Dhaka শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

রোববার (১৩ এপ্রিল) (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না। শব্দদূষণ হয় এমন বাঁশি বাজানো যাবে না।

তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বছর আরও বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উৎযাপিত হবে। ড্রোন ক্যামেরা, ডগ স্কয়াড, পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

কমিশনার বলেন, নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য এই পয়লা বৈশাখ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে। সঙ্গে র‍্যাব আছে, বাংলাদেশ আর্মি, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট থাকবে। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করবে। এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। আশা করছি আমরা সঠিকভাবে নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করব এবং অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।

বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থল ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। রমনা পার্ক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেট থাকবে।

প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোডগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।

অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াট ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে। রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার স্থাপন থাকবে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও সাইবার পেট্রোলিং নববর্ষ কেন্দ্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি নববর্ষে অংশগ্রহণ নিতে আসা নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজের সহযোগিতা কামনা করছি। অনুষ্ঠানস্থলে কোনো ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে হবে। কোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস উড়ানো যাবে না। শব্দ দূষণ হয় এ ধরনের কোনো বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। বিশেষ করে শোভাযাত্রায় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে।

রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান সকালে শুরু হবে। তাদের নির্ধারিত সময় শেষ হবে। ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানে তিনটি গেট দিয়ে ঢুকতে হবে রমনা বটমূলে। তবে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার মাত্র দুটি গেট ব্যবহার করা যাবে।

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আসতে ইচ্ছুক নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা নারী ও শিশু সঙ্গে নিয়ে আসবেন তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভীড় এড়িয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করবেন এবং নির্ধারিত মহিলা ও শিশুদের জন্য যে প্রবেশ গেট করা হয়েছে সেটি ব্যবহার করে বের হয়ে চলে যাবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে, তবে সেখানে বের হওয়ার জন্য তিনটি গেট ব্যবহার করা যাবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে। বিকেল ৫টার পর ঢোকার সব প্রবেশ পথ বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার শুরু হবে।

শোভাযাত্রা সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে সেটি বন্ধ থাকবে। ওই সময় কেউ ওই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবে না।

কমিশনার জোর দিয়ে বলেন শোভাযাত্রা যখন শুরু হবে তখন মাঝখান দিয়ে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবেন না। শোভাযাত্রায় যারা যোগদান করবেন তাদের শাহবাগ মোড় থেকে অথবা অথবা ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে যারা শোভাযাত্রা অংশ নিতে চান তারা শাহবাগ হয়ে কাটাবন মোড়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাবি ভিসির বাংলোর সামনে থেকে অংশ নেবেন।

ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি।

ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ ধরে পুলিশ কমিশনার বলেন, শুধু এটুকু বলে রাখি, আমরা অত্যন্ত ক্লোজ। খুব নিকটে পৌঁছে গেছি ডিটেকশনের ক্ষেত্রে। আমরা আশা করতেছি (সোমবার) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই সন্তোষজনক পর্যায়ে ডিটেকশনের ক্ষেত্রে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম, দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০২:১১:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

রোববার (১৩ এপ্রিল) (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা পার্কে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মুখোশ পরে শোভাযাত্রায় আসা যাবে না। শব্দদূষণ হয় এমন বাঁশি বাজানো যাবে না।

তিনি বলেন, ঢাকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ বছর আরও বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উৎযাপিত হবে। ড্রোন ক্যামেরা, ডগ স্কয়াড, পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

কমিশনার বলেন, নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তার ব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি নেই। ১৮ হাজার পুলিশ সদস্য এই পয়লা বৈশাখ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত থাকবে। সঙ্গে র‍্যাব আছে, বাংলাদেশ আর্মি, এন্টি টেরোরিজম ইউনিট থাকবে। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা আমাদের সহযোগিতা করবে। এখন পর্যন্ত কোথাও থেকে কোনো ধরনের ঝুঁকি নেই। আশা করছি আমরা সঠিকভাবে নিরাপত্তা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সহযোগিতা করব এবং অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।

