Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারা যাওয়া মেয়ের বিয়ের জন্য মৃত পাত্র খুঁজছেন বাবা-মা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রীতিমতো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া মেয়ের জন্য একজন মৃত পাত্রের সন্ধান করছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কন্নড় জেলার একটি পরিবার। ব্যতিক্রম এই ঘটনাটি এখন শহরের আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রদেশের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুরের এই ঘটনা স্থানীয়দের কাছে অস্বাভাবিক নয়। এটা সেই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ধর্মীয় রীতি।

এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’। সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃতা মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও ৩০ বছর আগে মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপনে বলা হয়, কুনাল বর্ণ ও বাঙ্গেরা গোত্রের এক মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজটি। মেয়েটি ৩০ বছর আগে মারা গেছে। যদি একই গোত্রের কোনো পাত্র থাকে যে ৩০ বছর আগে মারা গেছে এবং প্রেতা মাদিবু করতে চান তবে যোগাযোগ করুন।

বিজ্ঞাপনটিতে দুঃখ ভারাক্রান্ত বাবা-মা উল্লেখ করেছেন আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেক চেষ্টার পরও একই বয়সী এবং বর্ণের একজন উপযুক্ত মৃত পাত্র খুঁজে পেতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত আত্মাদের মধ্যে বিয়ের আয়োজনের মতো এই ধরনের প্রথা কর্ণাটকের তিনটি উপকূলীয় জেলা এবং কেরালার পার্শ্ববর্তী কাসারগোদ জেলার কিছু এলাকাজুড়ে দীর্ঘ কাল ধরে চলে আসছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থানীয় টুলু ভাষায় কথা বলেন।

টুলুভা বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তিরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। তাঁদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মারা যাওয়া মেয়ের বিয়ের জন্য মৃত পাত্র খুঁজছেন বাবা-মা

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

রীতিমতো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ৩০ বছর আগে মারা যাওয়া মেয়ের জন্য একজন মৃত পাত্রের সন্ধান করছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণ কন্নড় জেলার একটি পরিবার। ব্যতিক্রম এই ঘটনাটি এখন শহরের আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রদেশের দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুত্তুরের এই ঘটনা স্থানীয়দের কাছে অস্বাভাবিক নয়। এটা সেই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ধর্মীয় রীতি।

এই প্রথাকে স্থানীয়রা বলে থাকেন ‘কুলে মাদিমে’ অথবা ‘প্রেত মাদুভে’। সপ্তাহ খানেক আগে সংবাদপত্রে ব্যতিক্রমী বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়। যেখানে বর্ণ, গোত্রের উল্লেখ করে মৃতা মেয়ের জন্য পাত্রের আত্মার খোঁজ করা হয়েছে। এমন পাত্রের দাবি করা হয়, যিনিও ৩০ বছর আগে মারা গেছেন।

বিজ্ঞাপনে বলা হয়, কুনাল বর্ণ ও বাঙ্গেরা গোত্রের এক মেয়ের জন্য পাত্র খুঁজটি। মেয়েটি ৩০ বছর আগে মারা গেছে। যদি একই গোত্রের কোনো পাত্র থাকে যে ৩০ বছর আগে মারা গেছে এবং প্রেতা মাদিবু করতে চান তবে যোগাযোগ করুন।

বিজ্ঞাপনটিতে দুঃখ ভারাক্রান্ত বাবা-মা উল্লেখ করেছেন আত্মীয়স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনেক চেষ্টার পরও একই বয়সী এবং বর্ণের একজন উপযুক্ত মৃত পাত্র খুঁজে পেতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত আত্মাদের মধ্যে বিয়ের আয়োজনের মতো এই ধরনের প্রথা কর্ণাটকের তিনটি উপকূলীয় জেলা এবং কেরালার পার্শ্ববর্তী কাসারগোদ জেলার কিছু এলাকাজুড়ে দীর্ঘ কাল ধরে চলে আসছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থানীয় টুলু ভাষায় কথা বলেন।

টুলুভা বিশ্বাস অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তিরা তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। তাঁদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়।