Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ম্যাচ হারার পর বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে যা বললেন বাবর

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে হার। সর্বশেষ হারটি আবার আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। যাদের বিপক্ষে এর আগে কখনোই ওয়ানডে ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। হারের ব্যবধানটাও বড়, ৮ উইকেটে।

এমন লজ্জাজনক পরাজয়ের পর দলের পক্ষে সাফাই গাইতে রাজি নন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। হারের দায় পুরো দলের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে দলের বোলারদের উইকেট না নিতে পারা এবং চরম ফিল্ডিং ব্যর্থতার কথাও অকপটে স্বীকার করলেন বাবর। তার মতে, পাকিস্তানের ফিল্ডারদের মনোযোগে ঘাটতি ছিল।

ম্যাচ শেষে হতাশ ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যা পরিষ্কার দেখা গিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। বাবর বলেন, এই (আফগানদের বিপক্ষে) হারে আমরা বড় আঘাত পেয়েছি। আমরা ২৮০-২৯০ রান তুলতে চেয়েছিলাম। সেটা পাওয়ার পর, বোলিং ও ফিল্ডিং আমাদের ডুবিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে আমাদের স্পিনাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেনি। আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনাররা পিচ থেকে সহায়তা পাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের স্পিনাররা লেন্থ ধরে রাখতে পারেনি। প্রতি ওভারেই আমরা বাউন্ডারি হজম করেছি, ফলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারিনি।

বরাবরের মত বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে বাবরদের। ১০ রানে জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার সেদিন পরে থেমেছেন ১৬৩ রানে। এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কালকেও ম্যাচেও দুর্দশা লক্ষ্য করা গেছে ফিল্ডিং বিভাগে।

বাবর আরো বলেন, পাকিস্তানি বোলারদের প্ল্যান ঠিক ছিল। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং তাতে চাপও তৈরি হয়নি ব্যাটারদের ওপর। দলের ফিল্ডিং নিয়েও চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন বাবর, ‘আমাদের সব বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারেনি। আমরা যদি বোলিংয়ে ভালো করি, তাহলে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছি না। আর আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করলে, ফিল্ডিংয়ে খারাপ করছি। ‘

টানা তিন হারের পর বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি তার ব্যাটিং নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই আসরে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৩১.৪০ গড়ে ১৫৭ রান করেছেন তিনি। গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ৭৪ রান করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি।

কিন্তু বাবর নিজে ব্যাটিং কিংবা নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তার কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, অধিনায়কত্ব এবং ব্যাটিং নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমি আমাদের সামর্থ্যের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়কত্ব এবং ব্যাটিংয়ে সময় শুধু ব্যাটিং নিয়েই ভাবি, কীভাবে আমি দলের জন্য রান করতে পারি।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এরপর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

ম্যাচ হারার পর বোলিং-ফিল্ডিং নিয়ে যা বললেন বাবর

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৮:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

২০২৩ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচে হার। সর্বশেষ হারটি আবার আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষে। যাদের বিপক্ষে এর আগে কখনোই ওয়ানডে ম্যাচ হারেনি পাকিস্তান। হারের ব্যবধানটাও বড়, ৮ উইকেটে।

এমন লজ্জাজনক পরাজয়ের পর দলের পক্ষে সাফাই গাইতে রাজি নন পাকিস্তানি অধিনায়ক বাবর আজম। হারের দায় পুরো দলের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে দলের বোলারদের উইকেট না নিতে পারা এবং চরম ফিল্ডিং ব্যর্থতার কথাও অকপটে স্বীকার করলেন বাবর। তার মতে, পাকিস্তানের ফিল্ডারদের মনোযোগে ঘাটতি ছিল।

ম্যাচ শেষে হতাশ ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। যা পরিষ্কার দেখা গিয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। বাবর বলেন, এই (আফগানদের বিপক্ষে) হারে আমরা বড় আঘাত পেয়েছি। আমরা ২৮০-২৯০ রান তুলতে চেয়েছিলাম। সেটা পাওয়ার পর, বোলিং ও ফিল্ডিং আমাদের ডুবিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে আমাদের স্পিনাররা প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেনি। আমরা মাঝের ওভারগুলোতে ভালো শুরু পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসেও স্পিনাররা পিচ থেকে সহায়তা পাচ্ছিল। কিন্তু আমাদের স্পিনাররা লেন্থ ধরে রাখতে পারেনি। প্রতি ওভারেই আমরা বাউন্ডারি হজম করেছি, ফলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারিনি।

বরাবরের মত বিশ্বকাপেও দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংয়ের মহড়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ক্যাচ মিসের মাশুল দিতে হয়েছে বাবরদের। ১০ রানে জীবন পাওয়া ডেভিড ওয়ার্নার সেদিন পরে থেমেছেন ১৬৩ রানে। এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কালকেও ম্যাচেও দুর্দশা লক্ষ্য করা গেছে ফিল্ডিং বিভাগে।

বাবর আরো বলেন, পাকিস্তানি বোলারদের প্ল্যান ঠিক ছিল। কিন্তু তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং তাতে চাপও তৈরি হয়নি ব্যাটারদের ওপর। দলের ফিল্ডিং নিয়েও চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন বাবর, ‘আমাদের সব বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারেনি। আমরা যদি বোলিংয়ে ভালো করি, তাহলে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারছি না। আর আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করলে, ফিল্ডিংয়ে খারাপ করছি। ‘

টানা তিন হারের পর বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি তার ব্যাটিং নিয়েও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এই আসরে এখন পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৩১.৪০ গড়ে ১৫৭ রান করেছেন তিনি। গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ৭৪ রান করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তিনি।

কিন্তু বাবর নিজে ব্যাটিং কিংবা নেতৃত্ব নিয়ে চিন্তার কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, অধিনায়কত্ব এবং ব্যাটিং নিয়ে কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমি আমাদের সামর্থ্যের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। ফিল্ডিংয়ের সময় অধিনায়কত্ব এবং ব্যাটিংয়ে সময় শুধু ব্যাটিং নিয়েই ভাবি, কীভাবে আমি দলের জন্য রান করতে পারি।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। এরপর ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে তারা।