আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থান করার অপরাধে ৮৫ বাংলাদেশিসহ ৬৩০ জন অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় কেলাং মেরুর একটি সেন্ট্রাল মার্কেটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কয়েকজন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই-কমিশনারের (ইউএনএইসসিআর) কার্ডধারী বলে দাবি করেছেন। তবে তারা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য এই দাবি করেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
ইমিগ্রেশন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা বলেন, অভিযানে অভিবাসন অপরাধে ৬৩০ বিদেশিকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩২ জনকে তল্লাশির পর ছেড়ে দেওয়া হয়। আটকদের মধ্যে ১৭ থেকে ৫৭ বছর বয়সী ৬২৮ জন পুরুষ এবং দুজন নারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিক, ৮৫ জন বাংলাদেশি, নয়জন ইন্দোনেশিয়ান, পাঁচজন ভারতীয় এবং একজন নেপালি অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন।
জাফরি বলেন, ইমিগ্রেশন আইনের অধীনে বৈধ ভ্রমণ নথির অভাব, ভিসার শর্ত লঙ্ঘন এবং অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান করায় তাদের আটক করা হয়। তদন্তে আরও জানা গেছে কিছু অবৈধ অভিবাসী তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে দোকান পরিচালনা করছিলেন এবং কেউ কেউ মূল মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করছেন। যার কোনো বৈধ নথিপত্র ছিল না। আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আটকদের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈধ নথিপত্র না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষের পর অতিরিক্ত সময় ধরে অবস্থান, ভিসার শর্ত মানতে ব্যর্থ হওয়া, ভুয়া পরিচয়পত্রের ব্যবহার এবং অভিবাসন আইনের অন্যান্য শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে শেষ হওয়া এই অভিযানে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ, জেনারেল অপারেশন ফোর্স (জিওএফ), এমবিডিকে এবং জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (জেপিএন) মোট ১৫৩ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
জাফ্রি বলেছেন, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য কিছু অভিবাসী ‘‘গেরিলা কৌশল’’ ব্যবহার করেছিলেন।