

রুনা খান অভিনীত নতুন সিনেমা ‘নীলপদ্ম’। ছবিটি এবারের ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসরে ‘বাংলাদেশ প্যানারোমা’ জায়গা পেয়েছে। এ সিনেমায় একজন যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন রুনা খান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই চরিত্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

‘নীলপদ্ম’ ছবিটির শ্যুটিং হয়েছে খোদ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতেই। সেখানে শ্যুটিংয়ের কাজে প্রথমবারের মতো সফর করেছেন তিনি। সেখানে যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান অনুধাবন করার চেষ্টা করেছেন। কাজের ফাঁকে তাদের সময় পেয়েছেন, মিশেছেন একটু কাছ থেকেই।

রুনা খানের কথায়, ‘আমার সিনেমার পরিচালক তৌফিক এলাহির প্রথম সিনেমা “নীলপদ্ম”। তিনি পিএইচডি করেছেন, বর্তমানে নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক। এই কাজটি নিয়ে দীর্ঘসময় তিনি যৌনকর্মীদের জীবন, সামাজিক অবস্থান নিয়ে গবেষণা করেছেন। এ কাজের সুবাদে দৌলতদিয়ায় গিয়ে প্রথম শুটিং করেছি। পরিচালকের ব্রিফিং রপ্ত করে সেখানে গিয়েছিলাম। যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তাদের খুব বেশি অনুকরণ করতে হয়নি। কারণ, আমার গায়ের রঙ খুবই সাধারণ আর চারটে মানুষের মতো। তাই গায়ের রঙ নিয়ে বাড়তি যত্ন করতে হয়নি। সেখানকার মেয়েরা খুব বেশি মেকআপ নেয় না। তবে কস্টিউমের সেক্ষেত্রে ওদের হেল্প নিতে হয়েছে। কারণ, আমি সাদামাটা পোশাক নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওদের পোশাক খুবই কালারফুল।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই পাড়ার মেয়েদের শাড়ি পরিষ্কার করে পরে ব্যবহার করেছি। প্রথম ওখানে গিয়ে মানুষ হিসেবে ওদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। শুটিংয়ের অবসরে ওদের সঙ্গে গল্প করেছি। ওরা খুব সাদামাটা জীবনযাপন করে। ওরা আমার সিসিনপুর, ফ্যামিলি ক্রাইসিস নাটকের গল্প বলেছে। এমনও দেখেছি সেখানে তারা ইউটিউবে শাকিব খানের সিনেমা দেখছে। কাবিলা পলাশ ওদের কাছে খুব পরিচিত। আমি একজন অভিনয় শিল্পী এটা আমার পেশা। ওরা যৌনকর্মী, এটা ওদের পেশা। আসলে সবকিছুর উপরে সবাই মানুষ।’

যদি সুযোগ আসে দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীর জন্য কী করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে রুনা খান বলেন, ‘মানুষ হিসেবে ওদের সম্মান দেওয়ার ব্যবস্থা করব। ওরা আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল। উদাহরণ হিসেবে বলি, অনেক অভিনয়শিল্পী ১০ বছর পর পেশা বদলে ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছেন। ঠিক তেমনি তারা যৌনকর্মী যদি ১০ বছর পর সিদ্ধান্ত নেয় অন্য পেশায় যাবে, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এই সুযোগটুকু যদি রাষ্ট্র বা আমাদের সমাজ দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলেই হবে।’

উল্লেখ্য, ছিটকিনি, হালদা, গহীন বালুচর-এর মতো সিনেমা কিংবা কষ্টনীড়, অসময়-এর মতো ওটিটির কাজ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন রুনা খান। তবে কাজের বাইরে নানাবিধ কর্মকাণ্ডে আলোচনায় চলে আসেন অভিনেত্রী। বিশেষ করে তিনি সামাজিক মাধ্যমে নানান ধরণের পোশাক-আশাকের কারণে বিতর্কিত হন।