Dhaka মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে শিশুসহ ৮ লাশ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডা থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে দুই শিশুসহ আট অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তের কাছে সেন্ট লরেন্স নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে রোমানিয়া ও ভারতের দুটি পরিবার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) পুলিশ একটি হেলিকপ্টার নিয়ে সেন্ট লরেন্স নদীর ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আরো দুটি মৃতদেহ দেখতে পায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই এলাকায় ক্যাসি ওকস নামে ৩০ বছর বয়সী নিখোঁজ এক নৌকার মাঝিকে খুঁজতে গিয়ে এই লাশগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু কেসি ওকস (৩০) নামে ওই ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওকস এবং নিহত পরিবারের মধ্যে এই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম মৃতদেহটি মার্কিন-কানাডা সীমান্তের ঠিক মধ্যবর্তী মোহাক অঞ্চল আকওয়েসানে সি স্নাইনের একটি জলাভূমিতে পাওয়া যায়। এর আশেপাশেই বাকি লাশগুলো পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুইজন শিশু। একটি শিশুর বয়স তিন বছরের কম এবং শিশুটি কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, নিহত অপর শিশুটিও কানাডার নাগরিক ছিল। তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশের উপ-প্রধান লী অ্যান ও’ব্রায়ান বলেন, নিহতরা দুটি পরিবারের সদস্য। একটি পরিবার রোমানিয়ার পাসপোর্টধারী। অপর পরিবারটি ভারতীয়। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।

লী অ্যান ও’ব্রায়ান সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, নিহতরা সবাই অবৈধভাবে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমাদের বের করতে হবে আসলেই কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটেছিল এবং এই ধরনের ঘটনা কমানোর জন্য আমরা আর কী করতে পারি।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন অনেক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা কিরেছিলেন। গত ডিসেম্বরে স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। তাকেও সীমান্তে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতেও কানাডার পুলিশ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে এক শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিল। মৃতদেহগুলো ভারতীয় পরিবারের বলে জানিয়েছিল মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন বর্ডার এজেন্টরা জানিয়েছে, কানাডা থেকে আসা এমন অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা এমন ৩৬৭ অভিবাসীকে আটক করেছিল। যা গত ১২ বছরের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি।

নিহতদের মধ্যে কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী কমপক্ষে দুই শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সপ্তাহে অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে কানাডায় আশ্রয়প্রার্থীদের আসা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। এই পদক্ষেপের সমালোচকরা বলেছেন যে, শরণার্থী এবং অভিবাসীরা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আরও ঝুঁকি নিতে পারে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে ব্যবস্থা নেবে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে শিশুসহ ৮ লাশ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০২:৫৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কানাডা থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকালে দুই শিশুসহ আট অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কতৃপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তের কাছে সেন্ট লরেন্স নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে রোমানিয়া ও ভারতের দুটি পরিবার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) পুলিশ একটি হেলিকপ্টার নিয়ে সেন্ট লরেন্স নদীর ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় আরো দুটি মৃতদেহ দেখতে পায়। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই এলাকায় ক্যাসি ওকস নামে ৩০ বছর বয়সী নিখোঁজ এক নৌকার মাঝিকে খুঁজতে গিয়ে এই লাশগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু কেসি ওকস (৩০) নামে ওই ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। ওকস এবং নিহত পরিবারের মধ্যে এই ঘটনার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম মৃতদেহটি মার্কিন-কানাডা সীমান্তের ঠিক মধ্যবর্তী মোহাক অঞ্চল আকওয়েসানে সি স্নাইনের একটি জলাভূমিতে পাওয়া যায়। এর আশেপাশেই বাকি লাশগুলো পাওয়া যায়। নিহতদের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুইজন শিশু। একটি শিশুর বয়স তিন বছরের কম এবং শিশুটি কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশ প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, নিহত অপর শিশুটিও কানাডার নাগরিক ছিল। তাদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করেনি পুলিশ।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় পুলিশের উপ-প্রধান লী অ্যান ও’ব্রায়ান বলেন, নিহতরা দুটি পরিবারের সদস্য। একটি পরিবার রোমানিয়ার পাসপোর্টধারী। অপর পরিবারটি ভারতীয়। নিহতদের মধ্যে তিন বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।

লী অ্যান ও’ব্রায়ান সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, নিহতরা সবাই অবৈধভাবে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছিল।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। আমাদের বের করতে হবে আসলেই কী ঘটেছিল, কীভাবে ঘটেছিল এবং এই ধরনের ঘটনা কমানোর জন্য আমরা আর কী করতে পারি।

এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন অনেক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এরা সবাই কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা কিরেছিলেন। গত ডিসেম্বরে স্ত্রী এবং সন্তানের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন এক ব্যক্তি। তাকেও সীমান্তে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতেও কানাডার পুলিশ যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্তে এক শিশুসহ চারজনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছিল। মৃতদেহগুলো ভারতীয় পরিবারের বলে জানিয়েছিল মার্কিন কর্মকর্তারা।

মার্কিন বর্ডার এজেন্টরা জানিয়েছে, কানাডা থেকে আসা এমন অভিবাসীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত জানুয়ারিতে মার্কিন সীমান্তরক্ষীরা এমন ৩৬৭ অভিবাসীকে আটক করেছিল। যা গত ১২ বছরের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি।

নিহতদের মধ্যে কানাডিয়ান পাসপোর্টধারী কমপক্ষে দুই শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত সপ্তাহে অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে কানাডায় আশ্রয়প্রার্থীদের আসা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন। এই পদক্ষেপের সমালোচকরা বলেছেন যে, শরণার্থী এবং অভিবাসীরা সীমান্ত অতিক্রম করার সময় আরও ঝুঁকি নিতে পারে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।