Dhaka রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের নির্যাতনে বিচারপতির ভাগ্নির মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌতুকের টাকা না দেয়ায় উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতির ভাতিজিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ১টার দিকে রাজধানীর নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। আর এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি একজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা।

ভিকটিমের নাম ফাতেমা নাসরিন (৪৫)। তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভাতিজি।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন আরজিনা বেগম (৫২) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মূল অভিযুক্ত করা হয় ভিকটিমের স্বামী মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে (৪৯)।

এর আগে গত ৮ মার্চ যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মশলার বাটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাখাওয়াত। পরে মেয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাবা সাখাওয়াতকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগীর মেয়ে ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরেই এক কোটি টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসরিনকে নির্যাতন করে আসছিল সাখাওয়াত। এর আগে পঞ্চগড়ে একটি মামলায় এক সপ্তাহ জেলও খাটেন সাখাওয়াত। নিজেকে বদলে সংসারে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও জেল থেকে বের হয়ে আবারও যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন তিনি।

এরই এক পর্যায়ে গত ৮ মার্চ স্ত্রীকে বটি দিয়ে জবাই করতে যান। মেয়ে হাত থেকে বটি কেড়ে নিলে মশলার বাটা দিয়ে আঘাত করেন। পরে নাসরিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনার পর নাসরিনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে গত ৯ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে স্বামীর নির্যাতনে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফাতেমার স্বামীকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

যৌতুকের নির্যাতনে বিচারপতির ভাগ্নির মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০২:৪১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌতুকের টাকা না দেয়ায় উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতির ভাতিজিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাত ১টার দিকে রাজধানীর নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান। আর এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তার স্বামী সাখাওয়াত হোসেন। তিনি একজন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা।

ভিকটিমের নাম ফাতেমা নাসরিন (৪৫)। তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভাতিজি।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন আরজিনা বেগম (৫২) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মূল অভিযুক্ত করা হয় ভিকটিমের স্বামী মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে (৪৯)।

এর আগে গত ৮ মার্চ যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে মশলার বাটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে সাখাওয়াত। পরে মেয়ের মাধ্যমে খবর পেয়ে বাবা সাখাওয়াতকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগীর মেয়ে ও স্বজনরা অভিযোগ করেন, কয়েক বছর ধরেই এক কোটি টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসরিনকে নির্যাতন করে আসছিল সাখাওয়াত। এর আগে পঞ্চগড়ে একটি মামলায় এক সপ্তাহ জেলও খাটেন সাখাওয়াত। নিজেকে বদলে সংসারে ফেরার প্রতিশ্রুতি দিলেও জেল থেকে বের হয়ে আবারও যৌতুকের জন্য নির্যাতন চালাতে থাকেন তিনি।

এরই এক পর্যায়ে গত ৮ মার্চ স্ত্রীকে বটি দিয়ে জবাই করতে যান। মেয়ে হাত থেকে বটি কেড়ে নিলে মশলার বাটা দিয়ে আঘাত করেন। পরে নাসরিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে নির্যাতনের ঘটনার পর নাসরিনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্বামীকে অভিযুক্ত করে গত ৯ মার্চ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে স্বামীর নির্যাতনে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফাতেমার স্বামীকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।