Dhaka বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে সতীর্থদের গার্ড অব অনার পেলেন মুশফিক

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫
  • ২১০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটালেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ ১৯ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টেনে এই সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে বিদায়ের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যেমনটি তিনি করেছিলেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সময়ও।

দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার উদাহরণ খুব বেশি নেই, মুশফিকও তার ব্যতিক্রম হতে পারলেন না। তবে তার দীর্ঘ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রতি সম্মান জানাতে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা গেল এক আবেগঘন মুহূর্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামার সময় সতীর্থদের কাছ থেকে পেলেন গার্ড অব অনার।

টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে ক্রিকেটেও মাঠ থেকে বিদায় নেয়া হলো না মুশফিকুর রহিমের। তবে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ঘুচেছে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নামার সময়।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডান মুখোমুখি হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে মোহামেডান। দলের হয়ে উইকেটকিপারের প্যাড-গ্লাভস পরে ফিল্ডিংয়ে নামার সময় মুশফিককে গার্ড অব অনার দিয়েছেন সতীর্থরা।

এ সময় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা দুই সারিতে দাঁড়ান, মাঝখান দিয়ে হেঁটে মাঠে নামেন মুশফিক। এ সময় মোহামেডানের জার্সি গায়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলে তার দুই সতীর্থ তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে পাঁচওয়ানডে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত হন রহিম। অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা এবং সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি স্কোয়াডের তিন অনক্যাপড ওয়ানডে খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন তিনি। ১৯ বছরের সে যাত্রাটা থেমে গেল বুধবার রাতে। বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটে মুশফিকের অধ্যায়টা এখন স্রেফ অতীত।

তবে টাইগার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটের ক্যারিয়ারটা বেশ রাঙানো লাল সবুজ জার্সিতে। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে মুশফিক খেলেছেন ২৭৪টি ওয়ানডে। ২৫৬ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। ৭৯.৭০ স্ট্রাইকরেটে ৩৬.৪২ গড়ে ৭,৭৯৫ রান করেছেন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শীর্ষে তামিম ইকবাল, ২৪৩ ম্যাচে ২৪০ ইনিংসে ৮,৩৫৭ রান করেছেন সাবেক টাইগার ওপেনার।

মুশফিক ওয়ানডেতে ২৭৪ ম্যাচের মধ্যে ২৭২টিতে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। সবমিলিয়ে ২৯৭টি আউটে (রান আউট ছাড়া) অবদান রেখেছেন। ২৪১টি ক্যাচ এবং ৫৬টি স্টাম্পিং করেন টাইগার তারকা। ওয়ানডের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি স্টাম্পিং করেছেন আর চার জন। মহেন্দ্র সিং ধোনি, মার্ক বাউচার, কুমার সাঙ্গাকারা, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। পঞ্চম নামটা মুশফিকের।

বাংলাদেশের জার্সিতে মুশফিকের শেষ শতক ছিলো ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে। যা এসেছিলো তার ৩৫ বছর বয়সে। যা টাইগারদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে শতকের রেকর্ড ছিল। তবে সেই বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শতক হাকিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার নামের পাশে নিয়ে নেন। কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে দ্রুত শতকের রেকর্ডটা তার নামের পাশেই রয়েছে এখনও।

ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও মুশফিক এখনো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিরপুরে সতীর্থদের গার্ড অব অনার পেলেন মুশফিক

প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটালেন মুশফিকুর রহিম। দীর্ঘ ১৯ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টেনে এই সংস্করণ থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। তবে বিদায়ের মঞ্চ হিসেবে বেছে নিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যেমনটি তিনি করেছিলেন টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সময়ও।

দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার উদাহরণ খুব বেশি নেই, মুশফিকও তার ব্যতিক্রম হতে পারলেন না। তবে তার দীর্ঘ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রতি সম্মান জানাতে আজ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা গেল এক আবেগঘন মুহূর্ত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামার সময় সতীর্থদের কাছ থেকে পেলেন গার্ড অব অনার।

টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে ক্রিকেটেও মাঠ থেকে বিদায় নেয়া হলো না মুশফিকুর রহিমের। তবে দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটারের অপূর্ণতা কিছুটা হলেও ঘুচেছে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ডিপিএলে মোহামেডানের হয়ে খেলতে নামার সময়।

মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডান মুখোমুখি হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে মোহামেডান। দলের হয়ে উইকেটকিপারের প্যাড-গ্লাভস পরে ফিল্ডিংয়ে নামার সময় মুশফিককে গার্ড অব অনার দিয়েছেন সতীর্থরা।

এ সময় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা দুই সারিতে দাঁড়ান, মাঝখান দিয়ে হেঁটে মাঠে নামেন মুশফিক। এ সময় মোহামেডানের জার্সি গায়ে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলে তার দুই সতীর্থ তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজ।

২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে পাঁচওয়ানডে খেলার জন্য বাংলাদেশ দলে অন্তর্ভুক্ত হন রহিম। অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজা এবং সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি স্কোয়াডের তিন অনক্যাপড ওয়ানডে খেলোয়াড়ের একজন ছিলেন তিনি। ১৯ বছরের সে যাত্রাটা থেমে গেল বুধবার রাতে। বাংলাদেশের একদিনের ক্রিকেটে মুশফিকের অধ্যায়টা এখন স্রেফ অতীত।

তবে টাইগার এই উইকেটরক্ষক ব্যাটের ক্যারিয়ারটা বেশ রাঙানো লাল সবুজ জার্সিতে। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে মুশফিক খেলেছেন ২৭৪টি ওয়ানডে। ২৫৬ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি ফিফটি হাঁকিয়েছেন মুশফিক। ৭৯.৭০ স্ট্রাইকরেটে ৩৬.৪২ গড়ে ৭,৭৯৫ রান করেছেন। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। শীর্ষে তামিম ইকবাল, ২৪৩ ম্যাচে ২৪০ ইনিংসে ৮,৩৫৭ রান করেছেন সাবেক টাইগার ওপেনার।

মুশফিক ওয়ানডেতে ২৭৪ ম্যাচের মধ্যে ২৭২টিতে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন। সবমিলিয়ে ২৯৭টি আউটে (রান আউট ছাড়া) অবদান রেখেছেন। ২৪১টি ক্যাচ এবং ৫৬টি স্টাম্পিং করেন টাইগার তারকা। ওয়ানডের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি স্টাম্পিং করেছেন আর চার জন। মহেন্দ্র সিং ধোনি, মার্ক বাউচার, কুমার সাঙ্গাকারা, অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। পঞ্চম নামটা মুশফিকের।

বাংলাদেশের জার্সিতে মুশফিকের শেষ শতক ছিলো ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে। যা এসেছিলো তার ৩৫ বছর বয়সে। যা টাইগারদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে শতকের রেকর্ড ছিল। তবে সেই বছর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শতক হাকিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার নামের পাশে নিয়ে নেন। কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে দ্রুত শতকের রেকর্ডটা তার নামের পাশেই রয়েছে এখনও।

ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও মুশফিক এখনো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।