Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের যুবাদের বিপক্ষে ১২১ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এই জয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করল মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। ১২১ রানের বড় জয় বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে তুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের রান তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র গুটিয়ে গেছে ১৭০ রানে। রাব্বি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া পাহাড়সম ২৯২ রানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে উদ্বোধনে নামেন প্রণব চেট্টিপালায়ম ও ভব্য মেহতা। বড় রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। দলীয় ১১ রানে মেহতাকে হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন সিদ্ধার্থ কাপা। শুরু ধাক্কা সামলে সিদ্ধার্থকে নিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন আরেক ওপেনার প্রণব। তবে উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কাপা।

দলীয় ৮৬ রানে কাপা আউট হলে ভাঙে ৭৫ রানের এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে ১৮ করেন এই ব্যাটার। সঙ্গী আউট হলে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি প্রণবও; দলীয় ৯১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৯০ বলে ৫৭ করেন তিনি। এরপর দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক ঋষি রমেশও। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ৮ রান করেন তিনি।

এরপর উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ও আমোঘ আরেপল্লী ৪১ রানের জুটি গড়লেও তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল হাতে রেখেই ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেন সর্বোচ্চ চার উইকেট।

এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ঋষি রমেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নবম ওভারে দলীয় ২৯ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক। ২৮ বলে ১৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাকে পার্থ প্যাটেলের ক্যাচে পরিনত করে সাজঘরে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের বাঁহাতি পেসার আর্য গর্গ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান তুলতে পেরেছিল টাইগার যুবারা।

এরপর তিনে ব্যাট করতে নেমে আশিকুর শিবলীকে নিয়ে এগোতে থাকেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুর চাপ সামনে দুজনে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শিবলী। গেল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া এশিয়া কাপে টুর্নামেন্টসেরা এই ব্যাটার অরিন নাদকার্নির বলে সেই পার্থ প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে বসেন। বিদায়ের আগে ৪৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৭ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু দলীয় শতকের আগেই বিদায় নেন রিজওয়ান। ৯৪ রানের মাথায় পার্থ প্যাটেলের বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। বিদায়ের আগে ৪০ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন এই ব্যাটার।

এরপর আরিফুল ও আহরার আমিনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজনে মিলে ১১৫ বলে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। কিন্তু ব্যক্তিগত ফিফটির আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আহরার। অরিন নাদকার্নির বলে ঋষি রমেশের কাচে বিদায়ের আগে ৪৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

আহরার ফিফটির দেখা না পেলেও ঠিকই মাইলফল্ক স্পর্শ করেন আরিফুল। ফিফটি হাঁকিয়েও ইনিংস বড় করায় মনোযোগ দেন তিনি। ফলে ৯৯ বলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০২২ যুব বিশ্বকাপে দুইটি সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন আরিফুল।

দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় বিদায়ের আগে ১০৩ বলে ১০৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির মার। শেষ দিকে মোহাম্মদ শিহাব জেমস ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তার ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি করে চার-ছক্কার মার। এ ছাড়া অধিনায়ক রাব্বি ২, শেখ পারভেজ জীবন ৭ বলে ১৩ ও রাফিউজ্জামান ৭ রান করেন। এতে নির্ধারিত সময়ে ২৯১ রান করে বাংলাদেশের যুবারা।

যুক্তরাষ্ট্রের যুবাদের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন আর্য গর্গ। অবশ্য ১০ ওভার বল করে ৬৮ রান দেন বাঁহাতি এই পেসার। আরেক পেসার অরিন নাদকার্নি ২টি উইকেট পান। এ ছাড়াও অতেন্দ্র সুব্রামানিয়ান ও পার্থ প্যাটেলের শিকার ১টি করে উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ১০:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে গ্রপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের যুবাদের বিপক্ষে ১২১ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। এই জয়ে সুপার সিক্স নিশ্চিত করল মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২৯১ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। ১২১ রানের বড় জয় বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপের সুপার সিক্সে তুলে দিয়েছে। বাংলাদেশের রান তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র গুটিয়ে গেছে ১৭০ রানে। রাব্বি একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।

