নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রতিদিন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পিরোজপুর-নেসারাবাদ সড়কের নাপিতখালী সেতু অতিক্রম করছেন হাজার হাজার যাত্রী। অতি পুরাতন এ সেতুটিতে ভারী ট্রাক চলাচল করায় সেতুর উত্তর প্রান্ত ধসে যাওয়ায় স্টিল প্লেট দিয়ে গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করছে। ফলে প্রতি মুহূর্তে ঝুঁকিতে থাকছে যানবাহন। মহাসড়কে ১২০ মিটার দীর্ঘ নাপিতখালী সেতুটি দিয়ে দৈনিক গড়ে প্রায় ৫ হাজার যানবাহন চলাচল করে।
নদীবহুল পিরোজপুরের আন্তঃউপজেলা যোগাযোগে পিরোজপুর-কাউখালী-নেসারাবাদ সড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। জেলা সদরের সঙ্গে নেসারাবাদ উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র রুট এটি। প্রতিদিন এ রুটে চলাচল করে কয়েক হাজার মানুষ।
এ সড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু নাপিতখালী সেতু। প্রায় একযুগ ধরে এ সেতুটি রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। দীর্ঘ এ সময়ে নতুন করে সেতু নির্মাণ বা মেরামত হয়নি। উপরন্তু এ সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন পার হচ্ছে শত শত যানবাহন। যে কোনো সময় ঘটতে পারে প্রাণনাশের মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
সড়ক ও জনপদের নিয়ন্ত্রণাধীন এ সেতুটি দীর্ঘদিন এ অবস্থায় থাকলেও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়নি।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার বাসিন্দা শেখ রিয়াজ আহমেদ নাহিদ বলেন, আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে স্বরূপকাঠি কাউখালী সড়কে চলাফেরা করি। নাপিতখালী সেতুটি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ সাইনবোর্ড লাগানো আছে। ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন সাইনবোর্ড নতুন করে লাগানো হয় কিন্তু সেতুর কোনো কাজ হয় না। আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু পারাপার হচ্ছি।
স্বরূপকাঠি উপজেলার বাসিন্দা ফয়সাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এ পথে পিরোজপুর আসা-যাওয়া করি। কিন্তু নাপিতখালী সেতু ডেবে যাওয়ার ফলে স্টিলের প্লেট দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে সব সময় আতঙ্কিত হয়ে চলাচল করতে হয়।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সময় সংবাদকে জানান, পিরোজপুর-নেছারাবাদ জেলা সড়কের ২৭ কিলোমিটার সড়কে দুর্বল ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোকে রিপ্লেসমেন্টের জন্য ডিবিবি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি অনুমোদন হলে ব্রিজগুলো নির্মাণ সম্ভব হবে। তাছাড়া নাপিতখালী সেতুটি নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হলে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। তাহলে এ পথে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ লাগব হবে।