Dhaka শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল। লোকে লোকারণ্য আশপাশের সব এলাকা। একের পর এক মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন মানুষ। তাদের স্লোগানে কম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মিছিল থেকে ভেসে আসছে গর্জে ওঠার আওয়াজ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই গণজামায়াতে শুরু কথা থাকলেও এরই মধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’আয়োজিত এ কর্মসূচি শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রচণ্ড রোদ-গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন লোকজন। এসময় তাদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনি পতাকা দেখা গেছে।

‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ এমন স্লোগান স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট-বড় মিছিল নিয়ে মানুষ আসছেন। কোনো মিছিল আসছে শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্ত্বরের দিক থেকে, আবার কোনোটি আসছে নীলক্ষেতের দিক থেকে। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাসে, পিকআপ, রিকশা, পায়ে হেঁটে এবং একজনকে ঘোড়ায় চড়েও আসতে দেখা গেছে।

এছাড়া বাংলামোটর থেকে আসা মিছিল শাহবাগ হয়ে রমনা গেট দিয়ে, কাকরাইল মোড় হয়ে আসা মিছিল মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট গেট দিয়ে, বকশীবাজার মোড় দিয়ে আসা মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে এবং নীলক্ষেত মোড় দিয়ে আসা মিছিল ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে যোগ দিচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। এরই মধ্যে চলছে কম্পিত হওয়া মিছিল স্লোগান। আর এই মিছিল স্লোগানে অংশ নিয়েছেন ধানমন্ডি থেকে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জুলফিকার আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জীবনে যেন মহাপ্রলয় নেমে এসেছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্যাতন, হামলা ও দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছে। এই অবস্থান আমরা মুসলিম হিসেবে কিছুই করতে পারছি না। আজ অন্তত সুযোগ এসেছে তাদের যে আমরা পাশে আছি- এটা জানান দেওয়ার জন্য। আর এটাই আমাদের প্রতিবাদ। মুসলমান হিসেবে তাদের প্রতি সমর্থন জানানোর।

তিনি বলেন, এই একই কাজ আজ করতে এসেছেন লাখ লাখ মুসলিম। এখানে এমন অবস্থা মানুষের এত ব্যাপক উপস্থিতিতে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। লোকে লোকারণ্য আশপাশের সব এলাকা।

দোয়েল চত্বরের দিক থেকে টিএসসি হয়ে মিছিলের সঙ্গে আসা আরেকজন মোতাসিম বিল্লাহ নামে একজন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো কর্মসূচিতে মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে বাইরেই এত মানুষের ঢল আগে কখনোই দেখিনি। যতদূর দেখা যাচ্ছে দল বেঁধে আসছে মানুষ, যেন এক জনসমুদ্র। সবার কণ্ঠে স্লোগান, আর ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার। গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মুসলিম হিসেবে অন্য মুসলিমদের পাশে যে আমরা আছি তা জানান দিতেই আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

নাজমুল হোসাইন আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি উপলক্ষে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- শনিবার টিএসসির মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে ও সব পরীক্ষার্থীর জন্য রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া গণজমায়েতে অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী (পানি, ছাতা, মাস্ক) সঙ্গে রাখবেন ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন; যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী–স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন; রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করার অনুরোধ এবং দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকতে হবে, প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠন জানায়, মঞ্চ থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। পরে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শেষ হবে।

এ কর্মসূচিতে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন এবং ইসলামি বক্তা যোগ দেবেন।

বিএনপির পক্ষে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের ফেসবুক পেজে ‘মার্চ ফর গাজা’র পক্ষে সংহতি জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাবি ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, হাসনাত আবদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারী, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুর রহমান, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ, রাতুল খান ও শায়খ আহমাদুল্লাহ রয়েছেন।

এছাড়া সংহতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, নুরুল হাসান সোহান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু), খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আফতাবনগর-বনশ্রী সংযোগে নির্মাণ হবে দুই সেতু : ডিএনসিসি প্রশাসক

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

প্রকাশের সময় : ০১:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল। লোকে লোকারণ্য আশপাশের সব এলাকা। একের পর এক মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন মানুষ। তাদের স্লোগানে কম্পিত হচ্ছে পুরো এলাকা। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মিছিল থেকে ভেসে আসছে গর্জে ওঠার আওয়াজ।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই গণজামায়াতে শুরু কথা থাকলেও এরই মধ্যে মানুষের ঢল নেমেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’আয়োজিত এ কর্মসূচি শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রচণ্ড রোদ-গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন লোকজন। এসময় তাদের হাতে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনি পতাকা দেখা গেছে।

‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ ‘আমরা কারা, তোমরা কারা ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ এমন স্লোগান স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের এলাকা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট-বড় মিছিল নিয়ে মানুষ আসছেন। কোনো মিছিল আসছে শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্ত্বরের দিক থেকে, আবার কোনোটি আসছে নীলক্ষেতের দিক থেকে। প্রত্যেকের হাতে রয়েছে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাসে, পিকআপ, রিকশা, পায়ে হেঁটে এবং একজনকে ঘোড়ায় চড়েও আসতে দেখা গেছে।

এছাড়া বাংলামোটর থেকে আসা মিছিল শাহবাগ হয়ে রমনা গেট দিয়ে, কাকরাইল মোড় হয়ে আসা মিছিল মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট গেট দিয়ে, বকশীবাজার মোড় দিয়ে আসা মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে এবং নীলক্ষেত মোড় দিয়ে আসা মিছিল ভিসি চত্বর হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে যোগ দিচ্ছে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটক সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই। এরই মধ্যে চলছে কম্পিত হওয়া মিছিল স্লোগান। আর এই মিছিল স্লোগানে অংশ নিয়েছেন ধানমন্ডি থেকে আসা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী জুলফিকার আহমেদ। তিনি বলেন, বর্তমানে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জীবনে যেন মহাপ্রলয় নেমে এসেছে। ফিলিস্তিনের মুসলমানরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্যাতন, হামলা ও দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছে। এই অবস্থান আমরা মুসলিম হিসেবে কিছুই করতে পারছি না। আজ অন্তত সুযোগ এসেছে তাদের যে আমরা পাশে আছি- এটা জানান দেওয়ার জন্য। আর এটাই আমাদের প্রতিবাদ। মুসলমান হিসেবে তাদের প্রতি সমর্থন জানানোর।

তিনি বলেন, এই একই কাজ আজ করতে এসেছেন লাখ লাখ মুসলিম। এখানে এমন অবস্থা মানুষের এত ব্যাপক উপস্থিতিতে পা ফেলার জায়গা পর্যন্ত নেই। লোকে লোকারণ্য আশপাশের সব এলাকা।

দোয়েল চত্বরের দিক থেকে টিএসসি হয়ে মিছিলের সঙ্গে আসা আরেকজন মোতাসিম বিল্লাহ নামে একজন বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো কর্মসূচিতে মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে বাইরেই এত মানুষের ঢল আগে কখনোই দেখিনি। যতদূর দেখা যাচ্ছে দল বেঁধে আসছে মানুষ, যেন এক জনসমুদ্র। সবার কণ্ঠে স্লোগান, আর ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার। গাজায় চলমান বর্বরোচিত ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। মুসলিম হিসেবে অন্য মুসলিমদের পাশে যে আমরা আছি তা জানান দিতেই আজ আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে। সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

নাজমুল হোসাইন আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি উপলক্ষে কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- শনিবার টিএসসির মেট্রো স্টেশন বন্ধ থাকবে ও সব পরীক্ষার্থীর জন্য রাস্তা বিশেষভাবে উন্মুক্ত থাকবে। এছাড়া গণজমায়েতে অংশগ্রহণকারীরা নিজ দায়িত্বে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় সামগ্রী (পানি, ছাতা, মাস্ক) সঙ্গে রাখবেন ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন; যেকোনো পরিস্থিতিতে ধৈর্য-শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী–স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন; রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করার অনুরোধ এবং দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকতে হবে, প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে।

আয়োজক সংগঠন জানায়, মঞ্চ থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় একটি ঘোষণাপত্র পাঠ করা হবে। পরে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি শেষ হবে।

এ কর্মসূচিতে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন এবং ইসলামি বক্তা যোগ দেবেন।

বিএনপির পক্ষে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

এদিকে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের ফেসবুক পেজে ‘মার্চ ফর গাজা’র পক্ষে সংহতি জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, ইলিয়াস কাঞ্চন, ঢাবি ভিসি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, হাসনাত আবদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারী, মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ, মাহমুদুর রহমান, মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম, সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ, রাতুল খান ও শায়খ আহমাদুল্লাহ রয়েছেন।

এছাড়া সংহতি জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন, নুরুল হাসান সোহান, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু), খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক প্রমুখ।