বাংলাদেশের দেওয়া পাহাড়সম ২৯২ রানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে উদ্বোধনে নামেন প্রণব চেট্টিপালায়ম ও ভব্য মেহতা। বড় রানের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের। দলীয় ১১ রানে মেহতাকে হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে আসেন সিদ্ধার্থ কাপা। শুরু ধাক্কা সামলে সিদ্ধার্থকে নিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন আরেক ওপেনার প্রণব। তবে উইকেট থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি কাপা।

দলীয় ৮৬ রানে কাপা আউট হলে ভাঙে ৭৫ রানের এই জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে ১৮ করেন এই ব্যাটার। সঙ্গী আউট হলে বেশিক্ষন টিকতে পারেননি প্রণবও; দলীয় ৯১ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৯০ বলে ৫৭ করেন তিনি। এরপর দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক ঋষি রমেশও। সাজঘরে ফেরার আগে ২২ বলে ৮ রান করেন তিনি।

এরপর উৎকর্ষ শ্রীবাস্তব ও আমোঘ আরেপল্লী ৪১ রানের জুটি গড়লেও তা শুধু হারের ব্যবধান কমিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল হাতে রেখেই ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেন সর্বোচ্চ চার উইকেট।

এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক ঋষি রমেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নবম ওভারে দলীয় ২৯ রানের মাথায় বিদায় নেন ওপেনার আদিল বিন সিদ্দিক। ২৮ বলে ১৩ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। তাকে পার্থ প্যাটেলের ক্যাচে পরিনত করে সাজঘরে ফেরান যুক্তরাষ্ট্রের বাঁহাতি পেসার আর্য গর্গ। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে মাত্র ৩৮ রান তুলতে পেরেছিল টাইগার যুবারা।

এরপর তিনে ব্যাট করতে নেমে আশিকুর শিবলীকে নিয়ে এগোতে থাকেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরুর চাপ সামনে দুজনে খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেট হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শিবলী। গেল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া এশিয়া কাপে টুর্নামেন্টসেরা এই ব্যাটার অরিন নাদকার্নির বলে সেই পার্থ প্যাটেলকে ক্যাচ দিয়ে বসেন। বিদায়ের আগে ৪৫ বলে ২ বাউন্ডারিতে ২৭ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

এরপর আরিফুলকে সঙ্গে নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু দলীয় শতকের আগেই বিদায় নেন রিজওয়ান। ৯৪ রানের মাথায় পার্থ প্যাটেলের বলে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। বিদায়ের আগে ৪০ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করেন এই ব্যাটার।

এরপর আরিফুল ও আহরার আমিনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে তারা দুজনে মিলে ১১৫ বলে ১২২ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথ দেখান। কিন্তু ব্যক্তিগত ফিফটির আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আহরার। অরিন নাদকার্নির বলে ঋষি রমেশের কাচে বিদায়ের আগে ৪৯ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

আহরার ফিফটির দেখা না পেলেও ঠিকই মাইলফল্ক স্পর্শ করেন আরিফুল। ফিফটি হাঁকিয়েও ইনিংস বড় করায় মনোযোগ দেন তিনি। ফলে ৯৯ বলেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০২২ যুব বিশ্বকাপে দুইটি সেঞ্চুরি হাকিয়েছিলেন আরিফুল।

দলীয় ২৩৭ রানের মাথায় বিদায়ের আগে ১০৩ বলে ১০৩ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারির মার। শেষ দিকে মোহাম্মদ শিহাব জেমস ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলেন। তার ১৭ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি করে চার-ছক্কার মার। এ ছাড়া অধিনায়ক রাব্বি ২, শেখ পারভেজ জীবন ৭ বলে ১৩ ও রাফিউজ্জামান ৭ রান করেন। এতে নির্ধারিত সময়ে ২৯১ রান করে বাংলাদেশের যুবারা।

যুক্তরাষ্ট্রের যুবাদের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট শিকার করেন আর্য গর্গ। অবশ্য ১০ ওভার বল করে ৬৮ রান দেন বাঁহাতি এই পেসার। আরেক পেসার অরিন নাদকার্নি ২টি উইকেট পান। এ ছাড়াও অতেন্দ্র সুব্রামানিয়ান ও পার্থ প্যাটেলের শিকার ১টি করে উইকেট।