আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারসহ ২২৭ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে এখন থেকে এসব মার্কিন কর্মকর্তা ও নাগরিক রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। সরাসরি রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশেষ সামরিক অভিযান সমর্থন করায় রুশ নাগরিকদের ওপর মার্কিন কর্তৃপক্ষ যে ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার, রাশিয়ায় মার্কিন সাবেক রাষ্ট্রদূত জন সুলিভান, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান, এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট নিল সোমারস এবং অ্যারন স্টেকেটি, মার্কিন সেনাবাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার অ্যান্ড্রু রোহলিং, নিউক্লিয়ার এনার্জির সহকারী সেক্রেটারি ক্যাথরিন হাফ, প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জুলি সেরকেরা, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যান্ড্রু লাইট, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব কমার্স ফর ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস গ্র্যান্ট হ্যারিস, আন্ডার সেক্রেটারি অব কমার্স ফর কমার্স ফর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ক্যাথি ভিদাল, সহকারী সেক্রেটারি অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যালেক্সিয়া লাটর্চু প্রমুখ।
একইসঙ্গে মার্কিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি লকহিড মার্টিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট শামালা লিটলফিল্ড এবং সামরিক ঠিকাদার ব্ল্যাকওয়াটারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড ক্লার্কসহ মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের নির্বাহীদেরও এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
পাশাপাশি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ওয়াশিংটন পোস্ট ও নিউইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিকসহ কয়েকজন মার্কিন শিক্ষাবিদকেও এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর ফলে তারা রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনের যেকোনো আগ্রাসী প্রচেষ্টা বিনা শাস্তিতে ছেড়ে দেয়া হবে না। প্রত্যেকটির প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
২০২২ সালে ইউক্রেন সংঘাত বৃদ্ধির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে নেমে গেছে। ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।