আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতার পর যেসব এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে জড়িত’ থাকার অভিযোগ এনে নিষিদ্ধ করেছে ভেনেজুয়েলা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেশটির বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
নিষিদ্ধ হওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে রয়েছে স্পেনের আইবেরিয়া, পর্তুগালের ট্যাপ, কলম্বিয়ার অ্যাভিয়ানকা, চিলি ও ব্রাজিলের লাতাম, ব্রাজিলের গোল এবং তুর্কিশ এয়ারলাইন্স।
ভেনেজুয়েলার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে’ সমর্থন দেখিয়ে এরা একতরফাভাবে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেছে। তাই তাদের অপারেশনাল পারমিট বাতিল করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এটি মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ। কিন্তু ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর দাবি, এটি তার সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় উড়োজাহাজ পরিচালনাকারী বেসরকারি বিমানগুলোকে সতর্ক থাকতে বলে। কারণ দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে এবং এখানে সামরিক তৎপরতা বেড়েছে।
ভেনেজুয়েলার পরিবহন মন্ত্রণালয় সোমবার ছয়টি এয়ারলাইন্সকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে বলে। বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সেই সময়সীমা শেষ হয়। কিন্তু কোনো এয়ারলাইন্সই ফ্লাইট চালু করেনি।
ভেনেজুয়েলা ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন (এভাভিট) জানায়, ফ্লাইট স্থগিতের কারণে এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি যাত্রী এবং অন্তত ৪০টি ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মাদকবিরোধী অভিযানের দাবিতে ওয়াশিংটন ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং স্টেলথ বিমান মোতায়েন করে।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
























