Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাঙ্ক রেখে আর্মেনীয় বাহিনীর পলায়ন (ভিডিও)

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

ফেলে যাওয়া ট্যাঙ্ক

ঘোষণা হয়েছে যুদ্ধবিরতির। কিন্তু সেই ঘোষণা মানছে না দু’পক্ষই। তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের গুবাদলিতে আজারবাইজানের আক্রমণের মুখে ট্যাংক-গোলা ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে আর্মেনীয়দের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জামাদির একটি ভিডিও প্রকাশ করে।

বুধবার আজেরি সংবাদমাধ্যম আজভিশন সেই ভিডিওটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। তিন মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েটি ট্যাংক, গোলাবারুদ, সামরিক জিপ, মেশিনগানসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি।

এক মাসের বেশি সময় ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও হয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। কিন্তু অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুইটি দেশ।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ফের দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসায় মস্কো। গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি।

আরও পড়ুন : মালিককে ছাড়াতে থানায় হাজির পোষা কুুকুর (ভিডিও)

এর পর প্রথমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং পরে মার্কিন কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর রোববার সন্ধ্যায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকা, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।

সেখানে বলা হয় মানবিক কারণে সোমবার সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে।

কিন্তু সোমবার সকাল হতেই আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, আজারি শহর টার্টারে আক্রমণ চালিয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানে শেলিং করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে আর্মেনিয়াও। তাদের দাবি, আজারি সেনাবাহিনী প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে রোববার ইরান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্তে তারা সেনার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। ইরান যাতে দুই দেশের যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। এর আগে ইরান দাবি করেছিল, দুই দেশের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইরানের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল।

 

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে

আবহাওয়া

বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

যুদ্ধক্ষেত্রে ট্যাঙ্ক রেখে আর্মেনীয় বাহিনীর পলায়ন (ভিডিও)

প্রকাশের সময় : ১১:৩১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

ঘোষণা হয়েছে যুদ্ধবিরতির। কিন্তু সেই ঘোষণা মানছে না দু’পক্ষই। তৃতীয় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে সংঘাত চলছে। বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের গুবাদলিতে আজারবাইজানের আক্রমণের মুখে ট্যাংক-গোলা ছেড়ে পালিয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। যুদ্ধক্ষেত্রে আর্মেনীয়দের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্জামাদির একটি ভিডিও প্রকাশ করে।

বুধবার আজেরি সংবাদমাধ্যম আজভিশন সেই ভিডিওটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। তিন মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে ভিডিওটিতে দেখা যায়, কয়েটি ট্যাংক, গোলাবারুদ, সামরিক জিপ, মেশিনগানসহ বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জামাদি।

এক মাসের বেশি সময় ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও হয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায়। কিন্তু অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুইটি দেশ।

এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ফের দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসায় মস্কো। গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি।

আরও পড়ুন : মালিককে ছাড়াতে থানায় হাজির পোষা কুুকুর (ভিডিও)

এর পর প্রথমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং পরে মার্কিন কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর রোববার সন্ধ্যায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকা, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে।

সেখানে বলা হয় মানবিক কারণে সোমবার সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে।

কিন্তু সোমবার সকাল হতেই আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, আজারি শহর টার্টারে আক্রমণ চালিয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানে শেলিং করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে আর্মেনিয়াও। তাদের দাবি, আজারি সেনাবাহিনী প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

এদিকে রোববার ইরান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্তে তারা সেনার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। ইরান যাতে দুই দেশের যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। এর আগে ইরান দাবি করেছিল, দুই দেশের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইরানের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল।

 

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে