Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জা ফখরুলকে আটক করেছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আমরা তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি। গতকালকের পুলিশ হত্যা, আগুন, রাজারবাগ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ডজনখানেক মামলা হবে। এসব ঘটনায় যে কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এর আগে মির্জা ফখরুলের গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ির সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়।

আটকের পর মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ড ডিস্ক নিয়ে ভবনের নিচে চলে যায়। ঠিক দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না, ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ। আশা করবো যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপি। শনিবার সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়। শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পর হরতালের এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় দলটি।

এদিকে হরতাল শুরু হলেও মাঠে নেই বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারও উপস্থিতি চোখে পড়েনি। রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দেখা যায় এমন চিত্র।

যদিও নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অংশ ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।

সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যালয় এলাকায় যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য তৎপর আছেন বাহিনীর সদস্যরা। তবে কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও দপ্তরের লোকজন আছেন বলে জানা গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মির্জা ফখরুলকে আটক করেছে পুলিশ

প্রকাশের সময় : ১২:৪৩:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) ফখরুলকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আমরা তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে এসেছি। গতকালকের পুলিশ হত্যা, আগুন, রাজারবাগ হাসপাতালে অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ডজনখানেক মামলা হবে। এসব ঘটনায় যে কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে ডিবি পুলিশ তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এর আগে মির্জা ফখরুলের গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ির সামনে পুলিশ অবস্থান নেয়।

আটকের পর মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেন, সকালে ডিবি পুলিশের লোকজন বাসায় আসে, মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলে। এরপর সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ হার্ড ডিস্ক নিয়ে ভবনের নিচে চলে যায়। ঠিক দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে আটক করে নিয়ে যায় তারা।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড অসুস্থ, তার চিকিৎসা চলছিল। এভাবে নিয়ে যাবে মেনে নিতে পারছি না, ৭৫ বছর বয়স্ক মানুষ। আশা করবো যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়, তা করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সরকার পতনের একদফা দাবি আদায়ে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করছে বিএনপি। শনিবার সমাবেশ থেকে এ হরতালের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মিডিয়া সেলের ফেসবুক পেজেও এ ঘোষণা দেওয়া হয়। শনিবার নয়াপল্টনে সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের পর হরতালের এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় দলটি।

এদিকে হরতাল শুরু হলেও মাঠে নেই বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কারও উপস্থিতি চোখে পড়েনি। রোববার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দেখা যায় এমন চিত্র।

যদিও নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের অংশ ক্রাইম সিন হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।

সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যালয় এলাকায় যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য তৎপর আছেন বাহিনীর সদস্যরা। তবে কার্যালয়ের ভেতরে বিএনপির কয়েকজন কেন্দ্রীয় ও দপ্তরের লোকজন আছেন বলে জানা গেছে।