Dhaka বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শানঘাট গ্রামের দাড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সানঘাট গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়োল ইলমা (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জোছনা খাতুন (৫৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন স্বামী জাহিদ হোসেন ও আরেক বোন শামীমা আক্তার। আহতরা মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘাতকের নাম মহিবুল ইসলাম ওহিদ। নিহত ইলমা ঘাতকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও জোছনা খাতুন তার বড় বোন।

জানা যায়, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। শনিবার সকালে নিহত জোছনা খাতুন ও আরেক বোন শামীমা খাতুন বাবার ১ একর ২৭ শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে আসেন। বিষয়টি মীমাংসা জন্য সবাই বাড়িতে বসেছিলেন। একপর্যায় বোন জোছনা খাতুন, ছোট ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এ সময় মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী জাকিয়া মারা যান। আহত হন দুইজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত জোসনা খাতুনের স্বামী কুদরত-ই-হাফিজ জানান, ভাই-বোনদের মধ্যে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মহিবুল ইসলাম ওহিদ বাড়ি পাশের ১ একর ২৮ শতক জমির একটি পুকুর দখল করে আছে। ভাই বোনদের ভাগ নির্ধারণ করার জন্য আজ সবাই মিলে আলোচনায় বসা হয়েছিল। এর পর্যায়ে মহিবুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মুত্যু হয়। আহত হয় দুজন।

নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, ভাই বোনদের মধ্যে জমিজমার ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এ নিয়ে এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। দুপক্ষই আদালতে মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয়ভাবে অনেকবার আলোচনায় বসা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুই ভাই এবং তিন বোন এক পক্ষে এবং মহিবুল একাই প্রতিপক্ষ। কোন কিছুতেই মহিবুল তাদের সাথে সমঝোতায় আসেন না। দীর্ঘদিনের বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের পথে গড়াল।

ওসি তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা, পুলিশ, সেনাবিাহিনী, র‌্যাবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

মেহেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধে বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪

মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আপন বোন ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শানঘাট গ্রামের দাড়িপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সানঘাট গ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী জাকিয়োল ইলমা (৪৫) ও চুয়াডাঙ্গার বোয়ালিয়া গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী জোছনা খাতুন (৫৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন স্বামী জাহিদ হোসেন ও আরেক বোন শামীমা আক্তার। আহতরা মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘাতকের নাম মহিবুল ইসলাম ওহিদ। নিহত ইলমা ঘাতকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও জোছনা খাতুন তার বড় বোন।

জানা যায়, পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। শনিবার সকালে নিহত জোছনা খাতুন ও আরেক বোন শামীমা খাতুন বাবার ১ একর ২৭ শতক জমির পুকুরে মাছ ছাড়তে আসেন। বিষয়টি মীমাংসা জন্য সবাই বাড়িতে বসেছিলেন। একপর্যায় বোন জোছনা খাতুন, ছোট ভাই জাহিদ ও তার স্ত্রী জাকিয়া পুকুরে মাছ ছাড়তে যান। এ সময় মহিবুল ধারালো রামদা দিয়ে তাদের একের পর এক কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই বোন জোছনা খাতুন ও ভাইয়ের স্ত্রী জাকিয়া মারা যান। আহত হন দুইজন। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত জোসনা খাতুনের স্বামী কুদরত-ই-হাফিজ জানান, ভাই-বোনদের মধ্যে জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মহিবুল ইসলাম ওহিদ বাড়ি পাশের ১ একর ২৮ শতক জমির একটি পুকুর দখল করে আছে। ভাই বোনদের ভাগ নির্ধারণ করার জন্য আজ সবাই মিলে আলোচনায় বসা হয়েছিল। এর পর্যায়ে মহিবুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মুত্যু হয়। আহত হয় দুজন।

নিহতের প্রতিবেশীরা জানান, ভাই বোনদের মধ্যে জমিজমার ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এ নিয়ে এর আগেও দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। দুপক্ষই আদালতে মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয়ভাবে অনেকবার আলোচনায় বসা হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। দুই ভাই এবং তিন বোন এক পক্ষে এবং মহিবুল একাই প্রতিপক্ষ। কোন কিছুতেই মহিবুল তাদের সাথে সমঝোতায় আসেন না। দীর্ঘদিনের বিরোধের জের শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডের পথে গড়াল।

ওসি তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রীতম সাহা, পুলিশ, সেনাবিাহিনী, র‌্যাবসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।