Dhaka রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ম্যানসিটির কাছে পাত্তা পেলো না বায়ার্ন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
  • ২১১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিজেদের ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে যেন এক পা দিয়েই রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি। বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিলো টমাস টুখলের প্রহম কনো বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটির কাছে একেবারে ধরাশয়ী হতে হলো টুখেলকে। দুই বছর আগে চেলসিকে নিয়ে যেই সিটিজেনদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা মাথায় তুলেছিলেন টুখেল এবার তাদের কাছেই হেরে বাভারিয়ানদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রা শুরু হলো টুখেলের।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদে এদিন শুরু থেকেই বায়ার্নের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে শুরু করে গার্দিওলার শিষ্যরা। বায়ার্নও অবশ্য চেষ্টা করেছেন নিজেদের অবস্থান জানান দিতে। তবে সিটির আক্রমণের সামনে বায়ার্নের আক্রমণ ছিলো একেবারেই নখদন্তহীন।

হলান্ডের মাইলফলকে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি

ম্যাচের প্রথম দিকে পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বায়ার্নকে খুব কমই সুযোগ দিয়েছে সিটি। ৫ম মিনিটে হলান্ড শট নিলেও সেটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। সিটির হাই প্রেসিংয়ের বিপরীতে বায়ার্নকে আক্রমণে যেতে সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছিল। ১৪ মিনিটে সিটির প্রেসিংয়ে নাকাল হয়ে তাদের গোল প্রায় উপহার দিয়েই ফেলেছিল বায়ার্ন। সে যাত্রায় অবশ্য কোনোভাবে হলান্ডকে ঠেকিয়ে দেয় তারা। চাপ সামলে দ্রুত অবশ্য গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বায়ার্ন। সিটি যদিও অতিথিদের থিতু হওয়ার খুব একটা সুযোগ দিচ্ছিল না।

এরপর হলান্ড ২২ মিনিট ফের সম্ভাবনা জাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। বায়ার্নের হয়ে দারুণ আক্রমণে ওঠেন জামাল মুসিয়ালা। ২৬ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে তাকে ঠেকিয়ে দেন রুবেন দিয়াজ। এর এক মিনিট পরই লিড নেয় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটটি ছিল অনেকদিন মনে রাখার মতোই। এরপরও তারা আক্রমণের ধার ধরে রাখে। যার ধারাবাহিকতায় ৩৪ মিনিটে বায়ার্নের গোল অভিমুখে আরেকটি শট নেন ইকেই গুনদোয়ান। তবে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ইতিহাদের দলটি সেই লিড নিয়েই বিরতিতে যায়। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। কিন্তু ৪টি শটের কোনোটিই গোলের লক্ষ্যে ছিল না।

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো বাভারিয়ানরা। সিটির সঙ্গে আক্রমণে পেরে না ওঠায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলো বায়ার্ম। তবে লিরয় সানের দুইটি দারুণ প্রচেষ্টা আটকে যায় ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসনের সামনে এসে।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে এসে বায়ার্নের জালে আরেকবার বল জড়িয়ে তাদের ম্যাচে ফেরার স্বপ্নে আরও এক ধাক্কা দেয় সিটি। দুর্দান্ত এক গোলে সিটিজেনদের ২-০ গোলে এগিয়ে নেন বার্নার্ডো সিলভা।

বায়ার্নকে বিধ্বস্ত করে সেমিতে এক পা ম্যানসিটির

মিনিট ছয়েক পরই সিটিজেনদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান আর্লিং হালান্ড। তার গোলে ৩-০ গোলের লিদ নিয়ে বায়ার্নের ম্যাচে ফেরার আশা একবারে শেষ করে দেয় সিটি। এই গোল দিয়েই প্রিমিয়ার লিগ যুগে মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ৪৫ গোল হয়ে যায় হালান্ডের।

এদিকে, এই বায়ার্নের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার মাইলফলকেও পৌঁছেছে সিটি। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বায়ার্নের মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জোর করে চাপিয়ে দেয়া শিক্ষা সম্ভাবনা নষ্ট করে দেয় : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ম্যানসিটির কাছে পাত্তা পেলো না বায়ার্ন