বাংলা বর্ষবরণ উৎসবকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগরকে ২১টি সেক্টরে ভাগ করে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাস্থল ডগ স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং করা হবে। রমনা পার্ক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ মোট ২১টি স্থানে ব্যারিকেট থাকবে।

প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ে ও হ্যান্ড মেটাল দিয়ে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়া ও শোভাযাত্রার রোডগুলোতে সিসি ক্যামেরাসহ স্থির ও ভিডিও ক্যামেরা দ্বারা ও ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।

অনুষ্ঠানের চারপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফুট পেট্রোল থাকবে। সিটিটিসি, সোয়াট ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

ইভটিজিং ও ছিনতাই প্রতিরোধ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ দল মোতায়েন থাকবে। রমনা ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার স্থাপন থাকবে। সেখানে মাইকিং ব্যবস্থা থাকবে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও সাইবার পেট্রোলিং নববর্ষ কেন্দ্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার রোধে মনিটরিং করা হচ্ছে।

তিনি নববর্ষে অংশগ্রহণ নিতে আসা নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজের সহযোগিতা কামনা করছি। অনুষ্ঠানস্থলে কোনো ধরনের ব্যাগ, ধারালো বস্তু ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে না আসার জন্য অনুরোধ করছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে এবং অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করতে হবে। কোনো ধরনের আতশবাজি, ফানুস উড়ানো যাবে না। শব্দ দূষণ হয় এ ধরনের কোনো বাঁশি ব্যবহার করা যাবে না। বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য বাজারজাত করা যাবে না। বিশেষ করে শোভাযাত্রায় এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে।

রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান সকালে শুরু হবে। তাদের নির্ধারিত সময় শেষ হবে। ছায়ানটের এই অনুষ্ঠানে তিনটি গেট দিয়ে ঢুকতে হবে রমনা বটমূলে। তবে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের হওয়ার মাত্র দুটি গেট ব্যবহার করা যাবে।

ছায়ানটের অনুষ্ঠানে আসতে ইচ্ছুক নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা নারী ও শিশু সঙ্গে নিয়ে আসবেন তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভীড় এড়িয়ে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করবেন এবং নির্ধারিত মহিলা ও শিশুদের জন্য যে প্রবেশ গেট করা হয়েছে সেটি ব্যবহার করে বের হয়ে চলে যাবেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিনটি গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে, তবে সেখানে বের হওয়ার জন্য তিনটি গেট ব্যবহার করা যাবে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত উদ্যানে প্রবেশ করা যাবে। বিকেল ৫টার পর ঢোকার সব প্রবেশ পথ বের হওয়ার পথ হিসেবে ব্যবহার শুরু হবে।

শোভাযাত্রা সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম পাশে চারুকলার বিপরীতে যে গেট আছে সেটি বন্ধ থাকবে। ওই সময় কেউ ওই গেট দিয়ে রাস্তায়ও যেতে পারবে না।

কমিশনার জোর দিয়ে বলেন শোভাযাত্রা যখন শুরু হবে তখন মাঝখান দিয়ে কেউ শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবেন না। শোভাযাত্রায় যারা যোগদান করবেন তাদের শাহবাগ মোড় থেকে অথবা অথবা ছায়ানটের অনুষ্ঠান শেষে যারা শোভাযাত্রা অংশ নিতে চান তারা শাহবাগ হয়ে কাটাবন মোড়ে নীলক্ষেত মোড় হয়ে ঢাবি ভিসির বাংলোর সামনে থেকে অংশ নেবেন।

ছায়নটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খুব শীঘ্রই গ্রেপ্তারের খবর আপনাদের দিতে পারব আশা করি।

ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের প্রসঙ্গ ধরে পুলিশ কমিশনার বলেন, শুধু এটুকু বলে রাখি, আমরা অত্যন্ত ক্লোজ। খুব নিকটে পৌঁছে গেছি ডিটেকশনের ক্ষেত্রে। আমরা আশা করতেছি (সোমবার) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রা শুরুর আগেই সন্তোষজনক পর্যায়ে ডিটেকশনের ক্ষেত্রে চলে যাব। সম্ভব যদি হয়, বাই দিস টাইম, দুর্বৃত্তদের অ্যারেস্ট করতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।