Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেয়েকে ‘নির্মমভাবে হত্যার’ দায় স্বীকার পাকিস্তানি বাবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শিশু ১০ বছর বয়সি সারা শরীফকে হত্যার দায়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তার বাবা উরফান শরীফ। ১ বছরের বেশি সময় তদন্তের পর এবার নিজ সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার তার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি এও জানিয়েছেন, যখন সারা মারা যাচ্ছিল তখনও তিনি খারাপভাবে মারধর করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়, উরফান শরীফ এর আগে সারার সৎ মা বাতুলকে এই হত্যার পেছনে দোষারোপ করেছিলেন। তার ভাষ্য, সারাকে হত্যার হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করেছেন তার স্ত্রী।

তবে বুধবার বাতুলের আইনজীবীর জিজ্ঞাসাবাদের উরফান জানিয়েছেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য তিনি সম্পূর্ণ দায় নিয়েছেন। তবে সারাকে আঘাত করার উদ্দেশ্য তার ছিল না’।

তিনি সারাকে মারধর করে হত্যা করেছেন কিনা জানতে চাইলে উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ, সে আমার কারণে মারা গেছে’।

তিনি সারার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে একাধিক ফ্র্যাকচারের কারণও স্বীকার করেছেন। প্যাকেজিং টেপ দিয়ে আবদ্ধ থাকায় তার উপর ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করেছেন, খালি হাতে তাকে গলা টিপেছেন এবং তার ঘাড়ের হাড়ের হাড় ভেঙে দিয়েছেন।

‘আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারি। আমি প্রতিটি জিনিস মেনে নিই’।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশু হত্যায় বাবার সংশ্লিষ্টা রয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছিল যুক্তরাজ্য পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে সারা শরীফের বাবা ছাড়াও সৎ মা এবং চাচাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত বছরের ১০ আগস্ট লন্ডের ওকিংয়ের বাড়ি থেকে শিশু সারা শরিফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পুলিশ দাবি করেছিল, ময়নাতদন্তে শিশু সারার শরীরে বেশ কিছু ‘আঘাতের চিহ্ন’ পেয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, ঘটনা আড়াল করতে সারার মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন ৯ আগস্ট অভিযুক্ত তিনজনই যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন।

এরপর সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাজ্যে আসার পর গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে উরফান শরীফ (৪১), তার স্ত্রী বেনাশ বাতুল (২৯) এবং তার ভাই ফয়সাল মালিককে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

মেয়েকে ‘নির্মমভাবে হত্যার’ দায় স্বীকার পাকিস্তানি বাবার

প্রকাশের সময় : ০৪:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শিশু ১০ বছর বয়সি সারা শরীফকে হত্যার দায়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তার বাবা উরফান শরীফ। ১ বছরের বেশি সময় তদন্তের পর এবার নিজ সন্তানকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তিনি।

কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, হত্যা বা গুরুতর ক্ষতি করার তার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি এও জানিয়েছেন, যখন সারা মারা যাচ্ছিল তখনও তিনি খারাপভাবে মারধর করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এর আগে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওল্ড বেইলি আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময়, উরফান শরীফ এর আগে সারার সৎ মা বাতুলকে এই হত্যার পেছনে দোষারোপ করেছিলেন। তার ভাষ্য, সারাকে হত্যার হত্যার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করেছেন তার স্ত্রী।

তবে বুধবার বাতুলের আইনজীবীর জিজ্ঞাসাবাদের উরফান জানিয়েছেন, ‘যা ঘটেছে তার জন্য তিনি সম্পূর্ণ দায় নিয়েছেন। তবে সারাকে আঘাত করার উদ্দেশ্য তার ছিল না’।

তিনি সারাকে মারধর করে হত্যা করেছেন কিনা জানতে চাইলে উত্তর দেন: ‘হ্যাঁ, সে আমার কারণে মারা গেছে’।

তিনি সারার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে একাধিক ফ্র্যাকচারের কারণও স্বীকার করেছেন। প্যাকেজিং টেপ দিয়ে আবদ্ধ থাকায় তার উপর ক্রিকেট ব্যাট ব্যবহার করেছেন, খালি হাতে তাকে গলা টিপেছেন এবং তার ঘাড়ের হাড়ের হাড় ভেঙে দিয়েছেন।

‘আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে পারি। আমি প্রতিটি জিনিস মেনে নিই’।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশু হত্যায় বাবার সংশ্লিষ্টা রয়েছে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছিল যুক্তরাজ্য পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে সারা শরীফের বাবা ছাড়াও সৎ মা এবং চাচাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত বছরের ১০ আগস্ট লন্ডের ওকিংয়ের বাড়ি থেকে শিশু সারা শরিফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পুলিশ দাবি করেছিল, ময়নাতদন্তে শিশু সারার শরীরে বেশ কিছু ‘আঘাতের চিহ্ন’ পেয়েছেন তারা। শুধু তাই নয়, ঘটনা আড়াল করতে সারার মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন ৯ আগস্ট অভিযুক্ত তিনজনই যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন।

এরপর সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে যুক্তরাজ্যে আসার পর গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে উরফান শরীফ (৪১), তার স্ত্রী বেনাশ বাতুল (২৯) এবং তার ভাই ফয়সাল মালিককে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।