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিজেদের ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে যেন এক পা দিয়েই রাখলো ম্যানচেস্টার সিটি। বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিলো টমাস টুখলের প্রহম কনো বড় পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটির কাছে একেবারে ধরাশয়ী হতে হলো টুখেলকে। দুই বছর আগে চেলসিকে নিয়ে যেই সিটিজেনদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা মাথায় তুলেছিলেন টুখেল এবার তাদের কাছেই হেরে বাভারিয়ানদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ যাত্রা শুরু হলো টুখেলের।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠ ইতিহাদে এদিন শুরু থেকেই বায়ার্নের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে শুরু করে গার্দিওলার শিষ্যরা। বায়ার্নও অবশ্য চেষ্টা করেছেন নিজেদের অবস্থান জানান দিতে। তবে সিটির আক্রমণের সামনে বায়ার্নের আক্রমণ ছিলো একেবারেই নখদন্তহীন।

হলান্ডের মাইলফলকে বায়ার্নকে উড়িয়ে দিল ম্যানসিটি

ম্যাচের প্রথম দিকে পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বায়ার্নকে খুব কমই সুযোগ দিয়েছে সিটি। ৫ম মিনিটে হলান্ড শট নিলেও সেটি ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট। সিটির হাই প্রেসিংয়ের বিপরীতে বায়ার্নকে আক্রমণে যেতে সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকতে হচ্ছিল। ১৪ মিনিটে সিটির প্রেসিংয়ে নাকাল হয়ে তাদের গোল প্রায় উপহার দিয়েই ফেলেছিল বায়ার্ন। সে যাত্রায় অবশ্য কোনোভাবে হলান্ডকে ঠেকিয়ে দেয় তারা। চাপ সামলে দ্রুত অবশ্য গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বায়ার্ন। সিটি যদিও অতিথিদের থিতু হওয়ার খুব একটা সুযোগ দিচ্ছিল না।

এরপর হলান্ড ২২ মিনিট ফের সম্ভাবনা জাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন। বায়ার্নের হয়ে দারুণ আক্রমণে ওঠেন জামাল মুসিয়ালা। ২৬ মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে তাকে ঠেকিয়ে দেন রুবেন দিয়াজ। এর এক মিনিট পরই লিড নেয় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির বাঁ পায়ের বুলেট গতির বাঁকানো শটটি ছিল অনেকদিন মনে রাখার মতোই। এরপরও তারা আক্রমণের ধার ধরে রাখে। যার ধারাবাহিকতায় ৩৪ মিনিটে বায়ার্নের গোল অভিমুখে আরেকটি শট নেন ইকেই গুনদোয়ান। তবে অবিশ্বাস্য দক্ষতায় সেটি ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ইতিহাদের দলটি সেই লিড নিয়েই বিরতিতে যায়। প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। কিন্তু ৪টি শটের কোনোটিই গোলের লক্ষ্যে ছিল না।

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো বাভারিয়ানরা। সিটির সঙ্গে আক্রমণে পেরে না ওঠায় ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বায়ার্ন।

দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে সমতায় ফিরতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলো বায়ার্ম। তবে লিরয় সানের দুইটি দারুণ প্রচেষ্টা আটকে যায় ম্যানসিটি গোলরক্ষক এডারসনের সামনে এসে।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে এসে বায়ার্নের জালে আরেকবার বল জড়িয়ে তাদের ম্যাচে ফেরার স্বপ্নে আরও এক ধাক্কা দেয় সিটি। দুর্দান্ত এক গোলে সিটিজেনদের ২-০ গোলে এগিয়ে নেন বার্নার্ডো সিলভা।

বায়ার্নকে বিধ্বস্ত করে সেমিতে এক পা ম্যানসিটির

মিনিট ছয়েক পরই সিটিজেনদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করে রেকর্ডবুকে নাম লেখান আর্লিং হালান্ড। তার গোলে ৩-০ গোলের লিদ নিয়ে বায়ার্নের ম্যাচে ফেরার আশা একবারে শেষ করে দেয় সিটি। এই গোল দিয়েই প্রিমিয়ার লিগ যুগে মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ৪৫ গোল হয়ে যায় হালান্ডের।

এদিকে, এই বায়ার্নের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকার মাইলফলকেও পৌঁছেছে সিটি। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বায়ার্নের মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল।