Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে যুবদলের সভাপতিকে গলাকেটে হত্যা

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে (৪৫) গলাকাটা হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া বাদিয়াপাড়া কামারখালি মাঠের রাইমনতলা নামকস্থান থেকে গাংনী থানা পুলিশ তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশ থেকে খুনের কারণ সম্বলিত হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মইন উদ্দিনের ছেলে ও গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। প্রায় তিন মাস আগে তিনি দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

নিহত আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই আলামিন হোসেন জানান, দুই মাস আগে তার মেজ ভাই আলমগীর হোসেন দুবাই থেকে বাড়িতে ফিরেছে। সে গাংনী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয় এবং রাত দশটার মধ্যে আবারও বাড়িতে ফিরে আসে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। দেরি দেখে মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া এলাকায় একটি গলাকাটা লাশ পড়ে আছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার মেজ ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এছাড়া গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায় মরদেহটি।

তিনি আরও জানান, তার মেজ ভাই একটা সাদামাটা, সহজ-সরল মানুষ। জানামতে তার কোনো শত্রু নাই।

মরদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে অজ্ঞাত এক নারীর বরাতে লেখা- ‘৫ বছর পরকীয়া প্রেম আর শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ে না করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে’।

গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গতরাতে গাংনী বাজারে ছিল আলমগীর হোসেন। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। আজ সকালে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। তবে, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই বলতে পারছি না। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, উপজেলার সহড়াবাড়িয়া-কামারখালী কাঁচা রাস্তার পাশে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান

মেহেরপুরে যুবদলের সভাপতিকে গলাকেটে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০১:১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে (৪৫) গলাকাটা হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া বাদিয়াপাড়া কামারখালি মাঠের রাইমনতলা নামকস্থান থেকে গাংনী থানা পুলিশ তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশ থেকে খুনের কারণ সম্বলিত হাতে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মইন উদ্দিনের ছেলে ও গাংনী পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। প্রায় তিন মাস আগে তিনি দুবাই থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

নিহত আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই আলামিন হোসেন জানান, দুই মাস আগে তার মেজ ভাই আলমগীর হোসেন দুবাই থেকে বাড়িতে ফিরেছে। সে গাংনী পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয় এবং রাত দশটার মধ্যে আবারও বাড়িতে ফিরে আসে। বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। দেরি দেখে মোবাইল ফোনে ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে বিষয়টি আত্মীয়-স্বজন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া এলাকায় একটি গলাকাটা লাশ পড়ে আছে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে দেখি আমার মেজ ভাইয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। এছাড়া গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া যায় মরদেহটি।

তিনি আরও জানান, তার মেজ ভাই একটা সাদামাটা, সহজ-সরল মানুষ। জানামতে তার কোনো শত্রু নাই।

মরদেহের পাশ থেকে হাতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। চিরকুটে অজ্ঞাত এক নারীর বরাতে লেখা- ‘৫ বছর পরকীয়া প্রেম আর শারীরিক সম্পর্ক করে বিয়ে না করার প্রতিশোধ হিসেবে তাকে হত্যা করা হয়েছে’।

গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাহিদুল ইসলাম বলেন, গতরাতে গাংনী বাজারে ছিল আলমগীর হোসেন। তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। আজ সকালে তার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। তবে, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই বলতে পারছি না। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের দাবি জানান।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, উপজেলার সহড়াবাড়িয়া-কামারখালী কাঁচা রাস্তার পাশে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ পড়ে আছে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়টি এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ মাঠে রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।