মানবপাচারকরিরা ডিজিটাল প্লাটফর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার প্রতিরোধ দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আর মানবপাচার সহজে বন্ধ করা সম্ভব না, এটি বন্ধে সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে, জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।এছাড়া উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ্বাস এর প্রতিবদেনে উঠে আসে মানবপাচারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্তরে।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার প্রতিরোধ দিবসের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার কারিরা ডিজিটাল স্পেসে ঢুকে বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে পাচার করছে।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগীতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনালের আশ্বাস এর প্রতিবদেনে, গত ত্রিশ বছরে দশ লাখের বেশি নারী ও শিশুকে দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে। প্রতি মাসে প্রায় চারশো নারী ও শিশু পাচারের শিকার হচ্ছেন। এ মাসে আমেরিকার traffiking in persons report অনুযায়ী মানবপাচারে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্তরে। সরকার মানবপাচার নির্মূলে সর্বনিম্ন মান পূরণ করতে পারেনি বলে রিপোর্টে বলা হয়। পুলিশ সদরদপ্তরের দেয়া তথ্যে গত ১০ বছরে ১৩ হাজারের বিশি মানুষ পাচারের শিকার। এতে পাচারকারির সংখ্যা সাড়ে ৩১ হাজারের বেশি। ছয় হাজার ৫২০টি মামলার মধ্যে নিষপ্তি হয়েছে ৭২৮টি। সাজা হয়েছে ৯৬ জনের।
মানবপাচার প্রতিরোধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সচেতনতার পাশাপাশি মানবপাচার প্রতিরোধে উন্নত দেশগুলোতে এগিয়ে আশার আহবান জানান বক্তারা।