Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোহামেডানকে উড়িয়ে আবাহনীর দাপুটে জয়

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ব্লকবাস্টার এক লড়াই প্রত্যাশা ছিল। সেই উচ্চাশা মিইয়ে গেছে। দুই হেভিওয়েটের লড়াই হয়েছে একপেশে। মোহামেডানের ছন্নছাড়া বোলিং এবং ব্যাটারদের দৈন্যদশায় ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এ জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। পূর্ণ দুই পয়েন্ট খুইয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

খান সাহেব ফতুল্লা স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৯০ রান তোলে মোহামেডান। রান তাড়ায় কোটার ১৫ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। জয়ের নায়ক জাকির আলী অনিক। ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস। দলীয় ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ১০ রানে রনি তালুকদারের আউটে শুরু হয় পতন। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ না হতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ১৬ রানে ইমরুল কায়েস (২), ২১ রানে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫), ৪০ রানে রুবেল মিয়া (১১) এবং ৫৭ রানে ফেরেন আরিফুল ইসলাম (১৯)। আসা যাওয়ার মিছিলে ত্রাণকর্তা কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল। এক প্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল অন্যপ্রান্ত সামলে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। আর শেষ দিকে আরিফুল হক ৩৩ ও আবু হায়দার রনি করেন ২২ রান। তাতেই ১৯০ রানের সম্মানজনক পুঁজি পায় মোহামেডান। আবাহনীর হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ১১ ও আসিফ হাসান ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৯০ রান। আবাহনীর হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।

১৯১ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই ভেঙে যায় আবাহনীর উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মোহামেডান পেসার আবু হায়দার রনিকে পুল করতে যান এনামুল হক বিজয়। মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন আরিফুল ইসলাম। ২০ বলে ২ চারে ১২ রান করেন বিজয়। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের আলী অনিক। জাকেরের সঙ্গে আবাহনীর আরেক ওপেনার নাঈম শেখ দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। জাকের, নাঈম দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ধৈর্য ধরে খেললে হয়তো নাঈম সেঞ্চুরিটাই পেয়ে যেতেন। ২৪তম ওভারের চতুর্থ বলে নাসুমকে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন নাঈম। পরের বলে স্লগ সুইপ করতে যান নাঈম। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন আরিফুল। ৬২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করেন নাঈম।

নাঈমের বিদায়ে আবাহনীর স্কোর হয়ে যায় ২৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১২২ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তৃতীয় উইকেটে আফিফ-জাকের ৭৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। জাকের ৭৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৯০ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কা মারেন তিনি। তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা। আফিফ ৩৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

মোহামেডানের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি ও নাসুম আহমেদ।

 

আবহাওয়া

বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

মোহামেডানকে উড়িয়ে আবাহনীর দাপুটে জয়

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ব্লকবাস্টার এক লড়াই প্রত্যাশা ছিল। সেই উচ্চাশা মিইয়ে গেছে। দুই হেভিওয়েটের লড়াই হয়েছে একপেশে। মোহামেডানের ছন্নছাড়া বোলিং এবং ব্যাটারদের দৈন্যদশায় ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এ জয়ে শীর্ষস্থান আরো মজবুত হলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। পূর্ণ দুই পয়েন্ট খুইয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

খান সাহেব ফতুল্লা স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবার টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৯০ রান তোলে মোহামেডান। রান তাড়ায় কোটার ১৫ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। জয়ের নায়ক জাকির আলী অনিক। ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মোহামেডানের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন রনি তালুকদার ও ইমরুল কায়েস। দলীয় ১৫ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে। ১০ রানে রনি তালুকদারের আউটে শুরু হয় পতন। স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ না হতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। দলীয় ১৬ রানে ইমরুল কায়েস (২), ২১ রানে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৫), ৪০ রানে রুবেল মিয়া (১১) এবং ৫৭ রানে ফেরেন আরিফুল ইসলাম (১৯)। আসা যাওয়ার মিছিলে ত্রাণকর্তা কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৮৩ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছয়ের মার ছিল। এক প্রান্তে যখন উইকেটের মিছিল অন্যপ্রান্ত সামলে রাখেন মাহমুদউল্লাহ। আর শেষ দিকে আরিফুল হক ৩৩ ও আবু হায়দার রনি করেন ২২ রান। তাতেই ১৯০ রানের সম্মানজনক পুঁজি পায় মোহামেডান। আবাহনীর হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ১১ ও আসিফ হাসান ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে মোহামেডানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ১৯০ রান। আবাহনীর হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তানজিম হাসান সাকিব। এ ছাড়া দুটি উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ।

১৯১ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ১৬ রানেই ভেঙে যায় আবাহনীর উদ্বোধনী জুটি। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মোহামেডান পেসার আবু হায়দার রনিকে পুল করতে যান এনামুল হক বিজয়। মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন আরিফুল ইসলাম। ২০ বলে ২ চারে ১২ রান করেন বিজয়। তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের আলী অনিক। জাকেরের সঙ্গে আবাহনীর আরেক ওপেনার নাঈম শেখ দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১০৬ রানের জুটি। জাকের, নাঈম দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। ধৈর্য ধরে খেললে হয়তো নাঈম সেঞ্চুরিটাই পেয়ে যেতেন। ২৪তম ওভারের চতুর্থ বলে নাসুমকে ডিপ এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার মারেন নাঈম। পরের বলে স্লগ সুইপ করতে যান নাঈম। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ ধরেন আরিফুল। ৬২ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৩ রান করেন নাঈম।

নাঈমের বিদায়ে আবাহনীর স্কোর হয়ে যায় ২৩.৫ ওভারে ২ উইকেটে ১২২ রান। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তৃতীয় উইকেটে আফিফ-জাকের ৭৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে আবাহনীকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। জাকের ৭৮ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ৯০ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কা মারেন তিনি। তিনিই হয়েছেন ম্যাচসেরা। আফিফ ৩৮ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

মোহামেডানের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি ও নাসুম আহমেদ।