Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিএনপিকর্মী লিটন হোসেনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা আজগর আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল আমার ছেলে লিটনকে তারা এর আগেও কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পিতা আজগর আলী।

নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টায় পুলিশের অভিযান চলছে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

যশোরে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিএনপিকর্মী লিটন হোসেনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।

এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা আজগর আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল আমার ছেলে লিটনকে তারা এর আগেও কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এসবের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান পিতা আজগর আলী।

নাভারন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শত্রুতার জেরে লিটনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টায় পুলিশের অভিযান চলছে।

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, নিহত লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ ৩/৪ জন সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।