Dhaka মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেলে চালু হলো অনলাইন রিচার্জ সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মেট্রোরেলের র‌্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস রিচার্জ করতে মেট্রো স্টেশনে আর যেতে হবে না। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে যেকোনো স্থান থেকে এই কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যাবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ডে অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণপরিবহনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। অনলাইন রিচার্জ সুবিধার মাধ্যমে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে নিরাপদে, দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের যাতায়াত সুবিধার জন্য কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে অনলাইন রিচার্জ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, আজকে আমাদের জন্য আসলে খুবই এক্সপেক্টেড একটা দিন। এটাকে বলতে পারি যে বহুল কাঙ্ক্ষিত। অনেকেই বলছিলেন যে, এই যে আমাদের স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা এবং অনেক ভিড় অনেক মানুষের অনেক হয়রানি হচ্ছে। এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি সেটি লাঘব করতে। আজকে সেই উদ্যোগের আমরা শুভ সূচনা করতে যাচ্ছি। যা আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক সহজ নিরাপদ ও সময় উপযোগী করে তুলবে।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেলে এখন ১৬টি স্টেশন আছে। প্রতিটি স্টেশনে দুটো করে এই মেশিন বসিয়েছি। আপনি বাসায় বসে বা স্টেশনের বাইরে থেকে রিচার্জ করে এসে মেশিনে ট্যাব করবেন তখন আপনার রিচার্জ সফল দেখাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস বলেন, আসলে মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে পলিসি সাপোর্ট দেয়া। ডিএমটিসিএল বাংলাদেশে যোগাযোগ সেক্টরে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন করেছে। আমরা যারা ব্যবহার করি বা ভবিষ্যৎ ব্যবহার করব তাদেরকে যত স্বাচ্ছন্দে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বিঘ্নে আমরা টিকিট কাটা থেকে ভ্রমণ সহযোগিতা দিতে পারবো সেটা আমাদের যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আছে এটা আমাদের কর্তব্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শরাফত উল্লাহ খান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম, এসএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের প্রতিটিতে দুটি করে মোট ৩২টি অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম) বসানো হয়েছে। এই মেশিনে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড স্পর্শ করানোর পর অনলাইন রিচার্জ সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আগামী মাসে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধার জন্য মেট্রোরেলের অ্যাপ চালু হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মেট্রোরেলে চালু হলো অনলাইন রিচার্জ সুবিধা

প্রকাশের সময় : ০২:২৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

মেট্রোরেলের র‌্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস রিচার্জ করতে মেট্রো স্টেশনে আর যেতে হবে না। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) থেকে যেকোনো স্থান থেকে এই কার্ডে টাকা রিচার্জ করা যাবে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ সব ধরনের অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে মেট্রোরেলের র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ডে অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (সড়ক, সেতু ও রেল মন্ত্রণালয়) শেখ মইনউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ মইনউদ্দিন বলেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের গণপরিবহনে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। অনলাইন রিচার্জ সুবিধার মাধ্যমে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহারকারীরা যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে নিরাপদে, দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের যাতায়াত সুবিধার জন্য কার্ড রিচার্জ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে অনলাইন রিচার্জ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, আজকে আমাদের জন্য আসলে খুবই এক্সপেক্টেড একটা দিন। এটাকে বলতে পারি যে বহুল কাঙ্ক্ষিত। অনেকেই বলছিলেন যে, এই যে আমাদের স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা এবং অনেক ভিড় অনেক মানুষের অনেক হয়রানি হচ্ছে। এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি সেটি লাঘব করতে। আজকে সেই উদ্যোগের আমরা শুভ সূচনা করতে যাচ্ছি। যা আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক সহজ নিরাপদ ও সময় উপযোগী করে তুলবে।

তিনি বলেন, আমাদের মেট্রোরেলে এখন ১৬টি স্টেশন আছে। প্রতিটি স্টেশনে দুটো করে এই মেশিন বসিয়েছি। আপনি বাসায় বসে বা স্টেশনের বাইরে থেকে রিচার্জ করে এসে মেশিনে ট্যাব করবেন তখন আপনার রিচার্জ সফল দেখাবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিখিল কুমার দাস বলেন, আসলে মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে পলিসি সাপোর্ট দেয়া। ডিএমটিসিএল বাংলাদেশে যোগাযোগ সেক্টরে একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়ন করেছে। আমরা যারা ব্যবহার করি বা ভবিষ্যৎ ব্যবহার করব তাদেরকে যত স্বাচ্ছন্দে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বিঘ্নে আমরা টিকিট কাটা থেকে ভ্রমণ সহযোগিতা দিতে পারবো সেটা আমাদের যারা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আছে এটা আমাদের কর্তব্য।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শরাফত উল্লাহ খান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম, এসএসএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশনের প্রতিটিতে দুটি করে মোট ৩২টি অ্যাড ভ্যালু মেশিন (এভিএম) বসানো হয়েছে। এই মেশিনে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড স্পর্শ করানোর পর অনলাইন রিচার্জ সম্পন্ন হবে। পরবর্তীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। আগামী মাসে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধার জন্য মেট্রোরেলের অ্যাপ চালু হবে।