স্পোর্টস ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ কাল মাঠে নামে অস্ট্রেলিয়া। এদিন অবশ্য অজিদের হয়ে নেতৃত্বের অভিষেক হয়েছে মিচেল মার্শের। অধিনায়ক হিসেবে তার পথচলাটা রাঙালেন জয় দিয়ে। তবে মনে রাখার উপলক্ষ্যটা আরও রাঙিয়েছেন নিজেই। তার সঙ্গে টিম ডেভিডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর অভিষিক্ত স্পিনার তানভীর সাংঘার স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের মাঠে হারালো অস্ট্রেলিয়া।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মার্শের ৪৯ বলে ৯২ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ২২৬ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ করে অজিরা। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়ারা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১৫ রানে। এতে ঘরের মাটিতে প্রোটিয়াদের ১১১ রানের রেকর্ড হারের লজ্জা দিলো অস্ট্রেলিয়া। কেননা দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রানের হিসাবে এত বড় ব্যাবধানে আর কখনো হারেনি।
অজিদের বিশাল রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে জেতার সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি। গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১৫ রানে। প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তিনজনই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। ইনিংসের অর্ধেক রানই আসে ওপেনার রেজা হেন্ড্রিক্সের ব্যাট থেকে। ৪৩ বলে ৫৬ রান করে আউট হন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানভির সাঙ্ঘা। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিস তিনটি ও স্পেন্সার জনসন ২ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন অভিষিক্ত অধিনায়ক মার্শ।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই থাকা খায় তারা। ডারবানের কিংসমিডে ইনিংসের তৃতীয় বলে ট্র্যাভিস হেডকে ফেরায় স্বাগতিকরা। অভিষিক্ত ম্যাথু শর্ট দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিলেও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। মার্শের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৬৩ রানের।
৮ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মার্শ ও ডেভিড। ২২ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন মার্শ, ডেভিডের ফিফটি এসেছে ২৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে। দুজনের জুটিতে ৯৭ রান যোগ হয় অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে। ২৮ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৪ রান কের বিদায় নেন ডেভিড।
শেষ দিকে মার্শ ও অ্যারন হার্ডির ৩৬ রানের জুটিতে রান দুইশ পার হয়। মার্শ ৪৯ বলে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন। পরে দুটি ক্যাচও ধরেন ফিল্ডিংয়ে। তাতে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে অজিরা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে লিজাড উইলিয়ামস নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হন তিনি।